ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ২৩ জুন ২০২০

ঢাকার দিনরাত

রোববারে ‘ঢাকার দিনরাত’ লিখতে বসেছি যখন সে সময় আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে চলছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন। বুধবার অফিসে যাওয়ার সময় উত্তরার কেন্দ্রে আজমপুরে আটকা পড়েছিলাম। সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে সমাবেশ করছিলেন স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা। মহামারীর এ ক্রান্তিকালে বেতনবঞ্চিত থাকা যে কত কষ্টের সেটি শুধু ভুক্তভোগীরাই হাড়ে হাড়ে বোঝেন। গার্মেন্টস মালিকদের বিলাসী জীবনের কথা বহুল প্রচারিত। অন্যদিকে সড়কে বসে রোদ-বৃষ্টির কষ্ট সয়ে বেতনের জন্য শ্রমিকদের আন্দোলন করাটাও দেখছি বাস্তবতা। এভাবেই কি চলবে? স্বপ্নের শহর ছেড়ে... জনকণ্ঠসহ বেশ কয়েকটি খবরের কাগজে পর পর কয়েক দিন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে বহু খেটে খাওয়া মানুষ, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। যে কোন বিদায়ই বেদনার। সাধারণত অবসর গ্রহণের পর মানুষ শহর ত্যাগ করে পৈত্রিক ভিটায় ফিরে যায় যদি সেখানে অপেক্ষাকৃত বেশি সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু অকাল অবসর বা বাধ্যতামূলক অবসর ভীষণ পীড়াদায়ক। অনেকটা সে রকম ঘটনাই যেন ঘটছে এখন। ছোট দোকান বা রেস্টুরেন্টে চাকরি করতেন, এখন কাজ নেই বা কাজ হারিয়েছেন। নতুন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা এ সময়ে প্রায় শূন্য। তাই এক মাস-দুই মাস দেখার পর বাধ্য হয়েই তাকে বাসা ছেড়ে দিতে হচ্ছে। কোথায় আর যাবেন, দেশের বাড়িই অনিবার্য গন্তব্য। এই যে কর্মহীন ও কর্মচ্যুত মানুষ ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাতে তার বাসাটা খালি হয়ে যাচ্ছে। সে বাড়ি কোন ফ্ল্যাট হোক, কিংবা হোক টিনশেড। সেই খালি বাসা কি নতুন ভাড়াটে পাচ্ছে? না, পাচ্ছে না। আমার নিজের এলাকায় আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি টু লেট ঝুলতে দেখছি। সাত তলা নতুন একটা ভবনে করোনার আগে থেকেই ঝুলছে টুলেট। একটা ফ্লোরও ভাড়া হয়নি। প্রতিবেদনগুলো পড়ে দেখলাম অনেক বাড়িওয়ালাই ভাড়া কমিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না। এসবই অশনি সঙ্কেত। এ তো জানা কথাই যে রাজধানী শহর গোটা দেশের মানুষের কাছেই বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বহুজনের কাছেই স্বপ্নের শহর। ঢাকা নানা কারণেই দেশের মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থান জুড়ে আছে। আধুনিকতার সর্বশেষ সংযুক্তিগুলো রাজধানীতেই ঘটে থাকে। অন্য শহরের তুলনায় রাজধানীতে নাগরিক সুবিধা থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। উন্নত শিক্ষা, উন্নত চিকিৎসা, উন্নত আবাসনসহ সার্বিকভাবে জীবনমানের উন্নয়নের জন্য দেশের বিরাট একটি অংশ বেছে নেয় রাজধানী শহরকেই। মফস্বলে পড়–য়া তরুণের স্বপ্ন থাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজধানীতেই আসার। যারা ঢাকায় পড়তে আসে তাদের বড় অংশই এই শহরেই খুঁজে নেয় কর্মসংস্থান। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারের বাইরেও থাকে বিশাল কর্মক্ষেত্র, যা অপ্রাতিষ্ঠানিক। এর বাইরে রয়েছে স্বকর্মসংস্থান। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক কারণে ঢাকা একপর্যায়ে হয়ে উঠেছে স্বপ্নপূরণের শহর। নদীভাঙা মানুষ থেকে শুরু করে পল্লী অঞ্চলের ভূমিহারা কৃষক এবং উপার্জনের উপায় করতে ব্যর্থ হওয়া শ্রমজীবী মানুষের বিরাট একটি অংশ ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছে মূলত কাজের সন্ধানে। ঢাকায় এসে আর কিছু না হোক রিক্সা চালিয়েও জীবন ধারণ করা সম্ভব, এমন পরিকল্পনা থেকে নিঃস্ব-দুস্থ মানুষ ঢাকায় বসতি গড়ে। তা ছাড়া রকমারি বিচিত্র সব পেশার সুযোগ থাকে যে কোন বড় শহরেই। মহানগরী ঢাকা সেই দিক দিয়ে ভাগ্যসন্ধানী মানুষের জন্য সুযোগ খুঁজে নেয়ার দারুণ সুপরিসর প্রাঙ্গণ। অলিতে গলিতে কিংবা সড়কে-মহাসড়কের ধারে রকমারি পণ্যের বিকিকিনির সুযোগ ঢাকা ছাড়া আর কোন শহরে রয়েছে? তবে সব হিসাবই বদলে গেছে বৈশ্বিক মহামারী শুরু হওয়ার পর। করোনাভাইরাস