ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির -জীববিজ্ঞান

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ২৮ জুন ২০২০

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির -জীববিজ্ঞান

পাঠ শিরোনাম: সাইটোপ্লাজমের রাসায়নিক প্রকৃতি এবং বিপাকীয় ভূমিকা সাইটোপ্লাজম ও অঙ্গাণু (কোষ অঙ্গাণু) সমূহের অবস্থান, গঠন ও কাজ, রাইবোজোম এর অবস্থান, গঠন ও কাজ। গঠন: রাইবোসোম প্রধান প্রোটিন ও rRNA দিয়ে তৈরি। রাইবোসোমের বহু প্রোটিন মূলত এনজাইম। mRNA অণু রাইবোসোমের সাথে যুক্ত হলে tRNA--র সহায়তায় প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়। সংশ্লেষের সময় একই সাথে পরস্পর বেশ কয়েকটি রাইবোসোম mRNA-এর সাথে যুক্ত হলে তখন তাকে পলিরাইবোসোম (polyribosome) বা পলিসোম বলে। কাজ : প্রোটিন সংশ্লেষণ করা। প্রোটিন সংশ্লেষণের শুরুতে mRNA আদি কোষের ৩০ S এবং প্রকৃত কোষের ৪০ S সাব ইউনিটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এরপর ৫০ঝ এবং ৬০ S সাব-ইউনিটে একত্রিত হয়ে যথাক্রমে ৭০ S (আদি কোষে) এবং ৮০ S (প্রকৃত কোষে) একক গঠন করে। গলগি বস্তুর অবস্থান, গঠন ও কাজ: গলগি বস্তু: নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অবস্থিত এবং দ্বিস্তর বিশিষ্ট ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ ছোট নালিকা, ফোস্কা, চৌবাচ্চার ন্যায় সাইটোপ্লাজমিক ক্ষুদ্রাঙ্গের নাম গলগি বস্তু । কাজ ঃ (১) লাইসোজম তৈরী করা (২) অ-প্রোটিন জাতীয় পদার্থের সংশ্লেষন করা । লাইসোসোম এর অবস্থান, গঠন ও কাজ: লাইসোসোম : Lyso = হজমকারী, somo = বস্তু। ইউক্যারিওটিক কোষে যে থলি আকৃতির ও ঝিল্লীবেষ্টিত অঙ্গাণু অন্তঃকোষীয় পরিপাকের মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করে, তাকে লাইসোসোম বলে। লাইসোসোম এক ধরণের ক্ষুদ্র, গোল থলি আকৃতির অঙ্গাণু। এগুলো গলগি বস্তুর কাছাকাছি অবস্থান করেএবং নির্দিষ্ট আকার-আকৃতিবিহীন। এদের ব্যাস ০.২ - ০.৮ ব্যাস। লাইসোসোমের কাজ ঃ এদের কাজ হল (i) ফ্যাগোসাইটোসিস (phagocytosis) বা আক্রমণকারী জীবাণু ভক্ষণ। (i i) বিগলনকারী এনজাইমসমূহকে আবদ্ধ করে রেখে এটি কোষের অন্যান্য ক্ষুদ্রাঙ্গকে রক্ষা করে। (i i i) লাইসোসোম সম্ভবত পরিপাক কাজে সাহায্য করে। পাঠ শিরোনাম: গলজিবস্তু, লাইসোজোম, এর অবস্থান, গঠন ও কাজ: এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ঃ পরিণত কোষে সাইটোপ্লাজমে যে জালিকা বিন্যাস দেখা যায় তাই এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা। প্রকার ঃ এটি দু’প্রকার (১) মসৃন (২) অমসৃন । কাজ ঃ এটি প্রোটোপ্লাজমের কাঠামো হিসাবে কাজ করে । সেন্ট্রিওলের এর অবস্থান, গঠন ও কাজ: উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষে যে অঙ্গাণু স্বপ্রজননক্ষম, নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থিত এবং একটি গহ্বরকে ঘিরে ৯টি গুচ্ছ প্রান্তীয় মাইক্রোটিবিউল নির্মিত, খাটো নলে গঠিত তাকে সেন্ট্রিওল বলে। বিজ্ঞানী Van Benden এটি আবিষ্কার করেন। সেন্ট্রিওল নলাকার, প্রায় ০.২৫ ব্যাস সম্পন্ন ও ৩.৭ ব্যাস লম্বা। এরা দেখতে বেলনাকার, দুমুখ খোলা পিপার মতো কাজ : ১। কোষ বিভাজনকালে মাকুতন্তু গঠন করে এবং ক্রোমোসোমের প্রান্তীয় গমনে সহায়তা করে । ২। ফ্ল্যাজেলা ও সিলিয়াযুক্ত কোষে ফ্ল্যাজেলা ও সিলিয়ার সৃষ্টি করা । মাইটোকনড্রিয়া ঃ দ্বিস্তর আবরণী বিশিষ্ট ঝিল্লী দ্বারা পরিবেষ্টিত, দন্ডাকৃতি, গোলাকৃতি, বৃত্ত অথবা তারকাকৃতি বদ্ধ থলির মত সাইটোপ্লাজমস্থ যে অঙ্গাণুতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ঘটে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন হয় সেই অঙ্গাণুকে মাইটোকনড্রিয়া বলে। প্রতিকোষে মাত্র একটি মাইটোকন্ড্রিয়ন থাকে। সাধারণত উদ্ভিদের প্রতি কোষে মাইটোকনড্রিয়ার সংখ্যা ২০০ থেকে ৪০০ নিন্মলিখিত অংশ নিয়ে মাইটোকনড্রিয়া গঠিতঃ ১। আবরণী, ২। প্রকোষ্ঠ, ৩। ATPsynthases ও I ETS, ৪। DNA, ৫। রাইবোসোম।
×