ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু ও আমাদের দায়

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ২৮ জুন ২০২০

বঙ্গবন্ধু ও আমাদের দায়

ইংরেজ নির্মাতা রিচার্ড এ্যাটেনবারা ১৯৮২ সালে নির্মাণ করেন ভারতের জাতির জনক মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘গান্ধী’; ২০১২ সালে অস্কারের দুটি বিভাগে পুরস্কার জিতে নেয়া স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘লিংকন’ নামক সিনেমাটি ছিল আমেরিকার অন্যতম জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে নিয়ে নির্মিত; আততায়ীর হাতে নিহত লিংকনের মৃত্যু নিয়ে ব্যথিত কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান লিখেছিলেন তার অনবদ্য কবিতা ‘ও ক্যাপটেন, মাই ক্যাপটেন’; শব্দশিল্পী থাবিসো মোহারে ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির পিতা নেলসন ম্যান্ডেলা মারা যাওয়ার পর লেখেন তার অমর কবিতা ‘এ্যান অর্ডিনারি ম্যান’; আমেরিকার জাতির জনক জর্জ ওয়াশিংটনকে নিয়ে কবি, সমালোচক ও প্রাবন্ধিক জেমস রাসেল লাউয়েল রচনা করেছিলেন তার উদ্দীপনামূলক কবিতা ‘জর্জ ওয়াশিংটন’; শিশুদের জন্য মিজ জ্যাকি ওয়েজম্যান এর ‘সিঙ এ্যাবাউট মার্টিন’ শিরোনামের গানটি ছিল ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ খ্যাত ভাষণের নায়ক আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে নিয়ে রচিত। আধুনিক তুরস্কের জনক মোস্তফা কামাল আতাতুর্ককে নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য কবিতা, গল্প ও উপন্যাস। ফুটবল ঈশ্বর পেলে থেকে শুরু করে হালের প্রযুক্তি গুরু স্টিভ জবস এর জীবন নিয়েও নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র, গান ও কবিতা। যুগে যুগে এভাবেই বিখ্যাত মনীষীদের জীবনাদর্শ নিয়ে নির্মিত হয়েছে গল্প-কবিতা-নাটক-উপন্যাস-গান ও চলচ্চিত্র। লেখা হয়েছে অজস্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ। প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাধর্মী লেখা। তেমনিভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবন এবং কর্ম নিয়ে দেশে-বিদেশে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। গবেষকরা বলছেন- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত কাব্য, মহাকাব্য ও অন্যান্য সাহিত্য কিংবা প্রবন্ধ, নিবন্ধ লেখা বা গবেষণা হয়েছে, দুনিয়ার আর কোন জননেতা বা রাষ্ট্রনায়কের ওপর এত রচনা এখনও রচিত হয়নি। স্বাধীনতা পূর্ব ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মানব মুক্তির দিশারি বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও ভাবনা কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকদের উৎসাহিত করেছে নানাভাবে। সেজন্য তারা বঙ্গবন্ধুর মধ্যে প্রেরণা অন্বেষণ করে জাতিকে মুক্তির পথে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাদের লেখায় বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপনের মাধ্যমে। এছাড়া বিশেষ করে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মতো দ্রোহে জ্বলে উঠেছিলেন দেশ-বিদেশের বহু কবি, ছড়াকার, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কথাসাহিত্যিক। ফলে এ সময়ও রচিত হয়েছে অসংখ্য গল্প-ছড়া-কবিতা-নাটক-গান-প্রবন্ধ-নিবন্ধ। সাংবাদিক ও কলামিস্ট মোতাহার হোসেন জানাচ্ছেন- বঙ্গবন্ধুর জীবনের এসব অনুষঙ্গ নিয়ে ইতোমধ্যে এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশে প্রায় তেরো শ-এর উপরে মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা একাডেমি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিশু একাডেমি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে এসব বই প্রকাশিত হয়েছে। এর বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিশ্বের খ্যাতিমান লেখকরা প্রচুর বই লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। এ বইগুলো বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় প্রকাশিত। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ওপর বেশ কিছু বই চীনা, জাপানী, ইতালি, জার্মানি, সুইডিশসহ কয়েকটি বিদেশী ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। এখনও প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর ওপর বই বের হচ্ছে। গবেষণা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশ্ব রাজনীতিতে একজন মানবতাবাদী দার্শনিক, শিক্ষাগুরু ও পথপ্রদর্শক হিসেবে তাঁর দেয়া বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি-ভাষণ থেকে বিশ্ব নেতারা গবেষণা করে তথ্য-উপাত্ত নিজেদের জীবনে, রাজনীতিতে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রয়োগ করছেন। সে হিসেবে বিভিন্ন ভাষায় বঙ্গবন্ধুর উপর প্রকাশিত সর্বশেষ বইয়ের সংখ্যা কত এ হিসাব করাও কষ্টসাধ্য। