ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কামরাঙ্গীরচরে বিদ্যুতস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:৫১, ২৪ জুন ২০২০

কামরাঙ্গীরচরে বিদ্যুতস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী কামরাঙ্গীরচরে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বনানী সাততলা বস্তিতে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচর ঝাউচর এলাকায় একটি গ্রিলের দোকানে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে তাকবির হোসেন (১৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবার নাম মৃত সুলতান। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার বাটিঘাগরা গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে স্থানীয় ঝাউচর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখানেই একটি গ্রিলের দোকানে কাজ করতেন। নিহত তাকবিরের সহকর্মী সাগর জানান, সকাল থেকে কাজ করছিল তাকবির। দুপুরে একটি জানালার গ্রিলের কাজ করার সময় মেশিন থেকে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয় তাকবির। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেলে তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে একইদিন ভোরের দিকে বনানী সাততলা বস্তির একটি বাসা থেকে মুসা মিয়া (২২) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবার নাম ইউসুফ আলী। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায়। বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ দেলোয়ার হোসাইন জানান, সাততলা বস্তির একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন মুসা। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই দেলোয়ার জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন মুসা। এরপর ভোরের দিকে হঠাৎ স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে দেখেন, বেডরুমেই আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মুসা ঝুলে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তার ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে। এসআই দেলোয়ার জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মুসা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত চলছে।
×