ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রহ্মপুত্র তীর সংরক্ষণ কাজে নানা অনিয়ম

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ২২ জুন ২০২০

ব্রহ্মপুত্র তীর সংরক্ষণ কাজে নানা অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারী উপজেলাধীন বন্দবেড় ইউনিয়নের ঘুঘুমারী এলাকা হতে ফুলুয়ারচর নৌকা ঘাট পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর (পূর্বপাড়) স্থায়ী নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ ৯টি প্যাকেজের মধ্যে ৫টি চলমান ও ৪টি প্রক্রিয়াধীন আছে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাগুয়ারচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জিও ব্যগে বালুর পরিবর্তে কাদা, দো-আঁশমাটি দিয়ে ভরাট করার সময় এলাকাবাসী বাধা দেয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদারের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে চাপের মুখে জিও ব্যাগ ভরার কাজ বন্ধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রাম। জানা যায়, প্যাকেজ নং কুড়ি/এডিপি/রৌমারী/পি-১৫, কাজের চুক্তিমূল্য ৩,৮২,৯৭,২০৫,৭৪১ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাজ মঞ্জিল ব্রহ্মপুত্র নদের ১৪.৫০০ হতে ১৫.০০০ পর্যন্ত ৫০০০ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে স্থায়ী নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ হবে। জিও ব্যাগ ভরাট কাজে নিয়োজিত শ্রমিক জহুরুল হক, ছাইদুর, হাবিল, বাছের, রাশেদুল জানায়, ‘আমরা শ্রমিকের কাজ করি, আমরা ঠিকাদারের লোক মান্নান ও দুলুকে বলেছি, বালু নাই তারা আমাগো বলেছে তোমারা যা আছে মাটি দিয়েই বস্তা ভরাট করো, তোমাদের কাজ বস্তা ভরাট করা, আমরা ৮৫ জন শ্রমিক কাদামাটি মিশাল বালু দিয়া ১২শ’ বস্তা ভরাট করছি, এলাকাবাসী আমাদের কাজে বাধা দিয়েছে, আমরা কাজ বন্ধ করছি, বালু আনলে কাজ করব।’ বাগুয়ারচর গ্রামের হেলাল, রফিক, রুবেল বলেন, এই ঠিকাদারের সাইডে এর আগেও ৪০ হাজার জিও ব্যাগ চিকন বালি, কাদামাটি মিশ্র মাটি ভরাট করে নদীতে ফেলছে, এখন এলাকাবাসীর বাধার কারণে কাজ বন্ধ করছে। বালু সরবারহকারী আব্দুল মান্নান বলেন, আমি বালু দেই আর কাদা মাটি দেই ঠিকাদার বুঝবে আমি বুঝব, অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেই এই বালু উত্তোলন করছি। ঠিকাদার বিপ্লব চন্দ্র ব্যানার্জী বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বালু পাওয়া যায় না, যে সমস্ত বস্তা মাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে ভরাট করছে, তা আনলোড করে মোটা বালু দিয়ে বস্তা ভরাট করা হবে। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি কাজে যাতে আর কোন ভুল না হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রামের উপ-সহকারী চঞ্চল শর্মা বলেন, আমি গতদিন ওই সাইডে গিয়ে চিকন বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভরাট করা বন্ধ করে দিয়েছি, তারা চিকন বালু উত্তোলন করছে, তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি এই বালু দিয়ে কাজ চলবে না। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে। এসও সাইডে গিয়ে বালু দেখে ভরাট জিও ব্যাগ আনলোড করবে।
×