ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনু বীরপ্রতীক আর নেই

প্রকাশিত: ০০:০৮, ২৩ জুন ২০২০

মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনু বীরপ্রতীক আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ একাত্তরের রণাঙ্গনের অকুতোভয় সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনু বীরপ্রতীক (৯১) রবিবার রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনুর পৈত্রিক বাড়ি মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা মোড়ে। তিনি এই বাড়িতেই থাকতেন। এখানে বেশ কিছু দিন ধরে তিনি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, সপ্তাহ খানেক আগে স্ট্রোক করলে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাসায় নেয়া হয়েছিল। শনিবার তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফের তাকে রামেকে ভর্তি করা হলে রবিবার সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রায় দুই বছর আগে বদিউজ্জামান টুনুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম মারা গেছেন। তাদের দুই ছেলে এবং তিন মেয়ে। পরিবারের সবার সঙ্গে আলোচনা করে টুনুর দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান মরহুমের ভাতিজি জামাই আরিফুল হক কুমার। বদিউজ্জামান টুনু ১৯৭১ সালে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর। ওই বয়সেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভারতে গিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধও করেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বদিউজ্জামান টুনু ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব পান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বদিউজ্জামান টুনুর বড় ভাইয়ের দুই ছেলে, ছোট ভাই, ভগ্নিপতি ও ভাগনি জামাই নজমুল হককে হত্যা করে। নজমুল হক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমএনএ ছিলেন। এদিকে বীরপ্রতীক বদিউজ্জামান টুনুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
×