ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

শিক্ষিত বেকারত্বের চরম ঝুঁকি

প্রকাশিত: ২০:০৪, ২৯ জুন ২০২০

শিক্ষিত বেকারত্বের চরম ঝুঁকি

দক্ষতা ও তার পরিবর্তন বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট ১৯ বিকালটা পুরোটাই কাটালাম টেলিকম বিভাগের সংস্থা/ কোম্পানিগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে। প্রায় ৫ ঘণ্টার আলোচনায় সংস্থাগুলোর এমন সব তথ্য পেলাম যা আমাকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করেছে। এর মাঝে একটি দারুণ বিষয় সবার সঙ্গে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। কদিন আগে বিটিআরসির কম্পিউটার অপারেটরের ৪টি পদের বিজ্ঞাপনের বিপরীতে ৯৭৮টি আবেদন পত্র জমা পড়েছিল। যেখানে যোগ্যতার দরকার ছিল এইচএসসি সেখানে শতকরা ৮০ ভাগ আবেদন পড়েছিল স্নাতক। ডাক বিভাগের একটি অঞ্চলে ১৮৩টি পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১৬ হাজারের ওপরে। আমরা সবাই কি এই পরিস্থিতিটি ব্যাখ্যা করে সামনের দিনের কথা ভাবতে পারি? বাংলাদেশ যখন ডিজিটাল রূপান্তরের পথে এক দশকের বেশি সময় পার হয়ে এসেছি, যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ৫ম শিল্প বিপ্লব, সোসাইটি ৫.০ বা ৫জি নিয়ে বিশ্বজুড়ে কথা বলছি-প্রস্তুতি নিচ্ছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি তখন দেশের চাকরির বাজার ও সামনের দুনিয়া সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ না করে পারি না। বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আমি দেখতে পাচ্ছি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের। এই সংস্থাটির বিভিন্ন উপাত্ত ও নকশার ওপর নির্ভর করে আমরা সামনের দিনের পেশাগুলোর দিকে তাকাব। একটু স্মরণ করিয়ে দিতে পারি বর্ণিত অবস্থাটি করোনা পূর্ববর্তী কালের করোনাকাল ও তার পরের হিসাবটা আমরা আরও পরে করতে পারব। করোনার আগের পরিস্থিতিটাকে বিবেচনায় রেখেই আমরা ডিজিটাল দক্ষতার বিষয়টি আলোচনা করতে চাই। কোটা আন্দোলন সম্প্রতি দেশে যুব সমাজের একটি বিশাল আন্দোলন সমাপ্ত হলো। যদিও আন্দোলনের মূল বিষয় হিসেবে বলা হয়েছিল ‘কোটা সংস্কার’ বস্তুত আন্দোলনকারীরা কোটার সংস্কার নয় অবসানই চেয়েছিল। বাংলাদেশের মতো অনুন্নত-অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারী চাকরি বা শিক্ষার সুযোগ ইত্যাদিতে নানা ধরনের কোটা বিরাজ করে। পশ্চাদপদ নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, অনগ্রসর অঞ্চল, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদিতে কোটা বিরাজ করে। আমি নিজেও মনে করি যে বৈষম্য দূর করার জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে এটাও হয়তো সত্য যে কোটায় মেধাসম্পন্ন মানুষদের আধিকার খর্ব করা হয়। এটি নিয়ে বিতর্ক হয়তো চলতেই থাকবে। তবে আমাদের বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রী সেটি অনুধাবন করেন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরির কোটার অবসান ঘটান। যারা এই আন্দোলন করেছিলেন তারা প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে কিছুটা খুশিই হয়েছেন। অন্তত আন্দোলন তো থেমেছে। তবে তারা বস্তুত পুরা কোটা পদ্ধতিরই অবসান চেয়েছে। কোটা অবসানের বিপরীতে মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু সন্তান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কিছু ছেলেমেয়ে রাস্তায় নেমে কিছু স্লোগান দিয়েছে। সমাবেশ করেছে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এই ছোট ছোট চিৎকার কারও কান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। তবে এখন সম্ভবত সময় হয়েছে কোটাহীন দেশে চাকরির বাজার কেমন সেটি নিয়ে একটু পর্যালোচনা করার। যদিও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বলেনি তথাপি মূল সমস্যাটা যে কোটা নয় চাকরি এটি সবাই বোঝেন। দিনে দিনে চাকরির সঙ্কট যে গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে তাতেও কোন সন্দেহ নেই। বিশেষত আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমরা আমাদের যে তরুণ মানবসম্পদ পাচ্ছি তার জন্য প্রয়োজনীয় চাকরি যে নেই সেটি গবেষণা করে বলতে হবে না। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী তরুণ-তরুণীরা যে তাদের চাকরি সঙ্কটের মূল কারণ অনুভব করেনি সেটিও অন্তত আমার কাছে অত্যন্ত স্পষ্ট। বোধহয় এটি স্পষ্ট করে বলা দরকার যে কোটা অবসানের আন্দোলনের প্রধান কারণটি হচ্ছে চাকরির সঙ্কট। কোটার বিষয়টি সরকারী চাকরির বিষয় বিধায় আন্দোলনকারীরা ভেবেছিল যে কোটা ওঠে গেলেই তাদের চাকরি জুটে যাবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এটি ভাবেইনি যে সরকারি চাকরির সংখ্যা এত কম যে তা দিয়ে আর যাই হোক যাদেরকে আমরা শিক্ষিত করছি তাদের চাহিদার অনুপাতে চাকরির সংস্থান হচ্ছে না। ফলে তাদের কর্মসংস্থানের প্রত্যাশার কোন অংশই পূরণ হবার নয়। আমার মন্ত্রীত্বের সময় প্রায় আড়াই বছর। এই সময়ে আমার কাছে যত অনুরোধ এসেছে তার শতকরা ৯৫টি চাকরির জন্য। প্রথম পছন্দ সরকারী চাকরি এবং তা না পেলে যে কোন একটা। আগে এতটা অনুভব করিনি যে, দেশের অবস্থা এমন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মাস্টার্স পাস করা ছেলেটি যখন ৮ হাজার টাকা বেতনের একটি পিয়নের চাকরি খোঁজে তখন বুঝতে হবে, চাকরির সঙ্কটটা কত গভীরে। যখন সে সেই পিয়নের চাকরিটাও পায় না তখন বুঝতে হবে এটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি, অবস্থার আরও বা চরমতম অবনতি ঘটবে এবং এটি বলা ভুল হবে না যে, একটি মানব বোমার ওপর আমরা বুক পেতে আছি। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের দেয়া চাকরির চিত্রটা দেখুন। ২০১৫-২০ সময়কালে মাত্র কয়েকটি দেশে অফিস ও প্রশাসনিক খাতে চাকরি কমবে ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার, উৎপাদন ও সংযোজনে ১৬ লাখ ৯ হাজার, নির্মাণ ও নিষ্কাশনে ৪ লাখ ৯৭ হাজার, শিল্প, নক্সা, বিনোদন, ক্রীড়া এবং মিডিয়ায় ১ লাখ ৫১ হাজার, আইন খাতে ১ লাখ ৯ হাজার এবং স্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ৪০ হাজার। আরও অনেক কর্মক্ষেত্র রয়েছে যার তথ্যাদি এই চার্টে নেই। অন্যদিকে এই পাঁচ বছরে ব্যবসা ও আর্থিক ক্রিয়াকলাপে চাকরি বাড়বে ৪ লাখ ৯২ হাজার, ব্যবস্থাপনায় ৪ লাখ ১৬ হাজার, কম্পিউটার ও গাণিতিক ক্ষেত্রে কাজ বাড়বে ৪ লাখ ৫ হাজার, স্থাপত্য ও প্রকৌশল খাতে ৩ লাথ ৩ হাজার এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে ৬৬ হাজার। এই হিসাবের ছকে বস্তুত ৫জি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা সোসাইটি ৫.