ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতের ১৮ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনারা

প্রকাশিত: ১৬:০২, ২৮ জুন ২০২০

ভারতের ১৮ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনারা

অনলাইন ডেস্ক ॥ গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের হাতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনার লাদাখে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সীমান্তে উভয় পক্ষ শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতেও চীনের নিন্দা না করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধোনা করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। মোদির বিরুদ্ধে অসঙ্গত মন্তব্য, কূটনৈতিক ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। তারা বলেছে, ভারতে অনুপ্রবেশ করায় চীনের খোলাখুলি নিন্দা করে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মোদির। কংগ্রেসের আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস। প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাদের সাহস নিয়েও। শনিবার কংগ্রেসের কপিল সিবাল বলেন, ‘লাদাখের সঙ্কীর্ণ ওয়াই জংশনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীন। জায়গাটা লাদাখের ব্রুটস শহরের কাছেই। এখন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’ সিবালের অভিযোগ, গত ছয় বছরে মোদি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা ধরা পড়েছে। বিনাযুদ্ধে শত্রু দমন, প্রতিপক্ষের দুর্বলতাকে ব্যবহার, আক্রমণকে আত্মরক্ষা হিসেবে দেখিয়ে শত্রুকে বিভ্রান্ত করা ও শত্রুকে ঠকিয়ে জয় হাসিল— এই চারটি কৌশলে এক সময় জোর দিতেন চীনের যুদ্ধবিশারদ সান জু। তার প্রসঙ্গ টেনে সিবাল বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে চীন এখন সেটাই করছে। লাদাখের সঙ্কীর্ণ ওয়াই জংশনের ভেতর ঢুকে পড়েছে। জায়গাটা ভারতের ১৮ কিলোমিটার ভেতরে। এখান থেকে ব্রুটসে টহল দেয় ভারতীয় সেনারা। চীনা সেনারা সঙ্কীর্ণ ওয়াই জংশন দখল করে থাকায় আমাদের সেনারা ১৪ নম্বর পেট্রল পয়েন্টে টহল দিতে পারছে না।' তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই এমন হল কী করে? চীন ঢুকে এসে আমাদের ১০, ১১, ১১এ, ১২ ও ১৩ নম্বর পেট্রল পয়েন্টে ভারতীয় সেনাদের টহলদারিতে বাধা দিচ্ছে। দৌলত বেগ ওল্ডি রোডের একদিকে ব্রুটস শহর, অন্যদিকে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি। চীনা সেনারা এখন ওই শহর থেকে ৭ কিমি দূরে রয়েছে।’ সিবাল বলেন, ‘ওয়াই চ্যানেল থেকে বায়ুসেনার ঘাঁটি ২৫ কিলোমিটার দূরে। ওয়াই জংশন সংলগ্ন ওই বিমানঘাঁটি থেকে সিয়াচেন ও কারাকোরামে নজরদারি চালায় সেনাবাহিনী। এবার চীনা সেনারা ওই জায়গার খুব কাছাকাছি এসে যদি গোলা ছুঁড়তে থাকে তখন বিপদ বাড়বে। বিমান ওঠানামা কঠিন হবে। ২০১৩ সালে ইউপিএ জমানায় ওই বিমানঘাঁটি থেকে বিমান চলাচল শুরু হয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় কড়া নজরদারির জন্য ২৩০টি বিমানে সেনা আনা–নেওয়া হত। এখন গালোয়ানের ১৪ নম্বর পয়েন্টে চীনের সেনারা তাঁবু গড়ছে। ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। অথচ ইউপিএ জমানায় ২–৮ নম্বর পয়েন্টের দিকে তাকাতে পারত না চীন। এখন ৪ নম্বর পয়েন্টের কাছে চীন এয়ারস্ট্রিপ করছে। আমাদের ২ নম্বর পয়েন্টে পাঠাতে চাইছে।’
×