ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠিকাদারের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানি

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২৭ জুন ২০২০

ঠিকাদারের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৬ জুন ॥ ঠিকাদারের কাছে পাওনা প্রায় ৩ লাখ টাকা তো দেইনি, উল্টো চুরি মামলায় আসামি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে প্রভাবশালী ঠিকাদার আঃ জব্বার মৃধা। এ ঘটনায় শুক্রবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজমিস্ত্রি ফরুক গাজীর স্ত্রী মমতাজ বেগম। শুক্রবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলার টাউন জৈনকাঠী নিবাসী রাজমিস্ত্রি ফারুক গাজীর সহধর্মিণী মমতাজ বেগম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী ফারুক গাজী পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার আয়ের টাকা দিয়ে আমাদের সংসার কোনমতে চলে। আমার স্বামী ঠিকাদার আঃ জব্বার মৃধার কাজের অর্থাৎ পটুয়াখালী পৌরসভার সরকারী মহিলা কলেজ থেকে দক্ষিণে ২নং বাঁধ পর্যন্ত দুই লেনের সড়কের নির্মাণ কাজের লেবার সর্দার হিসাবে ১৮-২০ শ্রমিক নিয়ে কর্মরত আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রচ- রৌদে কঠোর পরিশ্রম করে সড়কের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেন। কিন্তু এ কাজের ঠিকাদার আঃ জব্বার মৃধা আমার স্বামী ফারুক গাজীর মজুরির পাওনা ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেয়নি। একাধিকবার মজুরি টাকা চাইতে গেলে ঠিকাদার ও তার লোকজন হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। এমন পরিস্থিতিতে উক্ত মজুরি ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা না পেয়ে পারুক গাজী পটুয়াখালী পৌর মেয়রের কাছ ২৫-০৯-২০১৯ উক্ত টাকা পাওয়ার জন্য একটি লিখিত দরখাস্ত করে। মেয়রের কাছে দরখাস্ত করায় ঠিকাদার আঃ জব্বার মৃধা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক গাজীকে খুন জখমসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়ে টাকা দিচ্ছে না। গত ৬ জুন আঃ জব্বার মৃধা পরিচালিত ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকোর পরিবেশক হাজী এ্যান্ড সন্সে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটে। এতে জব্বার মৃধা বাদী হয়ে সদর থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঠিকাদার জব্বার মৃধা পাওনা ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা না দেয়ার জন্য ফারুক গাজীকে হয়রানির অসৎ উদ্দেশ্যে সিগারেট চুরি মামলায় মিথ্যাভাবে ৭ নম্বর আসামি করে বলে লিখিত বক্তব্যে মমতাজ বেগম উল্লেখ করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আসামি করায় তার স্বামীর আয় রোজকার বন্ধ হয়ে গেছে। তার ওপর করোনার থাবায় তার সংসার সন্তান নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মমতাজ বেগম তার লিখিত বক্তব্যকালে কান্না জড়িত কণ্ঠে মিথ্যা স্বামীর মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি ও পাওনা ২ লাখ ৭৫ হাজার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দাবি জানান।
×