এক অদৃশ্য দানব হয়ে উঠেছে যা এখন মানুষের জীবিকা গলাধঃকরণ করতে শুরু করেছে। কাজ হারিয়ে মানুষ দিশেহারা। মাসের পর মাস উপার্জনহীন থাকা অসম্ভব দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের পক্ষে। অবস্থাসম্পন্নদের কাছে চেয়েচিন্তে, সোজা কথায় ভিক্ষা করে পেট বাঁচানোর মানসিকতা নেই ওই সব শ্রমজীবী এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারের কর্মীদের। ফলে একদা স্বপ্নের শহর তাদের কাছে বাস্তব বিভীষিকা হয়ে উঠেছে, পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নের নগরীতে। এখন উপায় কী? অনেকেই ভাবছেন গ্রামে দেশের বাড়িই ফিরে যাবেন। অন্তত সেখানে মাথা গোঁজার ঠাঁই তো আছে। মাস শেষ হলে বাড়িওয়ালাকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা তো দেয়া লাগবে না। আর সেটা ভেবেই তারা পাড়ি জমাতে শুরু করে দিয়েছেন গ্রামে। করোনা এসে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছে। আগামীতে যদি ঢাকা থেকে গ্রামে প্রত্যাবর্তনের স্রোতে মধ্যবিত্তের বড় অংশ যুক্ত হয়ে যায় তাহলে ঢাকার প্রায় সব এলাকার বহুতল ভবনের অনেক ফ্ল্যাটই শূন্য পড়ে থাকবে। এখনই অনেক বাড়িওয়ালা নতুন করে ভাড়া কমিয়েও ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না। আগামীতে এই সঙ্কট আরও ঘনীভূত হবে। মানুষ স্বপ্ন দেখে বড় শহরে গিয়ে উন্নত জীবনযাপনের। মহামরীর মতো নিষ্ঠুর পরিস্থিতিতে মানুষের স্বপ্নভঙ্গ ঘটে। তবু জেগে থাকে আশাবাদ। একদিন করোনা বিদায় নেবে, একদিন আবার পরিস্থিতির উন্নতি হবে। মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখবে। তখন আবার দু’হাত বাড়িয়ে দেবে ইট-কাঠ-কংক্রিটের এই মহানগরী ঢাকা। করোনাকালে সাইকেল সাইকেলের উপকারিতা সম্পর্কে নানা তথ্য আমাদের জানা। যেমন, সাইকেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, পরিবেশের জন্যও উপকারী। অনেকেই শুধু আনন্দের জন্য সাইকেল চালান। নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন কমে। সাইকেল চালালে ক্যালরি খরচ বৃদ্ধি পায় এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে। সাইকেল চালালে হাইপারটেনশনের রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত সাইকেল চালালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। সাইকেল চালানো স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্ট্যাটিক সাইকেল চালনার ব্যায়াম নিয়মিত করলে হার্ট ফেইলিউরের রোগীদের কার্ডিয়াক ফাংশন উন্নত হয়। মাংসপেশীর গঠনে চমৎকার কাজ করে সাইক্লিং। বিশেষ করে শরীরের নিচের অংশের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে সাইক্লিং। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় সাইকেল চালানো। ডিপ্রেশন, স্ট্রেস ও এ্যাংজাইটি কমায় নিয়মিত সাইক্লিং। আরও আছে। আমাদের রিপোর্টার সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন করোনাকালে ঢাকায় সাইকেলের ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়টি। প্রতিবেদনটির অংশবিশেষ তুলে দিচ্ছি : ‘গণপরিবহনে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকিতে রাজধানীতে বাইসাইকেলের ব্যবহার বেড়েছে। এখন অফিস যেতে সাইকেল ব্যবহার করছেন সরকারী, বেসরকারী চাকরিজীবীরা। এমনকি সাধারণ মানুষও চলাচলের প্রয়োজনে ঝুঁকছেন সাইকেলের প্রতি। যারা একটু বিলাসী জীবনযাপন করতেন অর্থাৎ এসি বাস কিংবা অটোরিক্সায় চলাচল করতেন, তারাও করোনা সঙ্কটে নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। ব্যয় কমাতে অনেকেই মোটরসাইকেল বাদ দিয়ে সাইকেল কিনছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এপ্রিলের শুরু থেকে সাইকেল বিক্রি বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। ঢাকাসহ সারাদেশের চিত্র প্রায় একই রকম। আর ব্যবহারকারীরা বলছেন, সাইকেল চালালে করোনার ঝুঁকি যেমন কম তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও সাশ্রয়। পাশাপাশি প্রতিদিনের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ব্যায়াম নিয়ে আর কোন চিন্তা থাকল না। নগরীর বাসাবো, মতিঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, গুলশান, বনানী, বারিধারা, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, নীলক্ষেত, খিলক্ষেত, ধানম-ি, ঝিগাতলা, আগারগাঁও, মিরপুর, তালতলা, বিমানবন্দর, আব্দুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে সাইকেল চালানো মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। সবাই মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে সাইকেল চালাচ্ছেন। সাধারণ এলাকা থেকে ভিআইপি এলাকা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে।’ তবে নতুন সাইকেল যারা কিনছেন তারা সাবধানে তো পথ চলবেনই, সেই সঙ্গে চোরদের হাত থেকে সাইকেল রক্ষার ব্যবস্থাও নেবেন। এরই মধ্যে নতুন সাইকেল চুরির বেশ কিছু খবর পেয়েছি। আমরা কৈশোরে সাইকেলে ডবল লক করতাম। সাইকেলের পেছনের চাকার সঙ্গে অটোলকের ব্যবস্থা ছিল। এ ছাড়াও চেন বা পাইপ দিয়ে সাইকেলের রডে পেঁচিয়ে পার্ক করার জায়গার কোন খুঁটি বা স্থায়ী কোন কিছুর সঙ্গে বেঁধে রাখতাম। যাতে সাইকেল ঘাড়ে তুলেও চোর বেটা পালাতে না পারে। যারা নতুন সাইকেল কিনছেন তারা বিষয়টি মনে রাখবেন। করোনা কাড়ছে গুণীজন এমন কোন সপ্তাহ বাদ পড়ছে যখন খ্যাতিমান গুণীজনদের কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন না? প্রতি সপ্তাহে নানা পেশাজীবীও মারা যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের মৃত্যু হলে প্রথমেই নিজেদের স্বার্থের কথা মনে হয়। চিকিৎসক জীবিত থাকলে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হতো। তাছাড়া একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হলে অন্য চিকিৎসকদের ওপরেও মানসিক চাপ পড়ে, যা এই করোনা সঙ্কটকালে খুবই ক্ষতিকর। চলে গেলেন কামাল লোহানীও। কামাল লোহানীর ছিল অনেক পরিচয়। সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমাজে সমীহ জাগানো আসন তার। তবে দ্রোহী ও অন্যায়ের প্রতিবাদকারী সৎ বুদ্ধিজীবী পরিচয়টিই জীবনসায়াহ্নে প্রধান হয়ে উঠেছিল। ছিয়াশি বছর বয়সকে অনেকেই পূর্ণাঙ্গ জীবন হিসেবে দেখতে পারেন, কিন্তু এমন বিরল ব্যক্তিত্বের এই মহাসঙ্কটকালে বিদায় নেয়া আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতির। অল্প কিছু কথা বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের জন্য। ১৯৫৫ সালের জুলাই মাস। রাজশাহী কারাগার থেকে মুক্তির পর কামাল লোহানী ফিরে এলেন পাবনায়। কিন্তু অভিভাবকদের সঙ্গে তার শুরু হলো রাজনীতি নিয়ে মতবিরোধ। অভিভাবকদের কথা ‘লেখাপড়া শেষে রাজনীতি কর, আপত্তি নেই।’ কিন্তু কামাল লোহানী তখন রীতিমতো রাজনীতি প্রভাবিত এবং মার্কসবাদের অনুসারী। চোখে তার বিপ্লবের ঐশ্বর্য। আর তাই তিনি ছোট চাচা শিক্ষাবিদ তাসাদ্দুক লোহানীর কাছ থেকে মাত্র ১৫ টাকা চেয়ে নিয়ে অনিশ্চিতের পথে ঢাকা অভিমুখে পা বাড়ালেন। জীবনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করলেন। আর সেই সঙ্গে শুরু হলো তার জীবন সংগ্রাম। ঢাকায় এসে তিনি তার চাচাত ভাই ফজলে লোহানীর সহযোগিতায় ১৯৫৫ সালের আগস্ট মাসে মাসিক ৮০ টাকা বেতনে দৈনিক ‘মিল্লাত’ পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দিলেন। হাতেখড়ি হলো সাংবাদিকতায়। সেই থেকে তার কলমের আঁচড়ে তৈরি হতে লাগল এক একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। তার লেখা প্রকাশিত বইগুলো হচ্ছে, ‘আমাদের সংস্কৃতি ও সংগ্রাম’, ‘আমরা হারবো না’, ‘সত্যি কথা বলতে কি’, ‘লড়াইয়ের গান’, ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও নৃত্যশিল্পের বিস্তার’, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার’, ‘এদেশ আমার গর্ব’, ‘মুক্তি সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার’, ‘যেন ভুলে না যাই’, ‘রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন বাংলা বেতার’, ‘দ্রোহে প্রেমে কবিতার মত’ এবং কবিতার বই ‘শব্দের বিদ্রোহ’। প্রকাশিতব্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভাষা আন্দোলনের কথকতা’, ‘সাংবাদিকতার সাতকাহন’, ‘কেউ ভোলে না কেউ ভোলে’। এ ছাড়াও তার ঘটনাবহুল সাংবাদিক জীবন সম্পর্কে তার নিজের কথা লেখ্যরূপে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ প্রকাশ করেছে ‘অগ্রজের সঙ্গে একদিন’। ২১ জুন ২০২০ [email protected]
×