ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৭৯’তে পা রাখলেন ফেরদৌসী রহমান

প্রকাশিত: ২২:২৭, ২৮ জুন ২০২০

৭৯’তে পা রাখলেন ফেরদৌসী রহমান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একজন ফেরদৌসী রহমান, বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের পথিকৃৎ। একাধারে একজন পল্লীগীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত ও প্লেব্যাক সিঙ্গার। গুণী এই মানুষটির আজ জন্মদিন। সঙ্গীত জীবনের সাফল্যের ধারাবাহিকতা সেই যে ছোট্টবেলায় শুরু হয়েছিল তা এখনও বহমান। জীবন চলার পথে গানে গানে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের নানান পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন আমাদের দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের এই গর্বিত ব্যক্তিত্ব। সবার প্রিয় ফেরদৌসী রহমান জীবনের প্রথম রেডিও’র ‘খেলাঘর’ অনুষ্ঠানে গান করেন ১৯৪৮ সালে। ‘আসিয়া’ সিনেমাতে তারই বাবা পল্লী সম্রাট আব্বাসউদ্দিনের সুরে আব্দুল করিমের লেখা ‘ও মোর কালারে’ গানটি গান। অবশ্য তার আগেই ‘এদেশ তোমার আমার’ সিনেমা মুক্তির মধ্যদিয়ে একজন প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে তার অভিষেক হয়। ফেরদৌসী রহমানের জন্ম কোচবিহারে ১৯৪১ সালের ২৮ জুন। জন্মের পর সেখানে বহুবার গিয়েছেন। কখনও একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করার জন্য, আবার কখনও ভাওয়াইয়া উৎসবের বিচারক হিসেবে। দেখতে দেখতে ফেরদৌসী রহমান আজ ৭৯ বছরে পা রাখছেন। তবে তার এবারের জন্মদিন নিয়ে কোন বাড়তি আয়োজন নেই। নেই বিশেষভাবে দিনটি উদযাপনেরও আগ্রহ। কারণ দুই ছেলে রুবাইয়াত ও রাজিন আছেন দেশের বাইরে। তাছাড়া করোনার কারণে ফেরদৌসী রহমান কিছু প্রিয় মানুষ হারিয়েছেন। তাদের জন্য মন ভীষণ খারাপ তার। ফেরদৌসী রহমান বলেন, ‘আমরা যারা বলা যায় একসঙ্গে কাজ শুরু করেছিলাম তাদের অনেকেই আজ নেই। সে কারণে মন খারাপই থাকে। আবার করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি সেইসব প্রিয়মুখও চলে গেলেন। শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান স্যার, শ্রদ্ধেয় কামাল লোহানী, মোস্তফা কামাল সৈয়দসহ আরও বেশকিছু প্রিয় মানুষ আমরা হারিয়েছি। এত এত চেনা মানুষ বিগত মাত্র কয়েকটি দিনে আমরা হারিয়েছি যে মনটা সত্যিই ভেঙ্গে গেছে। এই ভাঙ্গা মন নিয়ে আসলে নিজের কথা কেমন করে ভাববো ? ভাবা যায় না, আমি ভাবতে পারি না। দেশের সার্বিক যে পরিস্থিতি তাতে আমার জন্মদিন কারও কাছেই তেমন গুরুত্ব বহন করে না। আমি চাই আল্লাহ যেন সবাইকে সুস্থ রাখেন, ভাল রাখেন। আবার যেন সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে গল্প করতে পারি, সবার মুখে যেন হাসি দেখতে পারি। অন্যের হাসির মাঝেই নিজের সুখ না হয় খুঁজে নেব।’
×