ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাসে দুইবার নর্দমা পরিষ্কার

ময়লা আবর্জনা রাখলে ঢাকা ওয়াসাকেও জরিমানা করা হবে ॥ তাপস

প্রকাশিত: ২২:৪১, ২২ জুন ২০২০

ময়লা আবর্জনা রাখলে ঢাকা ওয়াসাকেও জরিমানা করা হবে ॥ তাপস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিয়ম ভঙ্গ করে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখলে ঢাকা ওয়াসাকেও জরিমানা করা হবে। কাউকেই কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলে সংস্থাটিকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। একইসঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রতিমাসে ২ বার করে নর্দমা পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি। রবিবার নগরীর ২০নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সংলগ্ন নর্দমায় বছরব্যাপী নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ এমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দীন রতন এবং ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী আওয়াল হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার স্যুয়ারেজ ও পানি সরবরাহ সংস্থা ওয়াসার উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনারা নর্দমা পরিষ্কার করে রাস্তায় আর ময়লা ফেলে রাখতে পারবেন না। তাহলে জরিমানা করা হবে, আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম বছরব্যাপী পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, এক সময় এ কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট সময় পরিচালিত হতো এখন থেকে এই কার্যক্রম স্বল্প সময়ের জন্য নয়, চলমান থাকবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের সব নর্দমা মাসে দুবার করে পরিষ্কার করা হবে। মেয়র শেখ তাপস বলেন, জনগণকে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সজাগ থাকুন। এলাকার কোথাও যদি নর্দমা আটকে যায়, যদিও উপছে পড়ে কিংবা যদি কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় তাহলে আপনারা কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনকে জানাবেন। তারপরও যদি সুরাহা না হয় তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবেন। মেয়র বলেন, আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতায় মশক নিধনে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছি। নর্দমা পরিষ্কার মশক নিধন কাজেরই একটি অংশ। এখন সকালে ও বিকেলে ৪ ঘণ্টা করে মোট ৮ ঘণ্টা মশক নিধনের কাজ চলছে গত ১৪ জুন থেকে। তিনি বলেন, এ এলাকায় ময়লা আটকে থাকার কারণে নোংরা থাকার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ফলে এখন থেকে কমপক্ষে মাসে ২ বার নর্দমা পরিষ্কার করে জলাবদ্ধতা দূর করতে কাজ করবে। ফলে পানি জমে থাকতে পারবে না। মেয়র উন্মুক্ত স্থানে আবর্জনা না ফেরতে ও নর্দমাকে আবর্জনার স্তূপ না বানাতে, করোনায়ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বিশেষ আহ্বান জানান। এর আগে ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দীন রতন নাগরিকদের উদ্দেশে বক্তব্যে বলেন, মেয়র সাহেব নর্দমা পরিষ্কার কর্মসূচী উদ্বোধন করলেও তা বছরব্যাপী পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের মানে জনগণের। তাই কর্মসূচী সফল করতে আমাদেরও সচেতন হতে হবে সব ভাল কাজে সিটি কর্পোরেশনকে সহায়তা করতে হবে। তবেই কেবল এ উদ্যোগ বাস্তবে সুফল পাবেন আপনারাই। আর নর্দমা পরিষ্কার থাকলে কোনমতেই বৃষ্টি হলেই পানি রাস্তায় উঠবে না জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হবে। এ জন্য তিনি ওয়ার্ডে বসবাসকারী ও ব্যবসা পরিচালনারারীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে সকালে ডিএসসিসি মেয়র তাপস নগরীর ৩৩নং ওয়ার্ডের আগা সাদেক রোডের নর্দমায়ও বছরব্যাপী নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় মেয়র বলেন, মশক নিধন কাজে আমরা ফগিং করছি ও এডাল্টিসাইড ছিটানোর কাজ করছি। মশা রাখব না তাই ১৪ জুন থেকে জলাশয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে হাঁস চাষ করছি মাছ চাষ করছি যাতে মশার প্রজনন না হয়। নর্দমা পরিষ্কার না করলে যেহেতু জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই নর্দমা পরিষ্কার করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি তাই আপনাদের সেবার জন্য এই করোনার মধ্যেও আমি ঢাকার সব জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছি কার কি সমস্যা আছে তা জানতে। আপনাদের সবাইকে নিয়েই আমরা উন্নত ঢাকা গড়তে চাই। উন্নত আধুনিক ঢাকা গড়তে হলে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এ সময় ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আওয়াল হোসেন বলেন, নির্বাচনের সময় বর্তমান আমাদের ও মেয়রের দেয়া ওয়াদা অনুযায়ী সব মৌলিক নাগরিক সেবা ইনশাআল্লাহ ৯০ দিনের আগেই পূরণ করব। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা, জলাবদ্ধতা দূর করা ও মশক নিধন করার কাজ শেষ করব। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হচ্ছে।
×