ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্রাজিলে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে

প্রকাশিত: ২২:১৯, ২৭ জুন ২০২০

ব্রাজিলে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনাভাইরাসের নতুন হটস্পট এখন লাতিন আমেরিকা। সেখানকার দেশ ব্রাজিলে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ হাজরেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মেক্সিাকোর অবস্থাও বিপর্যয়কর। এখন পর্যন্ত সেখানে দুই লাখ শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যু ২৫ হাজারেরও বেশি। এছাড়া এশিয়ার দেশ ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখের কাছাকাছি। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদিতে আক্রান্তের হার কমছে। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, গার্ডিয়ান, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটার ডট ইনফোর। ওয়ার্ল্ডোমিটারের মতে, দুনিয়াজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮ লাখ ছাড়িয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯৮ লাখ ১৪ হাজার ৭৬০ জন হয়েছে। এর মধ্যে চার লাখ ৯৩ হাজার ৫০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৩ লাখ ৩ হাজার ৪১৬ জন। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৭১৮ জন। মারা গেছেন পাঁচ হাজার ১৭৯ জন। আগের দিন আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৬৫৪ জন। মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৭৬ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ১১২ জন। যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৪১ জন। মেক্সিকোতে আরও ৭৩৬ মৃত্যু ॥ করোনায় সরকারী হিসেবে মেক্সিকোতে মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ লাখের কিছু বেশি। মেক্সিকোর স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় ৭৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারী হিসেবে করোনায় সর্বমোট মৃত্যু ২৫ হাজার ৬০। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ১০৪ জন। মোট করোনা শনাক্ত বেড়ে দাঁড়াল দুই লাখ দুই হাজার ৯৫১। এরই মাঝে দেশটির অর্থমন্ত্রী আরতুরো হেরেরা করোনা পজিটিভ হয়েছেন। যদিও তার উপসর্গ তেমন গুরুতর নয়। এ অবস্থায় আইসোলেশনে গিয়ে বাসা থেকেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মেক্সিকোতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। মার্চেও শেষের দিকে দেশটি লকডাউনের দিকে যায়। লকডাউনে বিলম্ব করা ও দ্রুত তা তুলে নেয়ার জন্য মেক্সিকোর সমাজতন্ত্রী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদার সমালোচিত হচ্ছেন। করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ও মৃত্যুর মাঝেই চলতি মাসের শুরুর দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেয় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ॥ যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। রয়টার্স সংবাদ সংস্থার টালি অনুসারে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ হাজার ১৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, আলাবামা, এ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, আইডাহো, মিসিসিপি, মিসৌরি, নেভাডা, ওকলাহোমা, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া ও ওয়াইমিং অঙ্গরাজ্যে রেকর্ডসংখ্যক করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের টালি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারী হিসেবে এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক লাখ ২৭ হাজার মানুষের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাড়ে ১০ লাখের কিছু বেশি। ভারতে মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল ॥ লকডাউন শিথিলের পর ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ২৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারী হিসেবে নতুন করে ৪০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে করোনায় মোট মৃত্যু দাঁড়াল ১৫ হাজার ৩০১ জনে। শেষ ১৭ হাজার ২৯৬ শনাক্ত নিয়ে সেখানে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৯৯২ জনে। সংক্রমণ বেড়ে চলায় ৩০ জুন থেকে পুনরায় নিয়মিত রেল যোগাযোগ চালুর কথা থাকলেও আগামী ১২ আগস্টের আগ পর্যন্ত তা পুরোপুরি চালু করা হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সৌদিতে কমছে আক্রান্তের হার ॥ সৌদি আরবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ৩৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭০ হাজার ৬৩৯ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪১ জন। দেশটিতে এ নিয়ে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৪২৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার বেশি। একদিনে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৫ জন। মোট সুস্থ এক লাখ ১৭ হাজার ৮৮২ জন। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে গত কয়েকদিনে দৈনিক চার হাজারের ওপর আক্রান্ত হলেও এখন আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। জানা যায়, দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ৫১ হাজার ৩২৫ জন। এদের মধ্যে দুই হাজার ২০৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মহাদেশভিত্তিক অবস্থা ॥ বিশ্বের ছয় মহাদেশে করোনার যে চিত্র পাওয়া যায় তাতে ইউরোপে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখ ৮১ হাজার ১৭৯ জন। মারা গেছেন এক লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৪ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৯০৮ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আট লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ছয় হাজার ৯২ জন। নতুন করে মারা গেছেন নয় হাজার এক শ’ জন। মারাও গেছেন ২৪১ জন। উত্তর আমেরিকায় আক্রান্ত ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭৭ জন। মারা গেছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ১৬৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৯ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ১৪ লাখ ৭৬ হাজার ২৬৪ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬৫ জন। নতুন আক্রান্ত আট হাজার ৮৯ জন। মারা গেছেন ৭৮৩ জন। দক্ষিণ আমেরিকায় মোট আক্রান্ত ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ২০১ জন। মারা গেছেন ৭৭ হাজার ৮৮৮ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন সাত লাখ ৭৩ হাজার ৯৭ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১২ হাজার ৭২৭ জন। এশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৯০ হাজার ৯২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৩৫৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৯ জনের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ছয় লাখ ৮৪ হাজার ২৯১ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১৯ হাজার ৭৯ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮৫ জন। মারা গেছেন ৩৩৪ জন। আফ্রিকায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৫১ হাজার ৩৬৭ জন। মারা গেছেন নয় হাজার ১১৫ জন। সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৩ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৮৮২ জন। ওশেনিয়ায় নয় হাজার ২২৪ জন। মারা গেছেন ১২৬ জন। সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৫৪৯ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৯ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন।
×