ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে হরদম বিক্রি হচ্ছে চীনা স্মার্টফোন

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ২৫ জুন ২০২০

ভারতে হরদম বিক্রি হচ্ছে চীনা স্মার্টফোন

অনলাইন ডেস্ক ॥ লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার জেরে ভারতে চীনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠেছে জোরেশোরেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে ‘বয়কট চায়না’ হ্যাশট্যাগ। চীনের পতাকা, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কুশপুতুল পোড়ানো, এমনকি প্রতীকী ফাঁসি দিতেও ছাড়েনি ভারতের লোকজন। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। বয়কটের দাবি শুধু মুখেই, এখনও চীনা মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক পণ্য কেনায় বিন্দুমাত্র রাশ টানেনি ভারতীয়রা। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে চীনা মোবাইল কোম্পানিগুলো যেসব পণ্য ছেড়েছে, তা বিক্রি হয়ে গেছে মুহূর্তের মধ্যেই। সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর হাতে ২০ ভারতীয় সেনা প্রাণ হারানো পর চীন বয়কটের দাবি আরও জোরালো হয়েছে ভঅরতে। কিন্তু অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চীনা ফোনের হরদম বিক্রি অন্য কথাই বলছে। এসব সাইটে এখনও হুড়মুড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে রেডমি, অপ্পো, ভিভো, ওয়ানপ্লাসের মতো চীনা কোম্পানির ফোন। গত সপ্তাহেই অ্যামাজনে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে স্টক ফুরিয়ে গেছে ওয়ানপ্লাসের লেটেস্ট মডেলটির। দিল্লির তরুণ বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত মনে করেন, চীনা স্মার্টফোনের যে বিকল্পগুলো রয়েছে সেগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বলেই ক্রেতারা চীনা ফোনের দিকে ঝুঁকছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ফোন কেনার বাজেট যদি হয় ১০ হাজার টাকা, তাহলে সেই টাকায় রেডমি, রিয়েলমি বা এমনকি পোকো যে স্পেসিফিকেশনস দিচ্ছে, কোরিয়ার স্যামসাং ৪০ হাজার টাকার নিচে তা দিতে পারছে না। অ্যাপল তো আরও বেশি। একইভাবে, যদি ৫০ হাজার টাকা থাকে, তাহলে চীনের ওয়ান প্লাস এইট কিংবা ওয়ান প্লাস এইট প্রো আমাযকে যত সুবিধা দিচ্ছে, ওই টাকায় আইফোনও তা দিতে পারছে না। আর স্যামসাং দিতে গেলে দাম পৌঁছাবে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়!’ তার মতে, ভারতীয়দের হয়তো এখন চীনা ফোন বর্জন করা উচিত ঠিকই, কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে 'ভ্যালু ফর মানি'র দিকে দিয়ে চীনা পণ্য অনেক এগিয়ে।
×