ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লঞ্চ দুর্ঘটনায় হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৯ জুন ২০২০

লঞ্চ দুর্ঘটনায় হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শ্যামবাজারে বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ দুর্ঘটনায় হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার, চিকিৎসা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবী জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় সরদঘাটের এপার থেকে ওপারে যাতায়াতে প্রায়শ ছোট ছোট দুর্ঘটনায় অসংখ্য প্রাণহানী ও হতাহতের ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এহেন ভয়াবহ দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। তিনি এসব দুর্ঘটনা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার ও বিনামূল্যে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। তিনি নিহতদের লাশ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের খরচে প্রত্যেক পরিবারের কাছে পৌছে দেয়া এবং হতাহতদের পরিবারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবী জানান। ঢাকার শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি ছোট লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর সোমবার বিকাল পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, ৮ নারী এবং তিনজন শিশু বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রোজিনা ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনার পর তাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরাও সেখানে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক মো. সেলিম জানান, এমভি মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে নদীতে চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন। তবে ঠিক কতজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
×