ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফুলছড়িতে নদী ভাঙ্গনের আতঙ্কে মানুষ

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ২৩ জুন ২০২০

ফুলছড়িতে নদী ভাঙ্গনের আতঙ্কে মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২২ জুন ॥ বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও গাইবান্ধার ফুলছড়িতে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। ফলে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী, রতনপুর, সিংড়িয়া-কাতলামারী, গজারিয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার অব্যাহত ভাঙ্গন থেকে বিপুল জনপদ এবং ফসলি জমি রক্ষাকল্পে ২০১৮ সালে ২৯৫ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে শুরু করে ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী, রতনপুর, সিংড়িয়া-কাতলামারী হয়ে গজারিয়ার গণকবর পর্যন্ত এলাকায় ৪টি পয়েন্টে মোট সাড়ে ৪ কি.মি. অংশে সিসি ব্লক দ্বারা যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করার কথা। এ কাজে ৪ ধরনের সিসি ব্লক ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৪০ ঘন সে মি, ৪৫ ঘন সে মি , ৩৫ ঘন সে মি এবং ৪০দ্ধ৪০দ্ধ২০ সে মি সাইজের ব্লক। এ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার বাগুড়িয়া পয়েন্টে ৩শ’ মি, ফুলছড়ির বালাসী পয়েন্টে এক হাজার ৩শ’ মি, রতনপুর পয়েন্টে এক হাজার ৫শ’ মি, সিংড়িয়া-কাতলামারী পয়েন্টে ৭শ’ মি এবং গজারিয়ার গণকবর পয়েন্টে ৭শ’ মি অংশ নদী তীর সংরক্ষণ করার কর্মসূচী রয়েছে। দুই বছর মেয়াদী এ কাজটি সম্পন্ন করতে সময় দেয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। উল্লেখ্য, গাইবান্ধায় প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়ম দুর্নীতি এবং ধীরগতির কারণে এ পর্যন্ত শতকরা মাত্র ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া কবে নাগাদ প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ হবে তাও এখনও অনিশ্চিত। ফলে বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় এতদঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পাারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ওই এলাকার মানুষ নদী ভাঙ্গন ও বন্যা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
×