ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ ॥ দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ২৩ জুন ২০২০

শেরপুরে কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ ॥ দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২২ জুন ॥ রাস্তা সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কাজে আসছে না এলজিইডির প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ব্রিজ। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এর পরও এলাকার দায়িত্বশীল মহলসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফ থেকে বিষয়টির সমাধানে আজও নেয়া হয়নি তেমন কোন কার্যকর উদ্যোগ। ফলে সরকারে বিপুল অঙ্কের টাকায় নির্মিত ব্রিজটি এলাকাবাসীর আশীর্বাদের পরিবর্তে যেন কষ্টস্মারক হিসেবেই তার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাটিয়াপাড়া সিএনবি রোড থেকে সারিকালিনগর, গজারমারী হয়ে বাগেরভিটা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা। ওই পথে মাটিয়াপাড়া, সারিকালিনগর, বালুরচর, কালিনগর, নয়াপাড়া, দাড়িয়ারপাড়, কান্দুলী, কোচনিপাড়া, বাগেরভিটা ও কোনাগাঁও, আহম্মদনগর, জরাকুড়া, পাইকুড়া ও ধানশাইলসহ ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। যাতায়াতের ওই অংশে অন্তত ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রয়েছে ৩/৪টি বাজার। স্থানীয়দের তরফ থেকে রাস্তাটি দেশ স্বাধীনের পর থেকেই পাকাকরণের দাবি উঠে এলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাসই পাওয়া গেছে শুধু। ফলে রাস্তাটি পাকাকরণের অভাবে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে রাস্তাটি সংস্কার ও প্রশস্ত না করেই ২০০৪ সালে ওই রাস্তার মাঝখানে গজারমারী এলাকায় এলজিইডির প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় একটি ব্রিজ। কিন্তু দু’পাশে রাস্তা না থাকায় ব্রিজটি কোন কাজেই আসছে না গ্রামবাসীদের। শুষ্ক মৌসুমে যেমন তেমন, বর্ষা মৌসুমে ওই পথে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। তখন মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। এছাড়া এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদিপশু পারাপারে সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় কৃষকদের। ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। শুধু ভেসে থাকে ব্রিজটি। ওই সময় গ্রামবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। একই কথা জানিয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার, প্রশস্ত ও পাকা না করেই মাঝপথে বিশাল অঙ্কের টাকায় প্রায় ১৬ বছর আগে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও তা এলাকাবাসীর কাজে আসছে না। বরং তা এলাকাবাসীর কষ্টস্মারক হিসেবেই দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য প্রাক্কলনসহ সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।
×