ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খুররম মমতাজ

সেই রাশিয়া

প্রকাশিত: ০১:১২, ২৬ জুন ২০২০

সেই রাশিয়া

পূর্ব প্রকাশের পর মীরা জানতে চেয়েছিলেন কে কোন শহরে যেতে চায়। অধিকাংশই বললো মস্কো, বাঙালি ছাত্রদেরও প্রথম পছন্দ মস্কো। আমাকে যখন জিজ্ঞেস করলেন, বললাম লেনিনগ্রাদ যেতে চাই। মীরা অবাক হলেন, জিজ্ঞেস করলেন লেনিনগ্রাদ! কেন বলো তো? আমি তাকে বহুদিনের ইচ্ছেটার কথা বললাম, দস্তয়েভস্কির উপন্যাসের কথা বললাম, মীরা অবাক হলেন, খুশিও হলেন। ভাষা শেখার কোর্স শেষ। এই উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠান হলো ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে। মঞ্চে বসে আছেন ইন্সটিটিউটের হোমরা-চোমরা ব্যক্তিরা। ভিসি, কয়েকজন ডিন, রেজিস্ট্রার... তাদের মধ্যে কনস্তানতিন কিরিলকেও দেখলাম। কিরিল আমাদের ইতিহাস পড়াতেন। এখানে ভাষা শেখাটাই মূল কাজ, পাশ করে সবাই চলে যাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন শহরে। কেউ পড়বে ইঞ্জিনিয়ারিং, কেউ ডাক্তারি, কেউ হয়তো বিজ্ঞানের অন্য কোনো শাখায়। তবে যে যাই পড়–ক, ইতিহাস শিখতেই হবে, ইতিহাস শেখাটা জরুরি- তাই রুশ ভাষার পাশাপাশি ইতিহাসও পড়তে হয়েছে সব ছাত্র-ছাত্রীকে। কিরিলের ক্লাস ছিল সপ্তাহে একদিন। আজারবাইজানের ইতিহাস পড়াতেন তিনি। মাঝে মাঝে শহরে নিয়ে যেতেন আমাদের। একবার নিয়ে গেলেন একটা ভাস্কর্যের সামনে। ভাস্কর্যের নাম- ‘বাকুর ছাব্বিশজন শহীদ’। দেয়ালের গায়ে কালো পাথরের ম্যুরাল, তাতে মৃত্যুপথযাত্রী কিছু মানুষের মূর্তি। কেউ কেউ গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, বাকিরা অপেক্ষা করছে ভয়ার্ত ভঙ্গিতে। একদম বাঁয়ে একজন- সে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও এক হাত শূন্যে তুলে কিছু একটা শ্লোগান দিচ্ছে। আমার মনে পড়ে গেল আমাদের যুদ্ধদিনের শ্লোগান- ‘জয় বাংলা!’ কিরিলের পড়ানোও খুব আকর্ষণীয় ছিল। প্রায়ই তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে নিতেন বোর্ডের সামনে। যার যার দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে কিছু বলতে বলতেন। ভিয়েতনামি ছাত্ররা বলতো ভিয়েতনাম যুদ্ধের কথা, ভিয়েতকং গেরিলাদের কথা, কিউবান অস্কার বলতো ফিদেল ক্যাস্ত্রো আর চেÑ দুই বিল্পবী বন্ধুর গল্প। সবই ভাঙা ভাঙা রুশ ভাষায়। তবু বুঝতে কোনো অসুবিধা হতো না। এই ক্লাসেই আমি তানুশকার মুখে শুনেছিলাম ইনকা রাজাদের কথা। কীভাবে তারা যুদ্ধ করেছিল স্প্যানিশ দখলদারদের বিরুদ্ধে। পরাজিত ইনকা রাজা তুপাক আমারুকে কীভাবে মেরেছিল স্প্যনিশরা। রাজার চার হাত-পায়ের সঙ্গে তারা বেঁধে দিয়েছিল চারটা শক্তিশালী ঘোড়া, তারপর ছুটিয়ে দিয়েছিল ঘোড়াগুলোকে চাবুক মেরে। ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তুপাক আমারুর শরীর। রাজার শরীরের পাঁচটি টুকরোকে তারা পাঠিয়ে দেয় পাঁচ জায়গায়। সারা ক্লাস ¯তব্ধ হয়ে শুনেছিল সেদিন তানুশকার কথা। আমারও সুযোগ হয় একদিন। আমিও ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি। কতটুকুই বা ভাষা জানি তখন! তবু নিজের চোখে দেখা পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংসতার কথা বলি আমি। বলি যে ভিয়েতকংদের মতো, কিউবার পাহাড়ে বিপ্লবীদের মতো বাংলাদেশের মানুষও মুক্তিযুদ্ধ করেছে এবং জয়ী হয়েছে। কিরিল সবার গল্পই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতেন, শেষ হলে দু’একটা প্রশ্ন করতেন। টেবিলের গায়ে তার ক্রাচটা হেলান দেওয়া থাকতো। গল্প শেষে হাত বাড়িয়ে ক্রাচটা নিতেন তিনি, তারপর ক্রাচে ভর দিয়ে ঠকঠক করে এগিয়ে এসে হ্যান্ডশেক করতেন, ধন্যবাদ দিতেন। ইতিহাসের সেই শিক্ষক কিরিল মঞ্চে বসে আছেন। ক্লাসে যেমন কোট-টাই পরে আসেন তিনি, আজকেও তার পরনে একই পোশাক। তবে আজকে বিশেষ দিন, তাই কোটের উপরে তার বুকের কাছে একসারি খুদে খুদে পদক লাগানোÑ যুদ্ধে তার বীরত্বের স্বীকৃতি। বক্তৃতার সময় কিরিল সেই ঘটনাটা বর্ণনা করলেন, যে ঘটনায় তিনি তার পা হারিয়েছেন। যে ঘটনায় তার মুখের ডান পাশ ঝলসে গেছে। কিরিল প্রথমেই বলেনÑ এই ঘটনায় আমার তেমন বীরত্ব নেই, কেননা সেই সময় সবাই যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। আহতও হয়েছিল অনেকে, আমি ভাগ্যবান, ফিরে আসতে পেরেছি যুদ্ধ থেকে। অনেকে ফেরে নাই। যুদ্ধের সময় কিরিলের বয়স ছিল সাতাশ বছর। নানা ফ্রন্টে পোস্টিংয়ের পর তাকে পাঠানো হয়েছিল স্তালিনগ্রাদে। সেখানে তখন লড়াই চলছিল মরণপন। দুই পক্ষই মরিয়া। দুই পক্ষই জানে এখানে স্থির হবে মহাযুদ্ধের জয়-পরাজয়, এই স্তালিনগ্রাদে। সময়ের হিসেব তখন চলছে মানুষের জীবন গুণে গুণে। ঘন্টায় কত প্রাণ গেল, কত সৈন্য হতাহত হলো। আক্রমণ তীব্র করেছে জার্মানরা। নদীর এপারে-ওপারে যুদ্ধ হচ্ছে। শহরের মধ্যেও লড়াই চলছেÑ প্রতিটা দালান, কারখানা আর রাস্তা দখলের মরণপন লড়াই। ভোলগা নদীর এদিক দিয়ে শত্রু তখনো পার হতে পারেনি। তাদের আটকে রাখার দায়িত্বে আছে কয়েকটি দল, পাশাপাশি লড়ছে তারা। এদের মধ্যে কিরিলের দলও আছে। ওপার থেকে আসছে গোলাগুলি, ওরা নদী পার হতে চায়। এপারে যদি চলে আসতে পারে, তাহলে পরাজয় নিশ্চিত। এপারে দাঁতে দাঁত চেপে লড়ছে সোভিয়েত বাহিনী। ট্রেঞ্চে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কিরিল। উপর থেকে হুকুম এসেছেÑ এক পা-ও পেছানো যবে না, জার্মানদের ঠেকাতেই হবে, যে কোনো মূল্যে। প্রায় আধ ঘন্টা একনাগাড়ে গুলি বিনিময়ের পর কিরিল দেখলো ওদিক থেকে উড়ে আসছে পাঁচ-ছ’টা লুফৎওয়াফে বোমারু বিমান। একটা সামনে, বাকিগুলো দু’পাশে একটু পিছনে, তীরের ফলার মতো। বিন্দু থেকে দ্রুত বড় হয়ে গেল ওগুলো। সোভিয়েত অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট কামান গর্জে উঠলো এপাশে একসাথে অনেকগুলো। কামান চালাচ্ছে স্তালিনগ্রাদের মেয়েরা। তার মধ্যেই টপাটপ বোমা ফেলতে লাগলো জার্মান পাইলট। চারপাশে শিলাবৃষ্টির মতো বোম পড়ছে। একটা ক’রে পড়ে, আর প্রচন্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পায়ের