ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন ॥ কেন উইলিয়ামসন

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৮ জুন ২০২০

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন ॥ কেন উইলিয়ামসন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই মুহূর্তে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি জনবহুল এই দেশটিতে সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। মাত্র ৩ মাসেই তা সত্য হয়েছে। গত মার্চে প্রথম সংক্রমণ ধরার পর এখন আক্রান্তের তালিকায় বিশ্বে ১৭তম স্থানে বাংলাদেশ। তাই একে একে এ বছর বাংলাদেশের যেসব দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছিল সবই বাতিল হয়ে গেছে। সম্প্রতি সেই স্থগিতের তালিকায় যুক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আগস্টের সিরিজও। করোনা পরিস্থিতির কোন উন্নতি না ঘটার কারণেই দুই বোর্ড এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। আর বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা ভালই জানা আছে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো অনেক কঠিন। কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড নিজেদের করোনামুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। বিশাল দেশটিতে লোকসংখ্যা একেবারেই কম। আর করোনাভাইরাস উচ্চমাত্রার ছোঁয়াচে রোগ। পরস্পরের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে সেই ছড়িয়ে পড়াটা থেমে গেছে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই, কারণ লোকসংখ্যা কম। প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ১৮.৩ জন মানুষ বাস করে দেশটিতে। সে তুলনায় বাংলাদেশ কয়েক গুণ (৬০ গুণ) বেশি জনবহুল। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১০৬ জন মানুষ বাস করে। আর তাই সংক্রমণটাও ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই বাড়ছে তা। সে কারণে জাতীয় ক্রিকেট দলের এ বছরে সব দ্বিপাক্ষিক সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজটিও স্থগিত হয়ে যায়। বাংলাদেশের জন্য করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টসাধ্য বলেই মনে করেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জুম এ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ হয়েছে আমার। এরপর আমি বুঝতে পেরেছি যে তার দেশের পরিস্থিতি কতটা কঠিন। বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটি দেশে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ভাইরাসটিকে দূরে রাখা কষ্টকর।’ বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপারে ভাল ধারণা পেয়েছেন তিনি তামিমের সঙ্গে আলোচনা করে। উইলিয়ামসন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কন্ডিশন অনেক খারাপ। আমি সেখানকার গরম এবং আর্দ্রতার কথা ভুলব না। আমি যখন প্রথম বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলাম তখন এর অভিজ্ঞতা হয়েছে।’ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই সারাবিশ্বের মানুষ নিজ নিজ ঘরে বন্দী হয়ে থাকতে শুরু করেন। আর এই সুযোগে উইলিয়ামসন ভিডিও আড্ডায় অনেকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কেও জেনেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। যার মধ্যে সেরা ব্যাপার হলো আমি সুযোগ পেয়েছি বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার। মহামারীর সময় আমি কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, কি অবস্থা এসব নিয়ে আলাপ করেছি।’ এই মুহূর্তে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন উইলিয়ামসন। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরও তিন ক্রিকেটার হেনরি নিকোলস, সোফি ডিভাইন এবং ড্যান কার্টার।
×