ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার মধ্যেও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা

প্রকাশিত: ২২:১৭, ২২ জুন ২০২০

করোনার মধ্যেও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার করোনাভাইরাসের মধ্যেও উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জীবন চলতে থাকবে, এটি স্থবির থাকতে পারে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার আহ্বান জানান। রবিবার গণভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় দেশের সব জেলখানায় ভার্চুয়াল সিস্টেম স্থাপনের নির্দেশ দেন। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবণ থেকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংযুক্ত ছিলেন। অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবরা শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে ছিলেন। সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাসহ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। একনেক সভার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও অন্ততপক্ষে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যে, ধারাবাহিকতটা বজায় রেখে উন্নয়নের মূল গতিটা ধরে রাখার। যে কারণে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত ভাষণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর ও পুনরায় গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, দেশবাসীকে আমি এই অনুরোধ করব যে, সবাই স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন। কারণ, জীবন চলতে থাকবে, এটি স্থবির থাকতে পারে না। তারপরেও স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সকলকে আমি আহ্বান জানাব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই আজ এই সমস্যাটা চলছে। কাজেই এর হাত থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ যাতে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেটাই আমরা চাই। তার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সাংসদসহ দেশে এবং প্রবাসে করোনাভাইরাসের কারণে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি এবং এর কবল থেকে সকলের মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা আমাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যসহ দেশে ও প্রবাসে অনেককে হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশবাসীর কাছে এটুক বলব, আসুন সকলে মিলে দোয়া করি আল্লাহ যেন এই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা এদিনও একনেক সভা ভার্চুয়ালি করেছি। আমরা মোট ১০টি প্রকল্প একনেক সভায় পেশ করেছিলাম। সবগুলোই পাস হয়েছে। আজকে পাস হয়েছে ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা। এটা আনন্দের ব্যাপার আপনাদের জন্য, আমাদের জন্যও। সব টাকাই আমাদের নিজস্ব টাকা। কোন ধার-দেনা, তথাকথিত সহায়তা- এগুলো কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে খাল কাটা ও পুকুর খনন-সংস্কারের নামে শুধু পাড়গুলো ছেঁটেছুটে পুকুর কাটার বিল তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে সংবাদ আছে যে, খাল কাটার নামে, পুকুর কাটা-সংস্কারের নামে খালি পাড়গুলো ছেঁটেছুটে বিল তোলা হয়েছে। তিনি মন্ত্রণালয়কে বলেছেন, এটা ভাল করে দেখা দরকার। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ আসছে, ঠিকাদার দিয়ে কাজ করানো হয়। তারা পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার করে কিন্তু নিচে যায় না। যদি বলে মাটি কাটছে, মাটি গেল কোথায়? পুকুর, খাল থেকে যে মাটি উঠানো হবে, সে মাটি কোথায় গেল খোঁজ নিয়ে দেখুন। ভাল করে পরখ করে দেখুন, যাতে ছেঁটেছুটে না বলে পুকুর কেটেছি। বিষয়টি নিয়ে নিজের মন্তব্য তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, এটা অত্যন্ত পুরনো একটা টিকস। এটা নিয়ে আমিও পরিচিত মোটামুটি। আমি নিজে দেখেছি এটা। এটা সম্পর্কে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জানেন এবং খুব স্ট্রং মন্তব্য করেছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের দ্বিতীয়বার সংশোধন প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বললেন যে, এত সময় লাগল কেন। এটা ঠিক হয়নি। আরও আগে শেষ হওয়া দরকার ছিল। তিনি বলছেন, আর বাড়াবো না। শেষ করার কথা বলেছেন। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত খুশি হয়েছেন, আমরা পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে আছি মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে। তিনি বলেন যে, মাছ যে উৎপাদন হচ্ছে এগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলো যেন মানুষ ন্যায্যমূল্যে পায়, সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। এদিন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাল কাজ করছেন আপনারা। দেশের উপকার হচ্ছে। কিন্তু আপনাদের কাজের মান নিয়ে অনেক মহলে প্রশ্ন আছে। আপনারা একটু পাতলা ঢালাই করেন ইত্যাদি। স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালভাবে নজরদারির ব্যবস্থা করেন। যাতে এই বদনামটা যায়। এদিন একনেক সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ব্রিটিশরা চিহ্নিত করেছিল বালুমহল। এখনও ডিসিরা ওই বালুমহল ইজারা দেয়। ইতোমধ্যে নদী সরে গেছে, কিন্তু ওই জায়গায় যেহেতু বালুমহল রয়েছে। তিনি