ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলচ্চিত্রে অনুদান পেলেন ২৫ নির্মাতা

প্রকাশিত: ২১:১৯, ২৯ জুন ২০২০

চলচ্চিত্রে অনুদান পেলেন ২৫ নির্মাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনার কারণে আপাতত বন্ধ আছে দেশের প্রেক্ষাগৃহ। এরইমধ্যে চলচ্চিত্র শিল্পের কল্যাণের জন্য এবার বড় উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শনিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারী অনুদান সম্পর্কে ঘোষণা হয়। করোনা মহামারীর মধ্যে নতুন অর্থবছরে মোট ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। বাজেটের আকার কিংবা চলচ্চিত্রের সংখ্যা উভয়ের দিক থেকেই এটি সর্বোচ্চ পরিমাণের রেকর্ড। ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’ শিরোনামে চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার। নির্মাণের সঙ্গে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনাও করবেন তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বহুদিন ধরেই বঙ্গবন্ধুর কৈশোরকাল নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণের স্বপ্ন ছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতেই এসে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। অনুদান দেয়ার জন্য সরকার ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ‘কাজলরেখা’ শিরোনামে চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান পাচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম; এটি প্রযোজনাও করবেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘যোদ্ধা’র জন্য অনুদান পাচ্ছেন নির্মাতা এস এ হক অলিক; ছবিটি প্রযোজনাও করবেন তিনি। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ ‘শ্যামা কাব্য’ চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান হিসেবে পাচ্ছেন; তিনিও ছবিটি নির্মাণের সঙ্গে প্রযোজনাও করবেন। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান পেলেন যারা তারা হলেন- সাধারণ শাখার ১১টি চলচ্চিত্র-প্রদীপ ঘোষের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, এম এন ইস্পাহানীর প্রযোজনা ও ইস্পাহানী আরিফ জাহানের পরিচালনায় ‘হৃদিতা’, ফজলুল কবীর তুহিনের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘গাঙকুমারী’, মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালনা ও প্রযোজনায় ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, অনুপম কুমার বড়ুয়ার প্রযোজনা ও সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ছায়াবৃক্ষ’, রওশন আরা রোজিনার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফিরে দেখা’, তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারের প্রযোজনা ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় ‘আশির্বাদ’, ইফতেখার আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘লেখক’, আবদুল মমিন খানের প্রযোজনা ও মনজুরুল ইসলামের ‘বিলডাকিনী’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তিনটি চলচ্চিত্র-পংকজ পালিতের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘একটি না বলা গল্প’, অনম বিশ্বাসের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফুটবল ৭১’ এস এ হক অলিকের ‘যোদ্ধা’। শিশুতোষ দুটি চলচ্চিত্র-আমিনুল হাসান লিটুর প্রযোজনা ও আউয়াল রেজার পরিচালনায় ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ও নুরে আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’। অনুদানপ্রাপ্ত নয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে- প্রবীর কুমার সরকারের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘আগন্তুক’, শরীফ রেজা মাহমুদের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’, এবিএম নাজমুল হুদার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘প্রথম রূপকথার বই’, সাজেদুল ইসলামের প্রযোজনা ও পরিচালনায় প্রামাণ্যচিত্র ‘পটুয়া’, দেবাশীষ দাশের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘মুকুলের জাদুর ঘোড়া’ (শিশুতোষ), ফাখরুল আরেফীন খানের প্রামাণ্যচিত্র ‘অবিনশ্বর’ সোহেল আহমেদ সিদ্দিকীর ‘ধূসর দিগন্ত’, মিতালি রায়ের ‘দূরে’ ও চৈতালি সমাদ্দারের ‘মরিয়ম’।
×