ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২৬ জুন ২০২০

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা

করোনা দুর্যোগের ক্রান্তিকালীন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয় স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম মেনে। কোন জনসমাবেশ, আয়োজন, অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে ঐতিহাসিক এই দলটির জন্মবর্ষ পালিত হয় তথ্যপ্রযুক্তির পরিমিত বলয়ে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে করোনা সংক্রমণকেও জয় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। দেশ ও মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে অধিকার আদায়ের প্রতিটি ঐতিহাসিক পর্বে আওয়ামী লীগের অনন্য ভূমিকাকে আবারও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন। অনিবার্যভাবেই এসে যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নটির যথার্থ বাস্তবায়ন। তেমন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ধারা এগিয়ে চলছে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। আপামর জনগণের সার্বিক কল্যাণে যেভাবে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে আনা হয়েছে, তার চেয়ে আরও বেশি উদ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের বিকল্প অন্য কোন দল এই মুহূর্তে দেশে নেই এমন ধারণা ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান উল্লেখ করেনÑদেশের যা কিছু মঙ্গল আর উন্নয়ন সবই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই মানুষের নাগালে এসেছে। সোনার বাংলা গড়ার মূল নিয়ামক শক্তি গ্রামনির্ভর বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি। আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রশক্তির ক্রমবর্ধমান সহায়তা ছাড়াও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ বাঙালী জাতির ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যের পথপরিক্রমায় এক বিশিষ্ট মাইলফলক। যে প্রত্যয় আর অঙ্গীকারে দেশের হাল ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দৃঢ়কণ্ঠে তিনি বলেন, আগামীতেও দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে যা করার সবটাই করতে প্রস্তুত দেশকে নেতৃত্বদানকারী এই দলটি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর। তার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার তার সার্বিক কর্মপরিকল্পনায় সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর অকৃত্রিম প্রচেষ্টায় নিয়োজিত। সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাদের প্রতিদিনের যাপিত জীবনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক অধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে শুরু করে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়া, খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবাকে পৌঁছে দেয়া সবই আওয়ামী লীগ করেছে। তবে বর্তমানে করোনা সঙ্কটের দুঃসময়ে হতদরিদ্র, পিছিয়ে পড়া এই পরিশ্রমী গোষ্ঠীর প্রতি অনেক বেশি নজরদারি বাড়াতে হবে। বিশেষ করে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেয়াই শুধু নয় বিধিসম্মত উপায়ে উদয়াস্ত পরিশ্রম করা শরীরটিকেও সার্বিক নিরাপত্তা দেয়া জরুরী। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে তাদের উন্নয়নের বিকাশমান ধারায় সম্পৃক্ত করতে কর্মপরিধি সম্প্রসারিত করেছে। বিশ্বব্যাপী সংক্রমিত করোনাভাইরাসের প্রকোপের প্রতি আবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করে সরকারপ্রধান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও সবাইকে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। প্রত্যেকেই যদি নিজেকে সুরক্ষা দেয়, তা হলে পুরো জাতি কোন এক সময় শঙ্কামুক্ত হবে নিশ্চয়ই।
×