ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যায় ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ২৭ জুন ২০২০

কুড়িগ্রামে বন্যায় ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সে.মিটার এবং ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩৮ সে.মিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪ সে.মিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উজান থেকে নেমে আসা পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকায় জেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমির আউশ, পাট, ভুট্টা, কাউন, চিনা ও শাকসবজির ক্ষেত। এছাড়া ও নদী ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায়, ধরলা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৮ সে.মিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৭ সে.মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সরজমিন সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরযাত্রাপুর এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। করোনার কারণে এমনিতেই কাজকর্ম নেই, তার উপর বন্যার আঘাতে বিপর্যদস্ত হয়ে পরেছে বানভাসিরা। এদিকে প্রচন্ড নদী ভাঙ্গনের মুখে পরেছে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, থেতরাই, বুড়াবুড়ি, বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ। ভাঙছে রৌমারীর কর্ত্তিমারী, চিলমারীর নয়ারহাট, কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ও সারডোব এলকায়। গত এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে গেছে। ব্রহ্মপুত্রের চর মশালের চরের বাসিন্দা মুসা মিয়া ও ভগবতির চরের জাহাঙ্গীর আলম জানান, চরের অধিকাংশ ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকেই উঁচু ভিটায় থাকলেও নিচু ভিটার বাসিন্দারা নৌকা ও চৌকির উপর আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তারা। নওয়াবশ গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রামের রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গর্ত পড়ায় চলাচল করা যাচ্ছেনা। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ভাঙ্গন কবলিতদের সড়িয়ে আনতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও শুক্রবার ভাঙ্গন কবলিত উপজেলাগুলোতে ৩০২ মে.টন চাল ও ৩৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
×