ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ভাংচুর অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত: ২২:২০, ২৮ জুন ২০২০

শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ভাংচুর অগ্নিসংযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনার প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল সাতটা থেকে ইপিজেডের এভারগ্রীন প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি বিডি লিমিটেড নামের একটি চীনা কোম্পানির কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামলে এসব ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ চলাকালে ইপিজেডের ভেতরের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচটি কাভার্টভ্যান, অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল ও কারখানার বিভিন্ন কাগজপত্রসহ কম্পিউটারে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে উত্তরা ইপিজেড, নীলফামারী ও সৈয়দপুর দমকল বাহিনীর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেলা ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় নিবৃত্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যায় শ্রমিকরা। ওই কারখানায় শ্রমিকদের অভিযোগ, বেপজার বিধি লঙ্ঘন করে সময়ে অসময়ে শ্রমিক ছাঁটাই করেন কর্তৃপক্ষ। চলতি করোনাভাইরাস কালীন সময়ে ওই ছাঁটাইয়ের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘চলতি করোনা দুর্যোগে কর্মকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান সরবরাহ করেছে কোম্পানি। স্বল্প মূল্যের এসব উপকরণ প্রদান করে মাস শেষে প্রত্যেকের বেতন থেকে এক হাজার টাকা করে কর্তন করা হয়েছে। যা আমাদের কাছে নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত মনে হয়েছে। তাছাড়া কারখানায় শ্রমিকরা ওভারটাইম কাজ করলেও সঠিক মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়। মাস শেষে তাদের হিসাবে অতিরিক্ত কাজের কর্মঘণ্টা কম দেখিয়ে মজুরি কম প্রদান করা হয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ছাঁটাইয়ের কবলে পড়তে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, ‘এসব সমস্যা দীর্ঘদিনের। কথা বলতে গেলে চাকরি হারাতে হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিকালে সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি আমরা’। ওই শ্রমিকদের দাবি, স্বাভাবিক সময়ে কোম্পানিটিতে ১৭ হাজার শ্রমিক কাজ করলেও করোনাকালীন সময়ে ছাঁটাই করার কারণে বর্তমানে সাত হাজার কাজ করছে।
×