ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়ছে

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২৩ জুন ২০২০

ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাকালে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়ছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানের পরপর তিনবার ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে দেশ। যার উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বরাজ্যগুলোতে ভূমিকম্প সংঘটনের হটস্পট হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যত ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়েছে তার বেশিরভাগ এসব এলাকা থেকে উৎপত্তি। তারা জানান, বাংলাদেশে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের প্রায় ৯০ ভাগের বেশি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য থেকে উৎপত্তি হচ্ছে। এগুলোকে তারা ভূমিকম্প জোন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এসব এলাকার জন্য বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। এ মাসের শুরুতে জুনের ৩ তারিখে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশের বিভিন্ন এলাকা। যার উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের সীমান্তবর্তী সিলেট জেলায়। ওই ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা কম হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাটির গভীর থেকে উৎপত্তি হওয়ার কারণে ওই ভূমিকম্পের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তারা বলেন, যেহেতু ভারতীয় প্লেট থেকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি এ কারণে মাটির কম গভীর থেকে উৎপত্তি হলে মৃদু ওই ভূমিকম্পে ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুসপ্তাহ যেতে না যেতেই গত রবিবার বিকেলে এবং সোমবার ভোরে মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’দুবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশের বিভিন্ন এলাকা। কম্পনের হাত থেকে রেহাই পায়নি রাজধানী ঢাকাও। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫-এর উপরে। যাকে বিশেষজ্ঞরা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন. নিকট কোন স্থান থেকে ভূমিকম্প হলেও ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি থেকে যায়। এসব এলাকা থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে তা আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। রবিবার ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে কেন্দ্রস্থলের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএস-জিএস জানায় এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিজোরামে ডারলোয়ান এর ভূমির ৪০ কিলোমিটার গভীরে। গত কয়েকদিনে এ মিজোরাম-মণিপুর এলাকায় কয়েক দফা ছোট ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলেও তারা জানায়। সোমবার ভোরেও দ্বিতীয় দফায় আরও একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকার আবহাওয়া অফিস থেকে ৩০১.১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
×