তলার মাটি। সরাসরি কিরিলের ট্রেঞ্চে পড়লো একটা বোমা। ছিটকে উঠলো কাদামাটি-আগুণ-স্পিøন্টার। সেসবের সঙ্গে নিজেও উড়ে গিয়ে দূরে পড়তে পড়তে কিরিলের কানে এলো মানুষের চিৎকার আর গোঙানি। কাদার ভিতর থেকে উঠতে চেষ্টা করছিল কিরিল, টের পেল চিৎকার আর গোঙানি আসলে তার নিজেরই। এরপর জ্ঞান হারালো সে। যুদ্ধ শেষে কিরিল হলেন শিক্ষক। এতদিন শিক্ষক শুনেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের গল্প। আজকে তারা শুনলো প্রিয় শিক্ষকের গল্পটা। যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম আমরা তার পা হারানো আর আগুনে পোড়ার দৃশ্য। গল্প শেষে মঞ্চের উপর ঠকঠক শব্দ তুলে কিরিল তার আসনে ফিরে গেলেন। অনুষ্ঠান শেষে পানাহার আর নাচ-গান চললো অনেক রাত পর্যন্ত। নাচ জানি না, তাতে কী, উনিশ-কুড়ি বছর বয়সে নাচতে চাইলে নাচ জানতে হয় না। ইচ্ছা থাকলেই হয়। আমি আর আলাউদ্দিন উঁকি দিলাম ফ্লোরে। আলাউদ্দিন স্মার্ট খুব, সে আজারবাইজানি এক মেয়েকে গিয়ে ডেকে নিলো। আমি বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছি আর ভাবছি এখান থেকে পালাবো কিন। ভাগ্যিস তানুশকাকে পেয়ে গেলাম হঠাৎ। ওর সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে আমার, ও আমাকে কয়েকটা স্প্যানিশ শব্দও শিখিয়েছে। আমি বললাম, ‘কমাস তাস, আমিগো?’ তানুশকা জবাব দিলো, ‘ভালো আছি আমিগো। নাচছো না কেন?’ - নাচ তো পারি না তানুশকা। - কেউ পারে না, আসো। তানুশকাও নাচতে পারে না, আমি তো পারিই না, কাজেই কোনো অসুবিধা হলো না। প্রচন্ড শব্দ নাচের আসরে। কানের কাছে মুখ নিয়ে চেঁচিয়ে কথা বলতে হয়। সেভাবেই কথা বলতে লাগলো তানুশকা। - গতকাল মীরার ওখানে খুব মজা হয়েছে, তাই না? - হ্যাঁ সত্যি খুব মজা হয়েছে। - ‘তাহিরার বরটা খুব হাসাতে পারে।’ তানুশকা বললো, ‘বেচারা তাহিরা! বরের কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছিলো, আর সারাক্ষণ শুধু বলছিল- অ্যাই তুমি থামবে, অ্যাই তুমি থামবে...!’ আমরা হাসতে লাগলাম গতকালের ঘটনা মনে করে। গতকাল বিকেলে মীরা আমাদের ডেকেছিলেন তার বাসায়। ছোট্ট সুন্দর ফ্ল্যাট মীরার, ক্যাম্পাসের কাছেই। আমরা কয়েকজন বাঙালি ছাত্র, সঙ্গে তানুশকা আর মেক্সিকোর অস্কার। মীরা বাসায় তৈরি কেক আর চা খাওয়ােেলন। মীরার ছোটবোন তাহিরা আর তার স্বামীও ছিল সেখানে। বোনটা একদমই চুপচাপ আর লাজুক ধরণের। স্বামীটা কথা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে। তাকে দেখে আমার মনে হয়েছিল আজারবাইজানি যুবকরা খুব প্রাণবন্ত আর কৌতূকপ্রিয়- একের পর এক কৌতূক বলছিল ইয়াকুব। হাসতে হাসতে আমাদের পেট ব্যথা। এবার নিজের বউয়ের পিছে লাগলো সে- ‘আমার বউকে দেখে খুব চুপচাপ আর শান্ত মনে হয়,’ ইয়াকুব আমাদের বললো, ‘কিন্তু জানো ওর কথায় লেফট-রাইট করি আমি? সারাক্ষণ আমকে ধমকায়- মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যেও লাফ দিয়ে উঠি- একবার চা খাচ্ছি, ওর ধমক শুনে চমকে আমার ঠোঁটই পুড়ে গেল। তারপর তো বউকে আর চুমু খেতে পারি না...!’ তখনই চা ঢালতে ঢালতে লাজুক তাহিরা বলেছিল, ‘অ্যাই তুমি থামবে...!’ সেই কথা মনে করে আমরা হাসতে থাকলাম। একটু পরে তানুশকা জিজ্ঞেস করলো, ‘তোমাদের যাওয়া কখন?’ আমি বললাম, ‘আগামীকাল। তুমি আমাকে ইনকা উপকথা শোনাবে বলেছিলে, তানুশকা।’ - এখন শুনবে? - অবশ্যই শুনবো। - চলো, বাইরে যাই। বাইরে বাগানে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলাম আমরা। তানুশকা বাকুতেই থেকে যাবে। জিওলোজি পড়বে। চারজন বাঙালি ছেলে নাম লিখিয়েছে ছাত্রদের একটা দলে। এই দলটা যাবে সামার জব করতে। এই দলে আমিও আছি। আলাউদ্দিন, আমি, সেলিম আর আজিম। আজিম কাজ শেষে বাকুতে ফিরে আসবে। সেলিম যাবে মস্কো। আমি আর আলাউদ্দিন যাবো লেনিনগ্রাদে। আগামীকাল দলটা যাত্রা করবে। মীরা আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। পাঁচ বছর থাকবো আমি লেনিনগ্রাদে, আমার স্বপ্নের শহরে। সেখানে পড়বো জিওফিজিক্স। এই বিষয়টাও আমার পছন্দ। যেটুকু জেনেছি তাতে মনে হয়- জিওফিজিক্স পড়লে তেল অনুসন্ধানী দলের সঙ্গে বনে-জঙ্গলে, পাহাড়ে-পর্বতে কাজ করতে পারবো, তাঁবুতে থাকতে পারবো খোলা আকাশের নিচে। বেশ অ্যাডভেঞ্চার হবে- অনেক দেশ ঘুরতে পারবো। এরকম অ্যাডভেঞ্চার আমার পছন্দ। অ্যাডভেঞ্চার তানুশকারও পছন্দ, তাই সে জিওলোজি পড়বে। এইসব গল্প হচ্ছিলো তানুশকার সঙ্গে। একসময় আমি বললাম তোমার সেই উপকথাটা শোনাও তানুশকা। ‘...আন্দিজ পাহাড়ে ছিল লারিস নামে এক গ্রাম।’ গল্প শুরু করলো তানুশকা। ‘সেখানে বাস করতো রাখাল বালক আর তার মা। তাদের ছিল কয়েকটা লামা। উপত্যকা যখন সবুজে ছেয়ে যেতো, পাহাড় থেকে লামাগুলো নিয়ে নিচে নেমে আসতো রাখাল আকোয়ানাপা। সারাদিন লামা চরাতো সে আর বাঁশি বাজাতো। ঐ পথে আকাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো সূর্যের মেয়ে সুকি। রাখালের বাঁশি শুনে সে মুগ্ধ হয়ে নেমে এলো। দু’জনের পরিচয় হলো, ভাব হলো। বাড়ি ফিরে রাতে আর ঘুমাতে পারে না সুকি। শুধু ভাবে রাখালের কথা। কিন্তু তার এই ভালোবাসার কোনো দাম নেই। কেননা তার বাবা সূর্য এটা মেনে নেবেন না, সুকি জানে। বিষন্ন মনে সে ঘুমিয়ে পড়লো। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলো স্বর্গের পাখি চেকোলো এসেছে তার কাছে, জিজ্ঞেস করছে, তুমি এত বিষন্ন কেন সুকি? সুকি তাকে সব কথা বললো। পাখি বললো, আগামিকাল তুমি ঝর্ণার কাছে যাবে, ঝর্ণাকে গান শোনাবে। ঝর্ণাও যদি তোমাকে গান শোনায়, তাহলে জানবে তোমার আর রাখালের মিলন হবে...।’ প্রাচীন ইনকা উপকথা বলে চলেছে তানুশকা। চারপাশে বাকুর গ্রীষ্মকাল, কাস্পিয়ানের দিক থেকে হুহু হাওয়া আসছে। বার্চ গাছের পাতাগুলো অল্প অল্প দুলছে হাওয়ায়। দূর থেকে ভেসে আসছে নাচের আসরের শব্দÑ সেই শব্দ যেন তানুশকার গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হয়ে বাজছে। এই মিউজিক যেন আজকের সন্ধ্যার নাচঘরের নয়, যেন দূর বহুদূর অতীত থেকে ভেসে আসছে এই অপার্থিব মিউজিক। (চলবে)
×