সংসদ রিপোর্টার \ বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, জনপ্রিয় ও লাভজনক খাত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেসরকারী পরিবহনের মতো রাজধানী এবং বিভাগীয় শহরে একাধিক স্পটে টিকেট কাউন্টার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে ঢাকায় ১১টি স্থানে রেলের টিকেট কাউন্টার স্থাপন করা হবে। তবে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে রেল ভ্রমণের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের টিকেট শুধু অনলাইনে ইস্যু করা হচ্ছে। পরবর্তীতেও আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের ১০০ ভাগ টিকেট অনলাইনে ইস্যুর বিষয়টি বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিকল্পন রয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আন্তঃনগর ব্যতীত অন্যান্য ট্রেনের টিকেটের জন্য বিভিন্ন স্থানে কাউন্টার স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে কাউন্টার স্থাপনের পর কাউন্টার টু কাউন্টার স্টেশন মিনিবাস চালানোর বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবেচনা করা হবে।
করোনায় ট্রেনের ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা \ ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, বিগত ২৭ মার্চ হতে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৭ দিন করোনা পরিস্থিতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ৩০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হ্রাস পেয়েছে।