ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাঁচ বছরে জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল

প্রকাশিত: ০০:১৪, ২২ জুন ২০২০

পাঁচ বছরে জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী পাঁচ বছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) দুই শতাংশ অবদান রাখবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। আর এক্ষেত্রে প্রয়োজন সরকারী কার্যকরী সহযোগিতা। রবিবার এক অনলাইনে আলোচনায় এখাতের উদ্যোক্তারা এসব কথা জানান। আলোচনা অংশ নেয়া পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকার এখাতের বিকাশের বিষয়টি ভাবছে। তাই নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে যে কোন ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। এখাতের সংগঠন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বৈঠকের সভাপতিত্ব ও মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিসিপিয়াবের চেয়ারম্যান শামীম আহসান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণ তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছে। এখাতের সহায়তা দিলে তারা কর্মসংস্থান তৈরি ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বাজেটে খাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আগামীতেও এখাতের বিকাশে সরকার সহায়তা দেবে। বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরেই উদ্ভাবন ও স্টার্টআপে নজর দিয়ে আসছে। কারণ সেটি আমাদের সোনার বাংলা’র স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার অন্যতম পন্থা। আমরা আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছি। স্টার্টআপকে সহায়তার জন্য নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে উৎস ভ্যাট কর্তন রহিত করা হয়েছে। স্টার্টআপ বাংলাদেশ তার এ্যাক্সেলারেটর প্রোগ্রাম এবং স্টার্টআপ ফান্ডের মাধ্যমে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে সহায়তা করছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে বিএসইসি অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট রুলস অনুমোদন দেয়। এই রুলসের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই অনেক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটি কোম্পানি গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি অনেকগুলো বিদেশী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে। তাদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারগুলো আইপিওর মাধ্যমে স্টার্টআপের নির্গমণ (এক্সিট) সম্ভাবনা বাস্তবায়ন এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগকারী পেতে সহায়তা করে। আমরা আমাদের স্টার্টআপগুলোর আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা সিস্টেম তৈরিতে অবশ্যই কাজ করব। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ভিসিপিয়াবের মহাসচিব শওকত হোসেন, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, মসলিন ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন, ইনফ্লেকশন ভেঞ্চারের অংশীদার তানভীর আলী, পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন এম ইলিয়াস এবং স্টার্টআপ ঢাকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালি।
×