ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:২২, ২২ জুন ২০২০

করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সারাদেশে করোনা উপসর্গ নিয়ে ডাক্তার, ব্যবসায়ী, ইউপি চেয়ারম্যান, ইতালি প্রবাসী ও যুবকসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ডাক্তার ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় হাড়ভাঙ্গা ডাক্তার, লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজন, মাদারীপুরে ইতালি প্রবাসী, সাতক্ষীরায় যুবক, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের গাংনীতে ব্যবসায়ী, বগুড়ায় ছয়জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মৌলভীবাজারে দুই জন, বরিশালে পাঁচজন জ্বর, সর্দি ও কাশি উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এছাড়া অনেকে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদাতা ও সংবাদদাতার। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার কামারপুকুর গ্রামের বাসিন্দা খতিব উদ্দিনের ছেলে ডাঃ মুজিবুর রহমান রিপন (৪৪)। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ডাঃ মুজিবুর রহমান শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। গত ১৬ জুন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ২০ জুন সকালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং রাত ১২ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরহুমের নিজ গ্রামে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। এছাড়া জেলায় নতুন করে আর একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১৭৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন। এদের মধ্যে ৮৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কক্সবাজার ॥ চকরিয়ার নামকরা হাড়ভাঙ্গা রোগের চিকিৎসক শম্ভুনাথ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। রবিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ডাক্তার শম্ভুনাথ দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়ায় হাড়ভাঙ্গা রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। ভাল চিকিৎসা দিয়ে তিনি ব্যাপক পরিচিতিও লাভ করেন। সে কারণে জেলার প্রত্যেক এলাকার লোকজন ছাড়াও জেলার বাইরের বহু দূর থেকে তার কাছে চিকিৎসা নিতেন মানুষ। লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরে কোভিড-১৯ এর অব্যাহত সংক্রমণ ঠেকাতে রেড জোন হিসেবে পাঁচ উপজেলায় রবিবার ষষ্ঠ দিনের মতো লকডাউন চলছে। রেড জোনে লকডাউন চলাকালে গত ২৪ ঘণ্টায় লক্ষ্মীপুরে একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন ব্যাংক কর্মচারীসহ আরও তিনজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এরমধ্যে জেলার রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা (৫৫) জ¦র, কাশি, শ^াসকষ্ট, করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান, সদর উপজেলার রশিদপুর নিবাসী খোরশেদ আলম (৬৫) এবং একই রাতে জেলা সদর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান, সদর উপজেলার পার্বতিনগর সোনাপুর গ্রাম নিবাসী এনসিসি ব্যাংক রায়পুর শাখার কর্মচারী আনোয়ার হোসেন (৫২)। সরকারী হিসেব মতে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৫ জনে পৌঁছল। মাদারীপুর ॥ শহরের কলেজ রোড এলাকার নিরাময় হাসপাতাল সংলগ্ন ইতালি প্রবাসী ছালাম খালাশী (৫৭) এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে রবিবার দুপুরে মারা যান। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের কলেজ রোড এলাকার নিরাময় হাসপাতালসংলগ্ন ইতালি প্রবাসী ছালাম খালাশী মার্চ মাসের পথম সপ্তাহে ইতালি থেকে মাদারীপুরে নিজ বাড়িতে আসেন। গত এক সপ্তাহ থেকে তার শরীরে করোনা উপসর্গ জ¦র, কাশি দেখা দেয়। বাসায় থেকেই তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। রবিবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে নিজ বাসায়ই মারা যান। তার মৃত্যুর পরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোক করোনার নমুনা নিয়ে গেছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ জন। সাতক্ষীরা ॥ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশনে আহাদ আলী (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকেলে তিনি মারা যান। তিনি দেবহাটা উপজেলার সখিপুর এলাকার বদরুদ্দীন গাজীর ছেলে। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কুষ্টিয়া ॥ করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম বুলবুল আহমেদ (৫০)। তিনি শনিবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। তার বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলার কাচারিপাড়া এলাকায়। করোনা উপসর্গ থাকায় কোন চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দেয়নি। এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে ভেড়ামারা ফারাকপুর গোরস্তানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফন সম্পন্ন হয়। পারিবারিক সূত্র জানায়, সাতদিন ধরেই তিনি ঠা-া, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি হলে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। মৃতের স্ত্রী জোসনা খাতুন অভিযোগ করেন, তার শ্বাসকষ্ট-জ্বর থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা করোনা পজিটিভ মনে করে তাকে কোন চিকিৎসা দেয়নি। এ অবস্থায় শত অনুরোধ করেও ডাক্তারদের মন গলাতে পারেননি। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিনা চিকিৎসায় বুলবুল আহমেদের মৃত্যু হয়। এ বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসন তার নমুনা সংগ্রহ করে। পরে করোনা বিধি অনুযায়ী প্রশাসনিকভাবে রবিবার দুপুরে ভেড়ামারার ফারাকপুর গোরস্তানে তার মৃতদেহ দাফন সম্পন্ন হয়। মেহেরপুর ॥ গাংনীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আফেল আলী (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আফেল আলী সাহারবাটি বাজার পাড়ার আব্দুল মতিনের ছেলে। সে পেশায় মৌসুমি ফল ও সবজি ব্যবসায়ী ছিলেন। আফেল আলীর ছোট ভাই কফেল আলী জানান, তার ভাইয়ের শ্বাসকষ্ট, সর্দি জ্বর ও হার্টের সমস্যা ছিল। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনিত হলে এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা নেয়ার পথে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব বাজার এলাকা পার হওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। পরে গাংনী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। বগুড়া ॥ করোনায় নতুন করে তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জন মারা গেছেন। শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত এই ৬ জন মারা যান। এদের মধ্যে একজন নির্বাহী প্রকৌশলী, একজন শিক্ষক, প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও একজন আইনজীবী রয়েছেন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় আক্রান্ত হয়েছে আরও এক শ’ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়াল। আর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী রবিবার সকাল পর্যন্ত ৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৮৫। এরমধ্যে ২১৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে আরও এক শ’ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ করোনার উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোরে জেলা সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় তারা মারা যান। জানা যায়, ভোরে শহরের কাজীপাড়া এলাকার মোঃ শাহনেওয়াজ করোনার উপসর্গ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মাধবপুর বাজারে একটি দন্ত চিকিৎসালয় পরিচালনা করে আসছিল। এদিকে একই সময়ে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় আড়াইসিধা মোল্লাবাড়ি এলাকার আবু তাহের মিয়া নিজ বাড়িতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। শনিবার দুপুর থেকে তার জ¦র, সর্দি ও কাশি ছিল। মৃত্যুর খবর পেয়ে আশুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি টিম ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ২২ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩৩ জনে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬ জন। মৌলভীবাজার ॥ কুলাউড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে লোহাউনি চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার মোঃ তৈয়ব আলীর (৭০) মৃত্যু। পৌর শহরের উছলাপাড়া নিবাসী হাজী তৈয়ব আলী গত ১৬ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে সিলেট শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি শনিবার ২০ জুন রাত ১০টায় মারা যান। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বজনরা তাকে গত ১৬ জুন সিলেট শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। রবিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসোলশনে থাকা দুরুদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু। এ নিয়ে মৌলভীবাজারে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়। বরিশাল ॥ শেবাচিম হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে করোনায় আক্রান্তসহ দুইজন এবং শনিবার মধ্যরাতে অপরজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লুৎফর রহমান (৬০) নামের করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আল মামুন (১৩) ও শিউলি বেগম (৪০) শেবাচিম হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। বাউফল ॥ মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদের একজনের নাম মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন (৯০)। দাশ পাড়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামে তার বাড়ি। অপর জনের নাম জয়নাল আবেদীন (৫৮)। তিনি সোনালী ব্যাংক বাউফল শাখার ক্যাশিয়ার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন গত ১৪ জুন সন্ধ্যায় করোনা উপসর্গ নিয়ে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং জয়নাল আবেদীন একই উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার রাত তিনটায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ আরটিসিসি আর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার রাতে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ঝালকাঠি ॥ জেলায় রবিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১২৫ জন আক্রান্ত হলো। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় ৪৬ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৬ জন মারা গেছেন। রাজাপুর উপজেলায় উপসর্গ নিয়ে আইউব আলী(৫০) এবং ঝালকাঠি পৌরসভার বিআইপি এলাকার হাসান (৩৫), নলছিটি উপজেলার জামাল হোসেন (৪২)। জেলার ৪ উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৪১, নলছিটি উপজেলায় ৩৭ জন, রাজাপুর উপজেলায় ৩০ জন, ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় ১৭ জন। গাইবান্ধা ॥ করোনা উপসর্গ নিয়ে নতুন করে আরও ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জন বেড়ে এখন মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৭ জনে। করোনা সন্দেহে নানা উপসর্গে নতুন করে ১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১২ জন। সর্বমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ২০৭ জন। এরমধ্যে ৬ জন মারা গেছে। ১৬৮ জন গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন আইসোলেশনে রয়েছে। ৩৩ জন রোগী সুস্থ হওয়ায় তাদেরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন শেষে ৮৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। নীলফামারী ॥ কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যায় নীলফামারী জেলায় নতুন করে আরও ৮ জন শনাক্ত হয়েছে। সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকার দুই ভাই, জলঢাকা সোনালী ব্যাংকের এক সিনিয়র অফিসার ও তার সহধর্মিণী (স্বামী-স্ত্রী), জলঢাকা পৌরসভার সবুজপাড়ায় এক গৃহবধূ, মুদিপাড়ায় এক ছাত্রী, সৈয়দপুর পৌরসভার পুরাতন বাবুপাড়ায় এক চিকিৎসকের সহধর্মিণী এবং ডোমার পৌরসভার ছোট রাউতা এলাকার এক ওষুধ দোকানের মালিক। হবিগঞ্জ ॥ নতুন ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৩৫৭ জন। মারা গেছেন চার জন। শনিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ঢাকার জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নতুন ৮১ জনের আক্রান্তের রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, এএসপি, এসআই, এএসআই, পুলিশ কনস্টেবল, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই ৮১ জনের মধ্যে হবিগঞ্জ সদর ৪০, মাধবপুর ২২, চুনারুঘাট ৭, বানিয়াচং ৬, লাখাই ২, আজমিরীগঞ্জ ২ এবং বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলার একজন করে।
×