ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গার্মেন্টস কর্মী মিম আক্তার হত্যা রহস্য উন্মোচন

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ২৩ জুন ২০২০

গার্মেন্টস কর্মী মিম আক্তার হত্যা রহস্য উন্মোচন

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন হওয়া গার্মেন্টস কর্মী মিম আক্তার (১৯) হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নুরুল ইসলাম (২৮) নামে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাচালককে গ্রেফতারের পর সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুরতলা এলাকায়। মিম বাস থেকে নেমে বাড়ি যাওয়ার জন্য তার অটোরিক্সায় উঠেছিল। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত অটোরিক্সা চালক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় বলে পুলিশ জানায়। ব্যাগ ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার সময় বাধা দেয়ায় মিম খুন হয় বলে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম পুলিশের নিকট স্বীকার করে। গত ৫ জুন শুক্রবার শাজাহানপুর উপজেলার গ-গ্রাম এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী মিম আক্তারের মরদেহ পাওয়া যায়। সে ঢাকার আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে কাজ করত। আগের দিন রাতে সে শহরের ঠনঠনিয়ায় মায়ের নিকট আসার জন্য ঢাকা থেকে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হয়। বাড়ি ফেরার পথে সে বাস সুপারভাইজারের নিকট থেকে মায়ের সঙ্গে কথা বলে। তবে বাড়ি সে আর বাড়ি ফিরেনি। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ হত্যাকা-ের মোটিভ এবং কোন ক্লু পুলিশের নিকট ছিলনা। রাতে সে বগুড়ার বনানী এলাকায় বাস থেকে নেমেছিল এবং বাসের সুপারভাইজার তাকে অটোরিক্সায় তুলে দেয় বলে পুলিশ জানতে পারে। পুলিশ অটোরিক্সাচালকের অস্পস্ট বণর্না পেয়েছিল। সে সূত্র ধরে শাজাহানপুর থানা পুলিশ প্রায় ১২ দিন পর উপজেলার শাকপালা এলাকা থেকে ১৭ জুন ঘটনাচক্রে অটোরিক্সা চালক নুরুল ইসলামকে পায়। মিম বাস থেকে নামার পর যে অটোরিক্সায় উঠেছিল তার সঙ্গে আটক অটোরিক্সাচালকের মিল থাকায় পুলিশ সন্দেহবশত তাকে আটক করে। পরে ৫ দিনের রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় হত্যাকা-ের তথ্য বেরিয়ে আসে বলে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান।
×