ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এনবিআরে বিড়ি শ্রমিকদের স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ২৫ জুন ২০২০

এনবিআরে বিড়ি শ্রমিকদের স্মারকলিপি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন করেছে বিড়ি শ্রমিকরা। বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে অর্ধসহস্রাধিক বিড়ি শ্রমিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করে।মানববন্ধন শেষে বিড়ি শ্রমিক নেতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর বিড়িতে শুল্ক কমানোসহ ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক হেরিক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শমিম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু প্রমুখ। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, “বিড়ি শ্রমিকদের দূর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে গরিব দুঃখী মানুষের শ্রমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে কর কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহুজাতিক কোম্পানীর আগ্রাসনে এবারের বাজেটেও বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক কর বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জন্য এটি মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়াবে। কাজ না পেয়ে অসহায় শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত না হয়ে অনাহারেই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে। তাই বিদেশী সিগারেট কোম্পানীকে সুবিধা দিতে এ বৈষম্যমূলক শুল্ক নীতি আমরা বাস্তবায়িত হতে দিব না।” বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমকে বাঙ্গালী বলেন, “এবারের বাজেটে প্রতি প্যাকেটে বিড়ির মূল্যস্তর ৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার ফলে ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯%। অথচ নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্যস্তর মাত্র ২ টাকা বৃদ্ধি ও সম্পূরক শুল্ক ২% বৃদ্ধির পরও ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৮.৪২%। বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য এ ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক শুল্কনীতির বিরুদ্ধে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।”
×