ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল মাধ্যমে আদালত

বিল চূড়ান্ত করার আগে বিশেষজ্ঞ মত নেবে সংসদীয় কমিটি

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২৫ জুন ২০২০

বিল চূড়ান্ত করার আগে বিশেষজ্ঞ মত নেবে সংসদীয় কমিটি

সংসদ রিপোর্টার ॥ ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে জারি করা অধ্যাদেশটি আইন হিসেবে জারি করতে সংসদে যে বিল তোলা হয়েছে, তা চূড়ান্ত করার আগে বিশেষজ্ঞ মতামত নেবে সংসদীয় কমিটি। বুধবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংসদ সচিবালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিলটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অধিকতর বিচার বিশ্লেষণ ও মতামত গ্রহণের জন্য দেশের প্রখ্যাত আইন বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। কমিটির পরবর্তী বৈঠক ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকেই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে বিলটির রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হব। বৈঠকে কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল মজিদ খান, মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিলটি সম্পর্কে মতামত নিতে সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অর্থাৎ এটর্নি জেনারেল, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্টারসহ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া ডিজিটাল আইন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি অবসানে কমিটিতে একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। গত মঙ্গলবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার বিল- ২০২০’ উত্থাপন কর হয়। পরে বিলটি ৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে গত ৭ মে মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়ায় অনুমোদন দেয়। ওই খসড়ার ভিত্তিতে দেশের সব আদালতে ‘ভার্চুয়াল কোর্টের’ কার্যক্রম শুরু হয়। নিয়মানুযায়ী অধ্যাদেশ জারির পর তা সংসদে তোলা হয় গত ১০ জুন। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে হলে চলমান অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে তা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে অনুমোদন করাতে হবে। অন্যথায় ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটি কার্যকারিতা হারাবে।
×