ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থা এবং হার না মানার প্রত্যয়

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ২৮ জুন ২০২০

বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থা এবং হার না মানার প্রত্যয়

প্রশান্ত-আটলান্টিক থেকে শুরু করে নীলনদ, মিসিসিপি, আমাজন, রাইন, কঙ্গো, হোয়াংহো, মেকং, ইয়াংজে, নাইগার, পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ বিশ্বের সকল মহাসাগর, সাগর ও নদীর জলতরঙ্গে করোনার আঘাত পুরো ধরিত্রীকে ল-ভ- করে দিয়েছে। প্রাণঘাতী এই সংক্রমণের বিস্তার ও জীবন নিধনের পরিসংখ্যান পুরো বিশ্ববাসীকে করে তুলেছে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠিত। সম্ভাব্য বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থার স্থবিরতার প্রভাব বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশসমূহে অজানা আশঙ্কা তৈরি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই সংক্রমণের অদমনীয় বিস্তার এবং খ্যাতিমান দেশবরেণ্য রাজনীতিক-বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী-আপামর দেশবাসীসহ অনেকের মৃত্যুবরণের করুণ দৃশ্যপট অসহায় মনস্তত্ত্বের চিত্রানুগ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়চেতা-নির্ভীক সাহসিকতা-প্রাজ্ঞ-দূরদর্শী কর্মকৌশল এবং সঙ্কট উত্তরণে যৌক্তিক বাজেট প্রস্তাবনা গণমানুষের মনোবলকে অধিকতর সুদৃঢ় করেছে। অদৃশ্য ক্ষুদ্র অণুজীবের নির্মম সংক্রমণ বিস্তার এবং অনাত্মজ্ঞ বিশ্বব্যাপী মহামন্দার উপাগত ভীতির কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যা হার না মানার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। এতে করোনা যুদ্ধে সম্মুখ সমরে জীবন ঝুঁকির বিনিময়ে যারা স্বাস্থ্যসেবাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমে নিজেদের নিবেদন করেছেন; তারা প্রাণস্পন্দনে প্রাণিত হয়েছেন বলে আমার ধারণা। উন্নত-অনুন্নত, ধনী-দরিদ্র, রাজা-প্রজা, শোষক-শোষিত, সকল শ্রেণী-পেশা, ধর্ম-দলমতের বিভাজিত অহংবোধ, বিরোধ-বিচ্ছেদ, হিংসা-প্রতিহিংসা, সুষম-অসম প্রতিযোগিতা ইত্যাদি পরিহারে চারণ-বৈষ্ণব-সুফীতাত্ত্বিক আচরণের নবতর উর্বর ক্ষেত্র তৈরি করেছে মহাবিশ্বের মহাঅনুধাবন। রাসায়নিক অস্ত্র বা অণুজীব আক্রমণ যুদ্ধসহ যে কোন মানবতাবিরোধী মানবরূপী দানবের অশুভ হিংস্র শক্তির কাছে বিশ্বমানবতা পরাজিত হবে, বিশ্বসভ্যতা ধ্বংস হবে- তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রায় প্রতিটি বক্তব্যে এ ধরনের জ্ঞাপিত উচ্চারণ নিঃসন্দেহে মানবিক ও মনুষ্যত্ত্বের ত্রৈকালিক বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি সৃজনে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তাখাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাজেট প্রাক্কলন অনুমেয় অর্থনীতির পুনঃরুদ্ধার, কর্মসংস্থান এবং দুঃসময়ে সকল দুর্যোগকে মোকাবেলা করার যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে প্রতীয়মান। করোনাকালে সংক্রমণের উৎসসূত্র-ভূমি এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাকযুদ্ধ, বাণিজ্য হুমকি এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিন্নের গৃহীত পদক্ষেপসহ অতিসম্প্রতি ভারত-চীন-পাকিস্তানের সীমান্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার বার্তা প্রকৃত অর্থে জলাবর্ত আতঙ্ক নির্মাণের ক্ষিপ্রমানতা অতিশয় দৃশ্যমান। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার ও ভয়বহতা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রতিনিয়ত বিশ্ববাসীর হৃদয়ে নাভিশ্বাসতুল্য জাগতিক-দৈহিক ও মানসিক হতাশার সঞ্চার করছে। পৃথিবী নামক এই গ্রহের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বলয়ে অস্থিতিশীল অবস্থার বিরাজমানতা যেভাবে পরিপক্ব হচ্ছে, উপরুদ্ধ যুগসন্ধিক্ষণে সামগ্রিক প্রভাব বাংলাদেশকেও যে প্রচ-ভাবে নাড়া দেবে; তা সহজেই অনুমেয়। সাম্প্রতিক বাজেট বিশ্লেষণে সমুদয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত অন্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত লেখায় উপস্থাপন করেছি। বাজেট পর্যালোচনায় নির্ব্যূঢ় প্রকরণে এ সত্যটুকু সুস্পষ্ট যে, নতুন বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার শক্তিমান সক্ষমতা পরিকল্পিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নের যৌক্তিক কর্মকৌশল ও কার্যকর পন্থা উদ্ভাবন ব্যাহত হলে উদ্ভূত সঙ্কট নিরসনে জাতি জোরালো কঠিন সঙ্কটের মুখোমুখি হবে। মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত বিশ্ব অর্থব্যবস্থার দার্শনিক ভিত্তি এই ক্ষেত্রে নক্ষত্রালোকিত প্রাসঙ্গিক হতে পারে। সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা প্রদানের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের উপাগত নির্যাস ছিল- ‘নয়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চাই।’ এই ভাষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণে করোনা সংক্রমণের বিশ্বায়ন বঙ্গবন্ধুর জ্ঞাপিত দর্শনের নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন ঘটিয়েছে। খ্যাতিমান পরিসংখ্যানবিদ গুটমান উদ্ভাবিত ‘যোজিত মানব পদ্ধতি’ বা এ্যাডওয়ার্ড ও কিলপ্যট্রিক-এর ‘মানব বৈষম্যমূলক কৌশল’ মানবিক-মনুষত্ত্বের মনোভাবকে এক-অভিন্ন, একমুখী-একীভূত-একীভাব বৈশিষ্ট্যের সন্ধান দিয়েছে, যার পুনঃকরনাংক হচ্ছে এক দশমিক শূন্য। মোদ্দা কথা প্রত্যেক পবিত্র ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের ঐহিক ও জাগতিক মূল্যবোধের মানদ- হচ্ছে মানব-বিবেকের অখ- বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিধ্বনিসমৃদ্ধ এক মানবগোষ্ঠী-এক মানবসমাজ-এক মহান ¯্রষ্টার অনবদ্য সৃষ্টি। ঐশ্বর্য-প্রাচুর্য-বিত্ত-বৈভব, ক্ষমতা-সম্পদ মোহকে অবজ্ঞা করে ন্যায়পরায়ণতার কালজয়ী সূচক নৈতিক উৎকর্ষ বা সততার শক্তির বিজয় সভ্যতাকে এখনও সুসংহত করার প্রধান বিমোক্ষণ হিসেবেই বিবেচিত। এই দর্শনের আলোকে আত্মসমালোচনা-আত্মশুদ্ধির অবিচ্ছেদ্য আবক্ষ বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন নতুন বিশ্ব অর্থব্যবস্থার প্রেক্ষিত নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের প্রায়োগিকতা সাম্প্রতিক সময়ে নিগূঢ় প্রামাণিকতায় অনুপম নির্বন্ধ। বঙ্গবন্ধু তাঁর সেই অদ্বৈত ভাষণে বলেছিলেন, ‘যে মহান আদর্শ জাতিসংঘ সনদে রক্ষিত আছে আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই আদর্শের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করিয়াছেন। আমি জানি, শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সকল মানুষের আশাআকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়িয়া তোলার জন্য বাঙালী জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমাদের এই অঙ্গীকারের সহিত শহীদানের বিদেহি আত্মাও মিলিত হইবেন।’ অতীতের উপনিবেশিক, রাজতন্ত্র, বর্ণবৈষম্যবাদ, লুম্পেন-পরাজীবী বুর্জোয়াতন্ত্রের অন্যায়-অবিচার-নিবর্তনের বিশ্বব্যাপী অবসান প্রক্রিয়া বিবেচনায় নিয়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি ও যথার্থ পন্থা নির্ধারণে কার্যকর মনোনিবেশ বিষয়ে বিশ্বসংস্থার সকল সদস্যকে স্মরণ করিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এই পথ বাছিয়া নেওয়ার বিবেচনার ওপর নির্ভর করিবে আমরা সামগ্রিক ধ্বংসের ভীতি এবং আণবিক যুদ্ধের হুমকি নিয়া এবং ক্ষুধা, বেকারী ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে মানবিক দুর্গতিকে বিপুলভাবে বাড়াইয়া তুলিয়া আগাইয়া যাইব অথবা আমরা এমন এক বিশ্ব গড়িয়া তোলার পথে আগাইয়া যাইব, যে বিশ্বে মানুষের সৃজনশীলতা এবং আমাদের সময়ের বিজ্ঞান ও কারিগরি অগ্রগতি আণবিক যুদ্ধের হুমকিযুক্ত উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের রূপায়ন সম্ভব করিয়া তুলিবে।’ ভাববাদী প্লেটো ও বস্তুবাদী এরিস্টটলসহ বিশ্বখ্যাত দার্শনিক জন স্টুয়ার্ট মিল, ইমানুয়েল কান্ট, কার্ল মার্কস, ব্রার্ট্রান্ড রাসেল, জ্যাঁ পল সার্ত, ইমানুয়েল ওয়ারাস্টেইন, জি. ফ্রাঙ্ক, জেম্স পেত্রাস, জেরাল্ড হোর্ন, জ্যাকি জেলিনাস প্রমুখ বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনশীলতা এবং নৈতিকতার বহুমাত্রিক চরিত্র ও মানসিক প্রবণতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মৌলিক সত্য হচ্ছে, জ্ঞেয় বস্তুর সত্তা বা অবস্থান মানব মনস্তত্ত্ব নির্ভর নয়। এটি সর্বতো ইন্দ্রিয় ও জ্ঞান-নিরপেক্ষ। বস্তুর উপলব্ধি থেকে সৃষ্ট ধারণা বা জ্ঞান মানব সভ্যতার বাস্তবতাকে সুদৃঢ় করেছে। বস্তুতপক্ষে ভাববাদীদের অস্বীকার করে নয়, মানবিক বিদ্যার চর্চাবলয়ে নিহিত বস্তুবাদী ধারণার উৎস কেন্দ্র। মনীষী কার্ল মার্কসসহ সাম্যবাদী চিন্তাধারার সকল চিন্তক অর্থনৈতিক উৎপাদনকেই সমাজ পরিবর্তনের মূল উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মতে প্রতিটি সমাজের অবকাঠামো উৎপাদন সম্পর্ক ও শক্তিকেই প্রাধান্য দেয়। অপরদিকে এই মৌলকাঠামোর ভিত্তিতে গঠিত অধিকাঠামো সমাজের আইন, রাজনীতি, ধর্ম, দর্শন বিরচিত পৌর্বাপর্য। সমাজ পরিবর্তনের মূলে রয়েছে পুরোনো অবস্থার সাথে বিপরীত অবস্থার দ্বন্ধ এবং নতুন অবস্থার সমন্বয়। এই দ্বান্ধিক প্রক্রিয়াই ব্যক্তি, বস্তু, সমাজের সকল প্রপঞ্চের উৎপত্তি, বিকাশ ও পরিবর্তনের ধারা নির্ণয় করে। একইভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ধারণ করেছিলেন প্রচলিত বিশ্বের শোষক ও শোষিতের বিরোধ প্রকৃতি ও পরিধির নির্দয় পরিগ্রহ, যা এখনও অন্য মাত্রিকতায়, ভিন্ন বৈশিষ্ট্যে বিরাজমান। এ জন্যই জাতির জনকের সেই ভাষণ করোনাযুদ্ধ জয়ের নতুন পটভূমি তৈরিতে বিশ্বব্যবস্থার গতিময়তা এবং মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলার নিরন্তর প্রবাহরূপে উপচীয়মান। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘একটি যথার্থ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়িয়া তোলার পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘকে এর আগে কোথাও এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করিতে হয় নাই। এই ধরনের ব্যবস্থায় শুধু নিজ নিজ প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর প্রত্যেক রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকারকে নিশ্চিত করাই নয়, ইহাতে একটা স্থায়ী এবং যথার্থ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য বিশ্বের দেশগুলির সাধারণ স্বার্থের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক কাঠামো প্রণয়নেরও ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।’ বরাভয় কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা প্রত্যেক মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকারে ঘোষণায় স্বীকৃত মুক্তভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সুবিধা ভোগের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক দায়িত্বের কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে পুনরুল্লেখ করিতেছি। আন্তর্জাতিক ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেকটি মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবারের কল্যাণের জন্য পর্যাপ্ত জীবনযাত্রার ব্যবস্থা নিশ্চিত করিতে হইবে।... এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে বর্তমানে অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণ করার জরুরী ব্যবস্থা নিতে হইবে। ইহাতে শুধুমাত্র এই ধরণের পরিবেশই সৃষ্টি হইবে না, ইহাতে অস্ত্র সজ্জার জন্য যে বিপুল সম্পদ অপচয় হইতেছে তাহাও মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করা যাইবে।’ প্রায় সাড়ে চার দশক আগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রেক্ষিতেই নতুন পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক বিশ্বব্যবস্থার অনুবর্তণ বিশ্ববাসীকে করোনাযুদ্ধে জয়ের বর্ণিল স্বপ্নে বিভোর করবে - নিঃসন্দেহে তা বলা যায়। জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায় বলতে চাই, ‘... সাম্য-মৈত্রী আনিয়া মোরাই বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি।/পাপ-বিদগ্ধ তৃষিত ধরার লাগিয়া আনিল যারা ॥/ মরুর তপ্ত বক্ষ নিঙারি শীতল শান্তি ধারা,/উচ্চ-নীচের ভেদ-ভাঙি, দিল সবারে বক্ষ পাতি ॥’ করোনার অভিশপ্ত ধূসর পরিবেশে গ্রহণযোগ্য নির্মল বায়ু সেবনে মানবিকতায় পরিপূর্ণ এবং মনুষ্যত্ত্বের পরিশুদ্ধ অর্থ-ক্ষমতার রাজনীতির নির্লোভ-নির্মোহ নতুন বহিরিন্দ্রীয় মঙ্গলাচরণ বিশ্ব শান্তি স্থাপনে নান্দনিক অধ্যায়ে সূচিত হোক- এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। লেখক : শিক্ষাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×