ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির পশু নিয়ে শঙ্কায় রাজশাহীর খামারিরা

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২৭ জুন ২০২০

কোরবানির পশু নিয়ে শঙ্কায় রাজশাহীর খামারিরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সামনে কোরবানির ঈদ। ঈদের প্রধান অনুসঙ্গ কোরবানির পশু। এই মৌসুমে দেশী গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলের হাটগুলোতে। তবে করোনাকালে এবার কোরবানির হাটে ভারতীয় গরু আসছে না। এমন সংবাদের পরও রাজশাহীর গরুর খামারিদের মনে স্বস্তি নেই। কারণ, করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের কারণে হাট জমবে কিনা তা নিয়ে অনেকটা অস্বস্তিতে পড়েছেন খামারিরা। খামারে পালন করা পশুর ভাল দাম পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে তাদের মনে। রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে কোরবানির পশুর চাহিদা আছে তিন লাখের কিছু বেশি। আর ছোটবড় মিলে ১৭ হাজারের বেশি খামার। এসব খামারে যে গরু আছে তা দিয়ে আসন্ন কোরবানির চাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি এবারে আসছে না ভারতীয় গরু। এতে খামারিরা আছেন সুবিধাজনক অবস্থায়। তবে, করোনাভাইরাস খামারিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তারা আশঙ্কা করছেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবারে কোরবানির হাট জমতে নাও পারে। শুধু তাই নয়, অনেকেই আর্থিক সঙ্কটের কারণে এবার কোরবানি নাও দিতে পারে। রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগধানীর খামারি উজ্জ্বল জানান, প্রতিবছর তিনি বাড়িতে ২ থেকে ৩টি গরু পালন করেন। এবারেও ৩টি গরু পালন করেছেন। ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা দাম হবে প্রতিটি গরুর। তিনি জানান, দীর্ঘ ৮ মাস ধরে গরুগুলো পালন করতে দেড় লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখন সঠিক দাম না পেলে পরিশ্রম বৃথা যাবে। খামারি উজ্জ্বল জানান, করোনাভাইরাসের কারণে তিনি বেশ চিন্তায় আছেন। পশুহাটগুলো জমবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা আছে। এছাড়া অনেকেই এবার আর্থিক সঙ্কটে আছে। সে কারণে বাজারে পশুর চাহিদাও কমতে পারে। বাগমারার আরেক খামারি দুলাল জানান, স্থানীয়ভাবে কেনাবেচা শুরু হয় পরে। তবে, দূরের পাইকাররা আগে আসেন। এবারে যে পরিস্থিতি তাতে তারা আশঙ্কায় আছেন যে, দূরের পাইকার ব্যবসায়ীরা খুব বেশি আসবে না।
×