ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মঞ্চে আলো নেই... মীর জাহিদ হাসান

প্রকাশিত: ০০:১৫, ২৬ জুন ২০২০

মঞ্চে আলো নেই... মীর জাহিদ হাসান

গৌতম পা-ে ॥ অভিনেতা মীর জাহিদ হাসান। একাধারে নাট্য নির্দেশক ও সংগঠক। প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে সংস্কৃতি অঙ্গন। মঞ্চে আলো নেই, সিনেমা হলে তালা। মহামারীর এই দুঃসময়ে নাট্যভাবনা, দলীয় পথপরিক্রমা, কর্মীদের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি অঙ্গনে সৃষ্ট শূন্যতা, দলীয় নতুন নাটক আসার ঘোষণাসহ বর্তমান বাস্তবতায় নাট্যচর্চা নিয়ে কথা হয় মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের সভাপতি গুণী এই শিল্পীর সঙ্গে। নাট্য মঞ্চায়ন, মহড়া কিছুই কি করা সম্ভব হচ্ছে এখন? মীর জাহিদ হাসান : বর্তমান সময়টা বড় অসহায়ত্বের, বড় বেদনার। আমরা কেউই তো নিরাপদ নই। কবে পুরোপুরি সুরক্ষার বলয়ে আসব তাও জানি না। ইতোমধ্যে কতজনকে হারালাম, এটা আমাদের জন্য খুবই বেদনার। আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনের আনিসুজ্জামান স্যার কিংবা কামাল লোহানীর মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের শূন্যতা কিভাবে পূরণ হবে, তা চিন্তায়ও আসে না। দলের কর্মীরা তো এক হতে পারছে না, তাহলে কিভাবে সম্ভব? মীর জাহিদ হাসান : আমরা যেমন নাটক মঞ্চে করি আবার পথেও করি। বক্তব্যটাকে ধারণ, বহন ও উপস্থাপন করাটাই মূলত নাট্যকর্মীদের লক্ষ্য। ফলে লকডাউনের কারণে মহাকালের অনেক নাট্যকর্মীই এখন ঢাকার বাইরে। দলের সভাপতি হিসেবেই শুধু নয়, বরং শিল্পবান্ধব হিসেবে আমার একটা মানবিক দায়িত্ব রয়েছে। ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্বিক খোঁজখবর রাখছি। মহড়া কি পুরাতন নাটক, নাকি নতুন নাটকেরও? মীর জাহিদ হাসান : পুরাতন ও নতুন নাটক দুটোই চলছে। আমাদের আগের নাটক ‘শিখ-ী কথা’, ‘অহম তমসা’, ‘নীশিমন বিসর্জন’, ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ প্রভৃতির পাশাপাশি নতুন নাটকের মহড়াও চলছে। নতুন নাটকটি সম্পর্কে বলেন মীর জাহিদ হাসান : এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আমাদের দলের সেক্রেটারি শাহ্ নেওয়াজ মঞ্চ আবহে ফেসবুক মাধ্যমে করোনা সচেতনতা নিয়ে নাটক মঞ্চায়ন করেছে। দলের সিনিয়র সদস্য ও অভিনেতা আবু আজাদ বন্যার পূর্বেই কৃষকের পাশে দাঁড়াবার উদাত্ত আহ্বানের অভিনয় উপস্থাপনা করেছে একইভাবে। এবার সামাজিক দূরত্বের বাস্তবতাকে মাথায় রেখে আমাদের আগামী প্রযোজনা একক অভিনীত নাটক ‘ডাঃ হ্যানিম্যান’। অপূর্ব কুমার কু-ু রচিত নাটকটিতে নাম ভূমিকায়-একক অভিনয়ে থাকছি আমি। নির্দেশকের নামটি আর কিছুদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করব। ‘ডাঃ হ্যানিম্যান’ নাটকটির উপজীব্য কি? মীর জাহিদ হাসান : একজন মানুষের অপরাপর মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরন্তর, আজীবনের লড়াই এবং সংগ্রাম। রোগীর জন্যে ক্রন্দন, ওষুধ আবিষ্কারের জন্য মৃত্যুঝুঁকি গ্রহণ, রোগীকে সারিয়ে তোলার জন্য একের পর এক অঞ্চল পরিভ্রমণ, মেটেরিয়ামেডিকা গ্রন্থ প্রণয়নসহ আদ্যপান্ত এক চিকিৎসা শাস্ত্র প্রণয়নের রূপকারের জীবন ও কর্মের মানস ভ্রমণ।
×