ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

লোককবিদের গানের সুরে সঙ্গীতাসরের সমাপ্তি

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ২৩ জুন ২০২০

লোককবিদের গানের সুরে সঙ্গীতাসরের সমাপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুরুটা হয়েছিল গত শুক্রবার। সুরাশ্রিত সেই সফরটি শেষ হলো সোমবার। বিচিত্র অঙ্গের সঙ্গীতে সজ্জিত হয়েছিল সঙ্গীতাসরটি। পরিবেশিত হলো রবীন্দ্র, নজরুলসহ পঞ্চকবির গান। শুধু কি তাই? যুক্ত হয়েছে লালন ফকির, হাছন রাজা, শাহ আবদুল করিমসহ মরমী গীতিকবিদের গান। সোমবার সমাপনী দিনে গীত হলো লোককবিদের সৃষ্টির আলোয় স্রোত বিবিধ পর্যায়ের গান। আর করোনাকালে অনলাইন নির্ভর গান শোনার এমন আয়োজন শ্রোতারাও উপভোগ করেছেন সানন্দে। বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। সংগঠনের ফেসবুক পাতায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি সম্প্রসারিত হয়েছে এ অনুষ্ঠান। ঠিকানাটি ছিলÑ যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/মৎড়ঁঢ়ং/২৬৩৫২৮৫০৭০১২৫৩৫৫ । সোমবার পঞ্চমদিনের ফেসবুক লাইভ আসরের সূচনা হয় সাড়ে সাতটায়। বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের তাৎপর্য এবং উদ্দেশ্যকে ধারণ করে এদিন পরিবেশিত হয়েছে এদেশের লোক কবিদের গান। সেই সুবাদে মুকুন্দ দাসের গানের সঙ্গী হয়েছে সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের লোক কবিদের বাণীনির্ভর বিবিধ গান। এদিনের অনুষ্ঠানের আরেক আকর্ষণ ছিল কিংবদন্তি শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানের পরিবেশনা। আর এসব পরিবেশনা উপস্থাপন করেন জামালউদ্দিন হাসান বান্না, মধুসূদন মুখোপাধ্যায় ও বিশ্বনাথ দাস মুন্সী। চারণ কবি মুকুন্দ দাসের গানকে আশ্রয় করে পরিবেশনা উপস্থাপন করেন বরিশালের শিল্পী বিশ্বনাথ দাস মুন্সী। প্রথমেই গেয়ে শোনান- ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে ...। এরপর পরিবেশন করেন ‘রাম রহিম না জুদা কর ভাই’ ও ‘আয়রে বাঙ্গালী আয়’ শীর্ষক সঙ্গীত। সিলেট অঞ্চলের লোক কবিদের গান শোনান জামালউদ্দিন হাসান বান্না। প্রথমেই কণ্ঠে তুলে নেন হাছন রাজার গান। গেয়ে শোনান ‘বালা নাচিয়া নাচিয়া পেয়ারি যায় রে’। এরপর পরিবেশন করেন ‘আজ কেনরে প্রাণের সুবল’ ও ‘মন মজালে ওরে’ শিরোনামের গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান শোনান মধুসূদন মুখোপাধ্যায়। তিনি পরিবেশন করেন ‘কতদিন পরে এলে’ ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে’ ও ‘পথ হারাবোবলেই’। সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায়।
×