০ বা ৫ম শিল্প বিপ্লবের কথা ভাবাই হয়নি। সেই হিসাবটি যদি মাথায় রাখা হয় তবে চাকরি যা হারাবার তাতে হারানোর হারতো জ্যামিতিক হারে নিঃশেষ হবেই এমনকি যেসব খাতে চাকরি বাড়বে বলা হচ্ছে সেসব খাতেও চাকরি কমবে। চমকে ওঠার মতো বিষয় হবে এই যে এমনসব কর্মসংস্থানের জন্ম হবে যা এখনও মানুষ কল্পনাও করেনি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বলতে পারি যে, আমাদের কোন ধারণাতেই বোধহয় এই ভাবনাটি আসে না যে, আমরা পরমাণু বা হাইড্রোজেন বোমার চাইতে ভয়াবহ একটি মানব বোমা জাতির বুকের মাঝে বেঁধে রেখেছি। বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান করাটি হলো সেই বোমা। এমনকি শিক্ষাজীবনে এখন যারা আছে তারাও নির্মীয়মাণ বোমা। বহুদিন যাবতই আমি এই কথাগুলো বলে আসছি যে, দেশের শিক্ষিত মানুষদের বেকারত্ব ক্রমশ একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমরা যদি এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সহসা জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করি তবে আমাদের বুকে বাঁধা এই মানববোমা বিস্ফোরিত হয়ে পুরো দেশটাকেই বিপন্ন করে তুলতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবনার রূপটি আমার মোটেই ভাল লাগেনি। মিডিয়ায় আমরা লাখ লাখ বেকারের খবর পড়ি। একটি চাকরির জন্য হাজার হাজার আবেদন পড়ে সেটিও দেখি। চাকরির জন্য প্রতিদিন শত শত অনুরোধ, সুপারিশ ইত্যাদিও এখন গা সওয়া। তেমন একটি অবস্থাতেই আমার এই ভাবনার বাস্তব প্রকাশ দেখেছিলাম ৫ অক্টোবর ১৭ যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে। ৫ অক্টোবর ১৭ যশোরের শংকরপুরে স্থাপিত দেশের প্রথম ও একমাত্র পূর্ণাঙ্গ এসটিপি শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়। ঢাকা থেকে ৩০টি প্রতিষ্ঠান তাতে অংশ নেয়। সেই পার্কে অবস্থানরত একটি প্রতিষ্ঠানও তাতে অংশ নেয়। পার্কের দোতালায় স্টল সাজিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সাক্ষাতকার নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই চাকরি দেবার আয়োজন ছিল সেটি। আয়োজনটি কার্যত ভন্ডুল হয়ে যায়। কোন চাকরিদাতা প্রার্থীদের কোন সাক্ষাৎকার নিতে পারেনি। কোন চাকরিপ্রার্থী সাক্ষাতকার দিতেও পারেনি। চাকরি প্রার্থীরা সংখ্যায় এত বেশি ছিল যে পুলিশকে লাঠি চার্জ করে তাদের সরাতে হয়েছে। পার্কের উন্মুক্ত সকল জায়গা চাকরির আবেদনকারীরা দখল করে ফেলেছিল। যশোর থেকে ফিরে এসে জানা গেল যে ওখানে ৩০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। যা ঘটেছে তার সকল স্তরের ছবিই আমি তুলেছি বা সংগ্রহ করেছিলাম। তবে সবার ওপরে আছে সেদিন জমা দেয়া চাকরি প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত-এর স্তূপ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, হাইটেক পার্কের সভা, সেমিনার সবই ছবিতে উঠে এসেছিল। ফেসবুক ভরে গিয়েছিল এসব ছবিতে। অনেক মিডিয়ায় খবরও হয়েছিল। তখনই দেখেছিলাম বেসিসের একজন সাবেক সভাপতি এই বিষয়ে ছোট অথচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। স্ট্যাটাসটা আমাকে ট্যাগ করা হয়েছিল। স্ট্যাটাসটা এমন ছিল : ‘গত কয়েক বছর ধরে বলে আসছি আমরা আসলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা নেবার মতো অবস্থা তৈরি করতে পারছি না - আসলে