ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লাদাখে আরও সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে চীন

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২৮ জুন ২০২০

লাদাখে আরও সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে চীন

অনলাইন ডেস্ক ॥ লাদাখ সীমান্তের বিতর্কিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কালো তাঁবু টানিয়ে আরও সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে চীন। গত দুই দিনে সীমান্তের ৯ কিলোমিটার এলাকায় চীনা সেনাবাহিনীর অন্তত ১৬টি শিবির স্থাপনের দৃশ্য ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট চিত্রে। দুদিন আগে এক বৈঠকে উভয় দেশই বিতর্কিত ওই সীমান্ত থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে রাজি হলেও উল্টো পথে হেঁটেছে চীন। সৈন্য সরানোর পরিবর্তে ঘাঁটির পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জামও বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি নয়াদিল্লির সামরিক বিশ্লেষকদের। প্ল্যানেট ল্যাবের কাছ থেকে সংগৃহীত স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, চীন ওই এলাকা থেকে এখনও সরে যায়নি এবং সেখানে ব্যাপক সামরিক শক্তি বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে, যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সামরিক বাহিনীর জন্য একটি প্রত্যক্ষ হুমকি। গত ২২ জুন লাদাখে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উভয় দেশ উত্তেজনা প্রশমনে সীমান্ত থেকে অতিরিক্ত সৈন্য প্রত্যাহারে সম্মত হয়। প্ল্যানেট ল্যাবের কাছ থেকে পাওয়া ২৫ এবং ২৬ জুনের স্যাটেলাইট চিত্রে গালওয়ান উপত্যকায় চীনের আরও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে। গত ১৫ জুন এই এলাকায় দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে ভারতের এক কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা-সহ অন্তত ২০ সৈন্য নিহত হন। ২৫ জুন এবং ২৬ জুনের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, গালওয়ান নদীর তীর ঘেঁষে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তৈরি একটি পাথরের প্রাচীরের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই এলাকার ৯ কিলোমিটারের মধ্যে চীনের সামরিক বাহিনীর ১৬টি শিবির চিহ্নিত হলেও ভারতের সামরিক বাহিনীর একটিও নেই। স্যাটেলাইট চিত্র বিশেষজ্ঞরা এনডিটিভিকে বলেছেন, ১৬টি সামরিক শিবিরের পাশাপাশি ওই এলাকায় শত শত ট্রাক, বুলডোজার ও অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এসব যানবাহন ও ভারী নির্মাণ সরঞ্জামের মধ্যে দ্রুতগতিতে সেতু ও সড়ক নির্মাণের যন্ত্রপাতিও রয়েছে। চীনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় সেখানে চীনের নতুন নির্মাণ বন্ধ করা। গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি একেবারে অযৌক্তিক। এর মাধ্যমে কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
×