ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোনে ব্যাগ কারখানা করবে বসুন্ধরা

প্রকাশিত: ১৯:২৩, ২৮ জুন ২০২০

পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোনে ব্যাগ কারখানা করবে বসুন্ধরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শিকদার গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোন (প্রাইভেট) লিমিটেড এবং বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড (বিআইসিএল)-এর মধ্যে একটি ভূমি লিজ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে হোটেল প্যান পেসিফিক সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান এবং পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোন (প্রাইভেট) লিমিটেডের গ্রুপ ডিরেক্টর জন হক সিকদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা । পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন লিমিটেডের গ্রুপ ডিরেক্টর জন হক সিকদার বলেন, ‘ব্যাগ উৎপাদন কারখানা স্থাপনের জন্য মংলায় পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোনে ১৬ একর জমি নিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ । সেই লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি সই করা হলো। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য বেজার চেয়ারম্যানকে বিশেষ ধন্যবাদ।’ বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান বলেন, ‘করোনা সংকটকালে এখানে আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কাজ তো থেমে থাকবে না। কাজ চালিয়ে যেতে হবে। প্রাইভেট ইকোনমিক জোন মংলায় আমরা ১৬ একর জায়গা নিয়েছি। সেখানে আমরা ব্যাগ উৎপাদন করব। এছাড়া আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে ওয়াল ডিপো করার জন্য।’ পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোন (প্রাইভেট) লিমিটেড দেশের প্রথম কোম্পানি যাকে ডিজাইন, বিন্ড, ফাইনান্স, ওয়ান, অপারেট ও ট্রান্সফার (নকশা, নির্মাণ, অর্থায়ন, মালিকানা গ্রহণ, পরিচালনা ও হস্তান্তর ভিত্তিতে অর্থনেতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ৫০ বছরের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বেজার সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মডেলে ২০৫ একর জমিতে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে। কৌশলগত অবস্থানের কারণে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মংলা বন্দরের মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। প্রস্তাবিত খান জাহান আলী বিমানবন্দর হচ্ছে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে সড়ক ও রেলের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ সময়ের বিবেচনায় সবচেয়ে সহজ হবে। যোগাযোগের এ সুবিধা মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মংলা বন্দরের চাহিদা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখন এখানে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এ অঞ্চলটি কাস্টমস বন্ডেড এলাকা হিসাবে বিবেচিত হয় এবং বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এখানে আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণাধীন অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা মধ্যে রয়েছে প্রবেশ প্লাজা, উপাসনালয়, বাণিজ্যিক ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, প্রশাসন ভবন, অগ্নিনির্বাপন কেন্দ্র, গেস্ট হাউজ, বিনিয়োগকারীদের ক্লাব, সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট, ডরমিটরি, দোকানপাট, ওয়্যারহাউজ, কাস্টমস, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ। অঞ্জলটিকে পরিবেশ বান্ধব হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এখানকার মোট ভূমির ৩০ শতাংশ সবুজ বা উন্মুক্ত স্থান হিসাবে রাখা হয়েছে।
×