আমরা ধাবিত হচ্ছি ভয়াবহ এক ডেমোগ্রাফিক ডিজাসটার-এর দিকে। হতাশাগ্রস্ত লক্ষ্যহীন কোটি কোটি কর্মহীন তরুণ (লাখ লাখ শিক্ষিত ডিজিটাল যুগের দক্ষতাহীন বেকার) আমাদের এই সমাজের সবকিছুকে, স্থিতিশীলতাকে, যা কিছু অগ্রযাত্রাকে ল-ভ- করে দিতে পারে যে কোন সময়। এক ভয়ঙ্কর টাইম বোমা হাতে নিয়ে বসে আছি আমরা সবাই। এই স্ট্যাটাসে আমি নিচের মন্তব্যটা করেছিলাম। ‘৫ অক্টোবর ১৭ আমি যশোরে ছিলাম। নিজের চোখে দেখেছি। হাজার হাজার তরুণ-তরুণী কাগজের খয়েরি খাম হাতে পুলিশের বকা-লাঠি-গুতা খেয়েও দুপুর অবধি কেবল সিভিটা জমা দেবার চেষ্টা করেছে। সেমিনারে মেঝেতে বসে আমাদের বাণী শুনেছে। অনেকেই প্রশ্নও করেছে। এমন অবস্থা এর আগে বাংলাদেশের কোথাও আমি দেখিনি। তখনই মনে প্রশ্ন জেগেছে ওদেরকে দিয়ে আমরা কি করব? যাতে ওদের মন না ভাঙে সেজন্য বলে আসছি দেশের মানচিত্রটা বুকের মাঝে রাখ, সৎ হও, আন্তরিক হও এবং দক্ষতা অর্জন কর। ভেবনা আইটি মানেই কেবল কম্পিউটার বিজ্ঞানের দক্ষতা, কোড লেখা বা প্রোগ্রামিং করা নয়। আইটির সঙ্গে ৪৮০০ রকমের পেশার সম্পর্ক আছে। তার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন।’ কিন্তু সমস্যাটা অন্যরকম। ওরা তো শিক্ষার্থী নয় যে ওদের পাঠক্রম, পাঠ্য বই, পাঠ্যবিষয়, পাঠদান ইত্যাদি বদলে নতুন দক্ষতা দেয়া যাবে। ওদের একমাত্র ভরসা প্রশিক্ষণ। আমরা তো প্রশিক্ষণ দেবার প্রাণান্ত চেষ্টা করেই যাচ্ছি। কিন্তু তার ফল তো ভাল না। বিশ্বব্যাংকের টাকা, এডিবির ফান্ড বা সরকারের তহবিল কোনটারই তো ফলাফল সন্তোষজনক নয়। বস্তুত আমরা যে ডেমোগ্রাফিক ডিজাসটারের কথা শুনছি সেটি কারও মাথায় তেমনভাবে ঢুকছে বলে আমি মনে করছি না। মনে হচ্ছে কেউ এই ভয়ঙ্কর মানব বোমাটির কথা ভাবছেই না। লাখ লাখ বেকার থেকে ধীরে ধীরে যখন আমরা কোটি কোটি বেকারের সংখ্যায় উঠছি তখন এই বেকাররাই চাকরির জন্য এত বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে তারা যা কিছু করে বসতে পারে। এমনও যদি দেখেন যে কোন তরুণী তার নিজের সবই কেবল একটি চাকরি পাবার জন্য দিতে চায় তবে অবাক হবেন না। আবার যদি দেখেন যে কোন বেকার চাকরি না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে তাহলেও অবাক হবেন না। আমার অভিজ্ঞতা এমন যে মাত্র মাসিক ১০ হাজার টাকার একটি অস্থায়ী চাকরির জন্য তিন লাখ টাকা ঘুষ দিতেও লাইন ধরে বসে থাকে শিক্ষিত বেকার। ১৭ সালের ৫ অক্টোবরের যশোরের চিত্রটি সকলের চোখে আঙুল দিয়ে এক চরম নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরেছে। আমি বেসিসের পরিচালক এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবিরের ফেসবুক পাতা থেকে এই নবীনদের জন্য কর্মক্ষেত্র কি হতে পারে তার কিছু বিবরণ তুলে ধরছি। সোনিয়ার মতে তরুণরা যেসব খাতে তাদের পেশা গড়ে তুলতে যেতে পারে সেগুলো হলো ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, চিত্র শনাক্তকরণ ও মানচিত্রায়ন, ডিজিটাল নিরাপত্তা, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর, ড্রোন, স্মার্ট বাড়িঘর ও কল কারখানা, ইন্টারনেট অব থিংস, ই-কমার্স, কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা ইত্যাদি। ঢাকা, ২০ জুন ২০২০ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক [email protected], www.bijoyekushe.net.bd, www.bijoydigital.com
×