ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে লকডাউনে ফ্রি-স্টাইলে চলাফেরা

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ২২ জুন ২০২০

মাদারীপুরে লকডাউনে ফ্রি-স্টাইলে চলাফেরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া মাদারীপুর জেলায় রেডজোনেও লকডাউন মানছেন না স্থানীয়রা। মাস্ক তো দুরের কথা সামাজিক দুরত্ব না মেনেই অনেকেই রিকশা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করছে ফ্রিস্টাইলে। অপ্রয়োজনেই অনেকেই রাস্তাঘাট ও হাটবাজারে ঘুরতে দেখা গেছে। সোমবার সকালে শহরের পুরানা বাজার, ইটেরপুল, ডিসিব্রীজ, বটতলা, চরমুগরিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্র ছিল একই রকম। অপ্রয়োজনে চায়ের দোকানে দিচ্ছেন আড্ডা। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমন ঝুঁকি। রেডজোন এলাকায় প্রশাসনের কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহনের পাশাপাশি ইজিবাইক, সিএনজি চালিত গাড়ি, মাহিন্দ্র, ব্যাটারী চালিত রিকসা-ভ্যান মটরসাইকেল। সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো আতঙ্ক নেই। দুরপাল্লার পরিবহন ও আন্তজেলা বাস চলাচল করছে আগের মতো। অথচ জেলায় এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা হুঁ-হুঁ করে বেড়ে গেছে। প্রাণঘাতি করোনা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সদর উপজেলায়। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব বাড়ায় মাদারীপুরের ৪ পৌরসভার ২০ ওয়ার্ড ও জেলার ২২ ইউনিয়নকে রেডজোন ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করে গত বুধবার (১৭ জুন) জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে বলা হয় বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার, ২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও সাবক্ষনিক ওষুধের দোকানসহ জরুরী সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বহাল থাকবে। পরে আজ সোমবার সন্ধ্যায় একই কারণে জন-প্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে একই ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে, তা বাস্তবায়নে মাঠে ছিলনা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রেডজোন এলাকায় আমরা নিয়িমিত মোবাইল কোর্ড পাঠাচ্ছি। যারা মাস্ক না পরে বের হবে এবং যারা নির্দেশনা অমান্য করে দোকান-পাট খোলা রাখবে তাদেরকে আমরা শাস্তির আওতায় আনবো। লোকজন চলাচলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করা হবে। তবে মানুষকে সচেতন হতে হবে।”
×