ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কঙ্গোর প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফের ২০ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ২১ জুন ২০২০

কঙ্গোর প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফের ২০ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক ॥ সরকারি তহবিলের চার কোটি ৮০ লাখ ডলারেরও বেশি অর্থ আত্মসাতের দায়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত। ঘুষ গ্রহণের দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ভিতাল কামেরহে কঙ্গোর সবচেয়ে প্রবীণ রাজনীতিক। এক সময় কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি হওয়ার আশা পোষণ করতেন তিনি। কারাদণ্ডের ২০ বছর তাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে বলে শনিবার দেওয়া রায়ে বলেছে আদালত। মুখে মাস্ক ও হাতে রবারের গ্লভস পরা বিচারক প্যানেলের প্রধান বিচারপতি পিয়েরে বঙ্কেজে মভিটা এ রায় ঘোষণা করেন। কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির ১০০ দিনের নির্মাণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আবাসিক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করার দায়ে কামেরহে অভিযুক্ত হন। তবে অর্থ আত্মসাতের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। এই রায়ে ‘মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়েছে’ দাবি করে এর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন কামেরহের আইনজীবী। ২০১৮ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট শিসেকেদির নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কামেরহে। ২০২৩ সালের দিকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার কথা ছিলে আর শিসেকেদির তাকে সমর্থন করার কথা ছিল। কিন্তু এই শাস্তির পরে কামেরহে ১০ বছর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারবেন না। কামেরহে নীল ও হলুদ রঙের কারা পোশাক পরে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। নতুন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষিত থাকতে তিনিও ফেইস মাস্ক পরেছিলেন।
×