ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ১৫:১২, ২৮ জুন ২০২০

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির পানিতে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলা সদরসহ আটটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বেশকিছু গ্রামীণ সড়ক। উদ্বাখালি, মঙ্গলেশ্বরী, গণেশ্বরী ও মহাদেও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। জানা গেছে, গত তিনদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার প্রধান চারটি নদীই উপচে পড়েছে। উব্দাখালি নদীর পানি উপচে রবিবার সকাল নাগাদ কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরসহ উপজেলা সদরের পূর্ববাজার, চানপুর রোড, শিবমন্দির রোড, স্টেডিয়াম রোড, মুক্তিরনগর, থানা রোড ও মন্তলা এলাকার বহু বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে। উপজেলা পরিষদের প্রায় সবগুলো সরকারি অফিস পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় সবক’টিই কম-বেশি প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে, বড়খাপন, খারনৈ, সদর ও রংছাতি। বড়খাপন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাদিছুজ্জামান তালুকদার জানান, ওই ইউনিয়নের ২৮ গ্রামের সব ক’টিই প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে গুতুরা-যাত্রাবাড়ি, বড়খাপন-কেশবপুর, উদয়পুর-যাত্রাবাড়ি, রিকা-বড়ইউন্দ ও চৌহাট্টা-কেশবপুর সড়ক। এদিকে খারনৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক জানান, ওই ইউনিয়নের ৩৮টি গ্রামের মধ্যে অন্তত ২০টি প্লাবিত হয়েছে। গজারমারি-খারনৈ, বাউসাম-গজারমারি কচুগড়া-হাজংপাড়া সীমান্ত সড়কের বিভিন্ন অংশ তলিয়ে গেছে এবং কিছু কিছু জায়গায় মারাত্মক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এদিকে সদর ইউনিয়নের কলমাকান্দা-বিশরপাশা সড়কটিও ডুবে গেছে। এসব এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানিবন্দী অবস্থায় বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। আজ রবিবারও সেখানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, সোমেশ্বরী, কংস ও উব্দাখালি নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে আছে। তবে কংসের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কলমাকান্দার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, উপজেলার চারভাগের তিনভাগ এলাকাই প্লাবিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ত্রাণের যে মজুদ রয়েছে, তা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×