ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পটিয়ায় মনগড়া বিদ্যুত বিলে দিশাহারা গ্রাহক

প্রকাশিত: ০১:১৪, ২৫ জুন ২০২০

পটিয়ায় মনগড়া বিদ্যুত বিলে দিশাহারা গ্রাহক

বিকাশ চৌধুরী, পটিয়া ॥ মনগড়া বাড়তি বিদ্যুত বিল দিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়ায় পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনার সুযোগ নিয়ে এবং মিটার রিডিং না দেখে গত কয়েক মাস ধরে গ্রাহকদের বিদ্যুত বিল দেয়া হচ্ছে। উপজেলা ও পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গ্রাহকের চাপে পড়ে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুত সমিতি কিছু কিছু গ্রাহকের বিল সমন্বয় ও কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। পটিয়া লকডাউনের আওতায় ছিল। বিদ্যুতের গ্রাহকদের এক হাজার টাকার বিল দেয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এভাবে প্রতিটি গ্রাহককে মনগড়াভাবে বিদ্যুত বিল দেয়া হয়েছে। পটিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রাক্তন সহ-সম্পাদক কাজী আবদুল কাদের পিডিবির হাইদগাঁও ইউনিয়নের একজন গ্রাহক। ১ হাজার ৬শ’ টাকার বিল দেয়া হলেও বর্তমানে তাকে ৬ হাজার ৬৭১ টাকা দেয়া হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যা ও মনগড়া বিল নিয়ে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা। অভিযোগ ওঠেছে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ করতে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। শুধু তা নয়, বিভিন্ন শিল্প কারখানা, গ্যারেজ ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পটিয়াতে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগও রয়েছে। এসব অবৈধ বিদ্যুত সংযোগের বিল মানুষের কাঁধে তুলে দেয়া হচ্ছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। বিদ্যুত অফিস ও গ্রাহক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পটিয়াতে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের লক্ষাধিক গ্রাহক রয়েছে। করোনার সময় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে বাড়তি বিল নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহক হয়রানির কারণে পটিয়াতে এক সময় আন্দোলন সংগ্রামও হয়েছে। গ্রাহক সমিতির তৎপরতা না থাকার সুযোগে বিদ্যুত অফিস পুনরায় বাড়তি বিল দেয়াসহ বিভিন্ন হয়রানি করছে। উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের বাসিন্দা ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আবু ছালেহ মোঃ শাহরিয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের ঘরে পল্লী বিদ্যুতের দু’টি মিটার রয়েছে। তার মধ্যে গত মার্চ মাসে একটি মিটারে ৬০৬ টাকা এবং অন্যটি ৫৫৫ টাকা বিল দেয়া হয়। এপ্রিল মাসে ১ হাজার ২৩১ টাকা এবং অন্যটি ১ হাজার ৩৫০ টাকা। মে মাসে ৩ হাজার ১৯৮ এবং অন্যটি ১ হাজার ৭১৯ টাকা। মনগড়া বিল করা হয়েছে। মিটার ভাড়া ১০ টাকা হলেও গত কয়েকমাস ধরে ৪০ ও ৩০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হবে। পটিয়া পৌরসভা ছাড়াও উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুত ব্যবহার করছে। বিদ্যুতের গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করা জরুরী। পটিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবু বকর ছিদ্দিকী জানিয়েছেন, বাড়তি বিল দিয়ে গ্রাহক হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৫৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
×