ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীণে সংঘবদ্ধ চক্র হামলা চালিয়েছে

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২৯ জুন ২০২০

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীণে সংঘবদ্ধ চক্র হামলা চালিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীন ফ্যাক্টরীতে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ও টাকা লুটের ঘটনায় সিইআইডি ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান জানান ঘটনার পর থেকে বিষয়টি সিআইডি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলছে জোড়কদমে। অচিরেই আমরা হামলার নেপথ্যকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে সক্ষম হবো। অপর দিকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীন ফ্যাক্টরীতে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং করেছে পরচুলা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এভারগ্রীন বিডি লিমিটেড। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটির সম্মেলন কক্ষে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিলিক্স ওয়াই সি চ্যঙ গত শনিবারের(২৭জুনের) শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন শ্রমিকের আড়ালে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা কোম্পানীর ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। অভিযোগে আরো বলা হয় পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালায় মুখোশধারী সংঘবদ্ধ চক্র। তারা হামলার পাশাপাশি কোম্পানীর বাহিরে ও ভেতরে থাকা ৪৫০টি সিসি ক্যামরা ও সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রন কক্ষ তছনছ করে। এরপর তারা লুটপাট ও জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছিল। মুখোশধারীরা কোম্পানীর লকার ভেঙ্গে নগদ ৯০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। কোম্পানীর বাহিরে দাড়িয়ে থাকা দুইটি কাভার্টভ্যান, ১০টি মোটরসাইকেল ও ৫০ টি বাইসাইকেল, ৫টি ফর্ক লিষ্টার, ৪৫০ সিসি ক্যামেরা, ৩২০ টি কম্পিউটার ও ৩২০ টি হার্ডডিক্স সহ অসংখ্য আসবাবপত্র ও কোম্পণীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করে। ফিলিক্স ওয়াই সি জানান, শ্রমিক অসন্তোস গোটা পৃথিবীতে হয়ে থাকে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত আমার কারখানায় যে ভাংচুর হয়েছে তা পুরো ব্যাতিক্রম ও নাশকতায় কায়দায় সন্ত্রাসী হামলা। শ্রমিক অসন্তোসের আড়ালে ১০০-১৫০ জন মুখোশধারী ইপিজেডের পকেট গেটে দিয়ে প্রবেশ করে মাথায় হেলমেড পড়ে তিন ঘন্টা ধরে এই হামলা চালায়। এই ক্ষতি ১০ বছরেও পুরন হবে না। তিনি বলেন, শ্রমিকরা এই কাজ করতে পারে না। মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার, হাতুড়ি, লোহার রড ও ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে ধ্বংশ যজ্ঞ চালায়। এরা কারখানার শ্রমিক হতে পারে না। এ ঘটনায়, আমিসহ এখানকার অন্যান্য বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে আতংঙ্ক গ্রস্থ। কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিলিক্স ওয়াই সি চ্যঙ বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে এই সহিংসতা শুরু হয়। তখন অফিস শুরুই হয়নি। সুত্র মতে কোম্পানীর সাথে পুরানো ৫৩ জন শ্রমিকদের একুট সমস্যা ছিলো। বাকী কোন শ্রমিকের কোন সমস্যা ছিলনা। কোম্পানীর কোন ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে ওই কয়েকজন শ্রমিকের কি হয়েছে সেটি উত্তোরণের চেষ্টা করছিলাম। কিন্ত এটিকে পূঁজি করে বহিৃরাগত সন্ত্রাসীরা এসে নাশকতা চালিয়ে গেল। প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন এভারগ্রীনের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক কল হ্ল্যা হ্যান মঙ, উপ মহাব্যবস্থাপক কাজী ফেরদৌস উল আলম ও হারুন উর রশিদ। নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় এভারগ্রীন কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করেছে।অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে এটি দেখা হচ্ছে। প্রতিটি বিষয় নিয়ে তদন্ত কাজ চলছে। পুলিশের ও সিআইডির কয়েকটি টীম একযোগে কাজ করছে। এটির নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান স্যার নিজেই। আমরা দ্রুত মুল হামলাকারীদের গ্রেফতারে সফলতা পাবো। জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তদন্ত চলছে, প্রকৃত দোষিদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
×