ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লাইনে অগ্নিকান্ড

লাইন কাটা পড়ায় রাজধানীর একাংশে গ্যাস ছিল না

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ২৭ জুন ২০২০

লাইন কাটা পড়ায় রাজধানীর একাংশে গ্যাস ছিল না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুয়ারেজ লাইন মেরামত করতে গিয়ে গ্যাস পাইপ লাইনে আগুন ধরে যাওয়াতে রাজধানীর মিরপুর, মোহম্মদপুর এবং ধানমন্ডির একাংশে শুক্রবার টানা ১০ ঘণ্টার বেশি সময় গ্যাস ছিল না। এদিন ভোর পৌনে ৫টায় রাজধানীর শেওড়াপাড়া ইকবাল রোডে ওয়াসা সুয়ারেজ লাইন মেরামত করার সময় দুই ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ লাইন কেটে ফেলে। এতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে গাবতলী থেকে মূল গ্যাস সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দেয়া হলে রাজধানীর বড় একটি অংশের গ্যাস সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, ৪টা ৪৩ মিনিটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সূত্র বলছে এর আগেও ওয়াসা পানির পাইপ এবং সুয়ারেজ লাইন বসাতে গিয়ে এভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মূলত একটি সংস্থার সঙ্গে অন্য সংস্থার সমন্বয় না থাকাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এখন মাটির নিচে গ্যাস, বিদ্যুত, পানি, টেলিকমিউনিকেশন এবং সুয়ারেজ লাইন রয়েছে। ফলে যে রাস্তায় কাজ করা হচ্ছে সেই রাস্তার কোথায় কোন লাইন রয়েছে তার নক্সা দেখে কাজ না করাতে বার বার এই সমস্যা সৃষ্টি হয়। তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গ্যাসলাইনে আগুন লাগার পর তা আর নেভান যাচ্ছিল না। আগুন নেভাতে গাবতলী থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। আকস্মিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শিকার হয়। অনেক বাসাতেই সকাল এবং দুপুরের রান্না করা সম্ভব হয়নি। করোনার কারণে বাইরে থেকেও খাবার কিনে আনা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। তিতাস বলছে, পাঁচটায় লাইনটি কাটা পড়লে তিতাসকে জানানো হয়। কিন্তু আগুন কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাতে পরে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শুক্রবার আড়াইটার দিকে পাইপ লাইনটি মেরামত শেষে পুনরায় সরবরাহ চালু করা হয়। তবে গ্যাসের সরবরাহ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকের বাসায় গ্যাসের পাওয়া যায় না। এজন্য সরবরাহ স্বাভাবিক হতে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। পাইপ লাইন কাটার ফলে শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়াসহ মিরপুরের একাংশ, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডির কিছু এলাকায় গ্যাস ছিল না। রাজধানীতে যাত্রাবাড়ী এবং গাবতলী দুই দিক দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ঢাকা উত্তরে যাত্রাবাড়ী এবং দক্ষিণের একটি অংশে গাবতলী সিটিগেট দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। তবে কোন কারণে এক দিকে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকলে অন্যদিকে গ্যাসের সরবরাহ বাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মোঃ আল মামুন বলেন, ওয়াসার সুয়ারেজ লাইন মেরামত করতে গিয়ে তিতাসের পাইপ লাইন কাটা পড়াতে কিছু এলাকায় গ্যাস বিচ্ছন্ন ছিল। কিন্তু বেলা ২টার পর থেকে গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক হয়েছে।
×