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে রাজনীতির কবি-পোয়েট অব পলিটিক্স-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবেদন প্রায় সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে স্বদেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের পাশাপাশি সারা বিশ্বের লেখকগণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশপ্রেম ও অবিস্মরণীয় অবদান নিয়ে রচনা করেন সাড়া জাগানো গান, ছড়া, কবিতা ইত্যাদি। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি ছড়া-কবিতা-গান রচনা করেন ভারতীয় সাহিত্যিকরা। তারা নানা দৃষ্টিকোণে চিত্রিত করেছেন বঙ্গবন্ধুকে। ভারতীয় লেখকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলোর অন্যতম হলো গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের লেখা ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতাটি, যা গান হিসেবে এখনও সমাদৃত। কবিতাটি গান আকারে গেয়েছিলেন অংশুমান রায়। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ‘শোনো, একটি মুজিবরের থেকে/লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি/আকাশে-বাতাসে ওঠে রণি/বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’ গানটি প্রেরণা যোগাত, আশার সঞ্চার করত মুক্তিকামী বাঙালীর হৃদয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় কবি অমিত বসু বঙ্গবন্ধুর হাতে হাত রেখে সকলকে মুক্তিযুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান- গঙ্গা তীরে দুঃস্বপ্নের রাত/হঠাৎ বিদ্যুত চমকায়/রক্ত আজ সাড়া দেয়/উদ্বিগ্ন যৌবনা পদ্মা/তরঙ্গ পাবন হয়ে ডাকে/চলো যাই/মুজিবের হাতে হাত/বাঙালীর বাঁচার লড়াই (চলো যাই/ অমিত বসু)। অমিয়ধন মুখোপাধ্যায়ও কবিতায় ওড়ান বিজয় পতাকা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান/তোমায় শত কোটি প্রণাম/আমি বাঙালী গঙ্গার এপারে/তুমি বাঙালী পদ্মার ওপারে/ তাতে কি?/ আমাদের তো একই আত্মা/একই ভাষা বাংলা ভাষা/একই সঙ্গে গাই বাংলার জয় গান/ওড়াই আকাশে বাংলার জয় নিশান (রক্ত-তীর্থের গণদেবতা/অমিয়ধন মুখোপাধ্যায়)। বিনোদ বেরা বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে বলেছেন- এ দৃঢ় জ্বলন্ত দেশপ্রেম/প্রাণ তুচ্ছ করা এ যৌবন/নিষ্ফল হবে না মুজিবর,/রাহুমুক্ত হবে বাংলাদেশ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে/বিনোদ বেরা)। কবি গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় তার ‘বাংলাদেশের ডাক’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুকে চিত্রিত করেছেন এভাবে- বীর মুক্তি ফৌজ জানে, সোনার বাংলায় আর নয়/কুচক্রী বিদেশীদের আধিপত্য, আনবে তারা বাঙালীর জয়/যে-কোন মূল্যেই; দেবে তারা সংখ্যাহীন প্রাণ বলিদান;/বাংলার প্রতি ইঞ্চি মাটি, সে যে মায়ের সমান!/ভয় নেই, পাশে আছে বীর নেতা শেখ মুজিবুর,/আর সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর প্রতিজ্ঞা দুর্মর (বাংলাদেশের ডাক/গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়)। যুদ্ধকালীন সময়ে কবি রামেন্দ্র দেশমুখ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য সকল বাংলা ভাষী নর-নারীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান- এসো তবে রোশেনারা, অগ্নিময় নর-নারী যত/রক্তসন্ধ্যা এই চৈত্রময়/দীপকে ঝংকার তুলি বাঙালীর শব্দের মালায়/কপোতাক্ষী নদীকূলে নববর্ষে নতুন আশায়/মুজিবের জয় বাংলা জয় (রক্ততিলক/ রামেন্দ্র দেশমুখ্য)। প্রেমেন্দ্র মিত্র কবিতায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লিখেছেন- সে শুধু বাড়ায় যেই হাত,/শুদ্ধ এক ভাবীকাল অমল প্রীতির/এ পঙ্কিল সময়েরও স্রোত ঠেলে, যেন/মেলে ধরে আরেক প্রভাত।/নানা পরিচয়ে আসে,/কত যুগ কত দেশ ভিন্ন নামে তবু/শোনে তার একই কণ্ঠস্বর।/আজ আমাদেরই মাঝে মুগ্ধ মন জানে/নাম তার বন্ধু মুজিবুর! (বন্ধু/প্রেমেন্দ্র মিত্র)। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমান সব যে এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সে কথাই ধ্বনিত হয়েছে সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায়- শোনে বাংলার জনসমুদ্রে জোয়ারের হুংকার,/বিপ্লব স্রোতে নিঃশেষ হবে দুশমন জনতার।/জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলার জয়।/মুজিবের ডাকে এক হয়ে গেছে হিন্দু-মুসলমান/অমানিশা গেছে উঠেছে সূর্য আঁধারের অবসান (মুজিবের ডাকে/সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর)। আর কবি পরমানন্দ সরস্বতী লিখলেন তার সেই মনকাড়া ব্যঙ্গ ছড়াটি- এক ফুঁয়েতে টিক্কা ফতে,/কল্কে হলো খালি/ইয়াহিয়ার আশার ভাতে/মুজিব দিলেন বালি (পূর্ববাংলার ছড়া/পরমানন্দ সরস্বতী)। কবি বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেছেন এই প্রত্যয় দীপ্ত শব্দগুচ্ছে- আমার তোমার নয়, চাও তুমি বাংলার জয়/তারই লাগি মৃত্যুমুখে আগাইয়া গিয়াছ নির্ভয়,/তোমার বিরাট সত্তা আজি তাই হিমাদ্রি-সমান/বাঙালীর সর্ব গর্ব তোমাতেই আজি দ্যূতিমান।/আমি বাংলার কবি তাই বন্ধু ছুটিয়া এলাম/মুজিবুর রহমান লহ মোর সহস্র সেলাম (সহস্র সেলাম/বনফুল)। মার্কিন সাহিত্যিক রবার্ট পেইন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ১৯৭৭ সালে লেখেন তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য টর্চার্ড এ্যান্ড দ্য ডেমড’। উপন্যাসটিতে এক স্কুল শিক্ষকের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতা ও বর্বরতা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে গণজাগরণ সৃষ্টি, মুক্তি বাহিনীর প্রতিরোধ এবং সবশেষে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া সালমান রুশদীর ‘মিডনাইটস্ চিলড্রেন’ এবং ‘শেইম’, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পূর্ব-পশ্চিম’, জাপানি গবেষক ড. কাজুও আজুমা, প্রফেসর নারা, বসনিয়ার কবি ইভিকাপিচেস্কি, ব্রিটিশ কবি টেড হিউজের লেখায় বঙ্গবন্ধু উপস্থাপিত হয়েছেন নানাভাবে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান সাহিত্যিক আবিদ খানের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা ‘সিজনাল এডজাস্টমেন্ট’ উপন্যাসেও প্রাসঙ্গিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কথা এসেছে বলে বিভিন্ন বাঙালী গবেষক ও লেখকদের লেখা হতে আমরা জানতে পারি। জনমানুষের কবি বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের সকল দেশের শোষিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও সংগ্রামের প্রতীক। এ মহামানবকে নিয়ে সাহিত্য রচিত হবে- এটাই স্বাভাবিক। বিশ্ব পরিম-লের অমূল্য সম্পদ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী বা পরবর্তী সময়ে বিদেশী লেখকদের রচিত অনেক লেখাই হয়ত এখনও আমাদের অজানা। বস্তুত কি পরিমাণ সাহিত্য বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভিনদেশে রচিত হয়েছে তার হিসাব আমরা জানি না। এটা আমাদের সীমাবদ্ধতা। তাই এ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিদেশীদের রচিত সকল লেখা দ্রুত সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। জরুরী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিদেশী লেখকদের লেখা বাংলাদেশে প্রকাশের ব্যবস্থা করে বর্তমান প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেয়া। এছাড়া বিদেশী সাহিত্যিকরা যাতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন নতুন সাহিত্য রচনায় ব্রতী হন সে ব্যবস্থাও আমাদের করতে হবে। এ কাজে বিদেশস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বা দূতাবাসগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। তারা বছরে অন্তত এক থেকে দুবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশেষ সাহিত্য সম্মেলন এবং ‘বঙ্গবন্ধু বইমেলা’র আয়োজন করবে। যেখানে সে দেশের বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক-অধ্যাপক-সাহিত্যপিপাসু তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি থাকবে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ হতে বিশিষ্ট লেখক যারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ওইসব অনুষ্ঠানে বিস্তারিত তুলে ধরতে পারবেন তাদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে। এর মাধ্যমে বিদেশীরা বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে পারবে এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাহিত্য রচনায় উদ্বুদ্ধ হবে। লেখক : উপ-সচিব, উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার কার্যালয়, বরিশাল
×