ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী অঞ্চলে একদিনে আরো ২৬৮ জনের করোনা শনাক্ত

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ২৯ জুন ২০২০

রাজশাহী অঞ্চলে একদিনে আরো ২৬৮ জনের করোনা শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬৮ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গেছে। একই সময় মারা গেছেন আরও ১ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১১২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৮ জন। মারা গেছে ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪৫ জন। আজ সোমবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৫৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন, নওগাঁয় ৬৭ জন, জয়পুরহাটে ৪২ জন, বগুড়ায় ৬৯ জন, সিরাজগঞ্জে ১৪ জন ও পাবনায় ১৬ জন। তবে বিভাগের অপর জেলা নাটোরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান। ডা. গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ২৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ২ হাজার ৭৮২ জন আক্রান্ত। এছাড়াও রাজশাহীতে ৫৭১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৪৫১ জন, নাটোরে ১৫৮ জন, জয়পুরহাটে ৩৬৬ জন, সিরাজগঞ্জে ৩৮৩ জন ও পাবনায় ৪৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ৭৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন নওগাঁয় এক জন। এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে সাতজন, নওগাঁয় ছয়জন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৪৮ জন, সিরাজগঞ্জে তিনজন ও পাবনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায়নি। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১১২ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে রাজশাহীর ৬৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ জন, নওগাঁয় ২১৪ জন, নাটোরে ৫৫ জন, জয়পুরহাট ১৩৭ জন, বগুড়ায় ৪৪৩ জন, সিরাজগঞ্জ ১৮ জন ও পাবনায় ৪৯ জন। ডা. গোপেন্দ্র নাথ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
×