বলেন, এগুলো ঠিক নয়। আবার সার্ভে কর। যেখানে নিরাপদ সেখানে দাও। আর এক জায়গায় কাটতে কাটতে গভীর হয়ে যায়, পরে পাড় ভাঙে, সেতু ভাঙে ইত্যাদি রিপোর্ট তার কাছে আছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এদিন ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ অনুমোদন দেয়া হয়। এর মাধ্যমে সারাদেশে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে দেশের ২৮০টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যরা (এমপি) বরাদ্দ পাবেন ৬ হাজার ৪৭৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলেও আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারিত হবে। এমপিরা তৃতীয়বারের মতো বরাদ্দ পাচ্ছেন ২০ কোটি টাকা করে। এই টাকা দিয়ে তারা এলাকার রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাটবাজার ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারবেন। তবে একবারে নয়, চার ভাগে প্রতিবছর পাঁচ কোটি টাকা করে এই টাকা বরাদ্দ পাবেন তারা। দেশে সংসদীয় আসন ৩০০টি হলেও এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে ২৮০টি আসন। মূলত দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যে ২০টি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেই আসনগুলোকে এই প্রকল্পের বাইরে রাখা হয়েছে। এছাড়াও দেশের সব জেলখানায় ভার্চুয়াল সিস্টেম স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বলেন, কয়েদিরা যেন মানবিক সুযোগ-সুবিধা পায়, সেজন্য সব কারাগারই সংস্কার করতে হবে। একনেক সভায় ‘জামালপুর জেলা কারাগার পুনর্নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদনকালে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জামালপুরে ভার্চুয়াল কোর্ট গড়তে হবে। যাতে মামলা মোকদ্দমা ডিজিটালি সম্ভব হয়। জামালপুর তো আজকে হলো। অন্য জেলার কারাগারগুলোরও সার্বিকভাবে ভার্চুয়াল সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। অনেক সময় অভিযুক্তকে নেয়ার দরকার নেই, ওখানে বসেই বিচার হবে ভার্চুয়ালি। কিছু কিছু কয়েদি আছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে না নেয়াই নিরাপদ। সেজন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, সব জেলখানায় ভার্চুয়াল সিস্টেম বসিয়ে দাও। জামালপুর তো করবেই, অন্যগুলোতেও বসাও। এম এ মান্নান আরও বলেন, জামালপুর জেলা কারাগারের প্রকল্প যখন নিয়ে যাই, তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অত্যন্ত আবেগী হয়ে বলেন, এসব লোকগুলো কষ্ট করে, এরা যেন ভালভাবে থাকতে পারে। এখানে যেন ব্রিটিশ, পাকিস্তানী মনোভাব না থাকে। তারা যেন মিনিমাম মানবিক আচরণ পায় এবং সুযোগ-সুবিধা পায়। তারাও যেন ফ্যানের বাতাস পায়, পানিওয়ালা টয়লেট পায়, রেডিও-টিভি দেখার সুযোগ থাকে। জেলে কিন্তু কিছু কিছু হাতের কাজ করা হয়। সেগুলো বিক্রি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখান থেকে যা আয় হবে, তার অর্ধেক তারা পাবে। বাড়ি যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে। আমি যদি পাঁচ বছর জেলে থাকি, উৎপাদন করি ৫০ হাজার টাকা, ২৫ হাজার টাকা পাব যাওয়ার সময়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তিনি ইতোমধ্যে এটা শুরু করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, সব জেলেই এটা করতে হবে। সংস্কার শুধু জামালপুর জেল নয়, অন্যান্য জেলও সংস্কার করতে হবে। একটা আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, জেলের বাসিন্দারা যেন মানসম্মত অবস্থায় থাকতে পারে। এছাড়াও, করোনা মোকাবেলায় এসি ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গ্রামে মানুষ খোলামেলা আবহাওয়ায় বেড়াতে পারছে। এ কারণে গ্রামে কোভিড-১৯ রোগী কম হতে পারে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ ছড়ানোর ক্ষেত্রে এসি ভূমিকা রাখতে পারে। তাই এসি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। অপ্রয়োজনে এসি চালানোর প্রয়োজন নেই। এছাড়াও রেলওয়ের কারখানা আধুনিকায়নেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুমোদিত অন্য প্রকল্প হলো- ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (দ্বিতীয় সংশোধিত)’, ৯৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ‘মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা’, ১৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (পটুয়াখালী ও বরগুন জেলা) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ এবং ৫৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘হাওড় অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’। ২১০ কোটি ০৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জামালপুর জেলা কারাগার পুনর্নির্মাণ’, ২৫৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) (প্রথম সংশোধিত)’, ৬১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ (হরিদাসপুর)-মোল্লাহাট (ঘোনাপাড়া) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৭৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প’, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিএএফও বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ’ এবং ‘যশোর (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধি’র অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
×