ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওসিকে প্রত্যাহার

খুলনায় ডাঃ রকিব হত্যায় আরও ২ আসামির জবানবন্দী

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ২২ জুন ২০২০

খুলনায় ডাঃ রকিব হত্যায় আরও ২ আসামির জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ বিএমএ খুলনা শাখার আজীবন সদস্য, খুলনা মহানগরীর রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক এবং বাগেরহাট মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ আব্দুর রকিব খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া মোঃ কুদ্দুস ও রিমান্ডে থাকা আসামি গোলাম মোস্তফা রবিবার খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এই নিয়ে ডাঃ রকিব হত্যা মামলায় চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার উপ-পরিদর্শক বিএম মনির হোসেন জানান। এর আগে গ্রেফতারকৃত আসামি জমির আলী ও খাদিজা বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এদিকে ডাঃ রকিব হত্যা ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার চিকিৎসকদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা সদর থানার ওসি মোঃ আসলাম বাহার বুলবুলকে প্রত্যাহার করে কেএমপি রিজার্ভ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেনকে। রবিবার কেএমপি কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবীর পিপিএম এই রদবদল করেছেন। এ বিষয়ে কেএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর। খুলনায় ডাঃ রকিব হত্যাকা-ের ঘটনায় চিকিৎসক নেতারা সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ আনেন। সেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে রিজার্ভ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডাঃ রকিব হত্যাকান্ডের পর ১৬ জুন বিএমএ খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে চিকিৎসকরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে গ্রেফতার, খুলনা থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং ডাঃ রকিব হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা এই তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ প্রকাশ ও আন্দোলন শুরু করেন। এরপর করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ১৭ জুন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আশুলিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার সংবাদদাতা, সাভার, ২১ জুন ॥ আশুলিয়ায় হনুফা আক্তার (২৬) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আশুলিয়া থানাধীন ঘোষবাগ এলাকায় নিহতের বড়ভাই রুহুল আমিনের বাড়ি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আরমান হোসেন নামে বাড়ির এক ভাড়াটিয়া যুবক পলাতক রয়েছে। হনুফা আক্তার পটুয়াখালী জেলার সদর থানার অফিসেরটেক গ্রামের বাসিন্দা। এক সপ্তাহ আগে গ্রাম থেকে বড়ভাই রুহুল আমিনের বাড়ি দেখাশোনার জন্য আসেন তিনি। আশুলিয়া থানার এসআই সুদীপ কুমার জানান, এদিন রাতে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাইরে থেকে দরজা খোলা ছিল। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর মৃতদেহ বাড়ির একটি ফাঁকা কক্ষের মেঝেতে পড়েছিল। তার গলায় রশি পেঁচানো এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হনুফা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
×