ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বেতন বোনাস পেলেন নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা

প্রকাশিত: ২১:২৫, ২৯ জুন ২০২০

বেতন বোনাস পেলেন নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাকালে দ্রুত এমপিওপ্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় বাদপড়া শিক্ষক-কর্মচারীকে সুখবর দিল শিক্ষা অধিদফতর। রবিবার নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া চার হাজার ৯২০ স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর বকেয়া বেতন-বোনাসের চেক ছাড় করা হয়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকেই কার্যকর হওয়া বকেয়া বেতন-ভাতা পাবেন তারা। এদিকে সারাদেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ১৪ হাজার ৬৯৭ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তার অর্থ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার দুপুরে নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া চার হাজার ৯২০ স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর বকেয়া বেতন-বোনাসের চেক ছাড় করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বকেয়া বেতন- বোনাসের টাকা তুলতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ওয়েবসাইট (বসরং.মড়া.নফ) থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের এমপিওর শীট ডাউনলোড করতে বলা হয়েছে। নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া চার হাজার ৯২০ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে স্কুলের তিন হাজার ১৯৯ এবং কলেজের এক হাজার ৭২১ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। গত ১৮ জুন এমপিও কমিটির বিশেষ সভায় তাদের এমপিওভুক্ত করা হয়। তারা দ্বিতীয় দফায় অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন করেছিলেন। শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন পাবেন। এছাড়া গত আগস্টে অনুষ্ঠিত ঈদ-উল-আজহা আর গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত ঈদ-উল-ফিতরের ঈদ বোনাস পাচ্ছেন শিক্ষকরা। এছাড়া গত এপ্রিল মাসে দেয়া বৈশাখি ভাতার টাকাও পাবেন তারা। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এক হাজার ৬৫১টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্তভাবে এক হাজার ৬৩৩টির তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৯১টি মাধ্যমিক স্কুল, ৪৩০টি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, ৬৮টি স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ৯২টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ৫২টি ডিগ্রী কলেজ রয়েছে। আগেই বলা হয়েছিল, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা গত বছরের ১ জুলাই থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। আর কোন প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে তার এমপিও স্থগিত করা হবে। কারিগরির এক লাখের বেশি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি যাবে বিকাশে: সারাদেশের ১৫৭টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ১৪ হাজার ৬৯৭ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তার অর্থ পৌঁছে যাবে বিকাশে। এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আরও সংযুক্ত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ সানোয়ার হোসেন, মাদ্রাসা অধিদফতরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমেদ, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর। কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের এই উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রমের ব্যাংকিং অংশীদার অগ্রণী ব্যাংক। এই কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা প্রতি ছয় মাসে উপবৃত্তি বাবদ তিন হাজার টাকা এবং শিক্ষা উপকরণ ক্রয় বাবদ এক হাজার টাকা করে পাবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাঃ দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উপবৃত্তি কার্যক্রম অগ্রণী ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে ডিজিটালাইজড হওয়ায় এবং সফলতার সঙ্গে তা বাস্তবায়িত হওয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটির প্রশংসা করেন। ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষায় মেয়েদের উৎসাহিত করাসহ সার্বিক উন্নয়নে প্রথমবারের মতো কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য এই উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষার্থীরা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। সকল মেয়ে এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এই কার্যক্রমের সুবিধাভোগীর তালিকায় থাকবে। বিকাশে পাওয়া উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণের টাকা শিক্ষার্থীরা কোন খরচ ছাড়াই বাড়ির পাশের বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে খুব সহজেই ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন। স্কুল শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিচালিত মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পটি সবচেয়ে বড় উপবৃত্তি প্রকল্প। ৪০ লাখ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরের সমন্বিত উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে উপবৃত্তি পেয়েছেন।
×