ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাঠে ফিরতে তৈরি হচ্ছেন ফুটবলাররা

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২১ জুন ২০২০

মাঠে ফিরতে তৈরি হচ্ছেন ফুটবলাররা

রুমেল খান ॥ ফুটবল মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। তার আগে জাতীয় দল নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন হেড কোচ জেমি ডে। নিজেদের ফিট রাখতে চেষ্টার কমতি নেই ফুটবলারদের। এদিকে করোনা বিরতি সৌভাগ্য বয়ে এনেছে ফাহাদ, জনি, আবদুল্লাহ আর মতিনদের ক্যারিয়ারে। ইনজুরি কাটিয়ে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে তৈরি হচ্ছেন তারা। হেড কোচের পরিকল্পনার সমন্বয়ের কাজ করছেন সহকারী কোচ মাসুদ কায়সার। অজানা শঙ্কাটা কাটতে শুরু করেছে অন্তত দেশের ফুটবলে ঘরোয়া লীগ এক বছরের জন্য নির্বাসনে গেলেও কঠিন সময়টা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় লাল-সবুজের যোদ্ধারা। বছরজুড়ে ক্লাব কিংবা জাতীয় দলে ব্যস্ত থাকা ফুটবলারদের ফুরসত কোথায় এমন বিলাসী জীবনের? প্রায় তিন মাস পরিবারের সঙ্গে অখন্ড অবসর তাদের। কিন্তু থেমে নেই নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই, ফিট রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা। কখনও বালুচরে, কখনও বাড়ির ছাদে বিরতিহীন অনুশীলন। লীগ বাতিলের পরও নিজেদের ফিট রাখার চেষ্টা ছিল শুধু জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্যদের। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন কোচ জেমি ডে। দেশে থেকে যা সমন্বয় করেছেন সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ। ব্যক্তিগত ট্রেনিং সেশনগুলো ফুটবলারদের ফিট রেখেছে হয়তো, কিন্তু ম্যাচ খেলার উপযোগী কী করতে পেরেছে? দীর্ঘ বিরতি আবার শাপে বর হয়েছে কারোর জন্য। এই যেমন ইনজুরির ফাঁড়া কেটেছে জেমি ডে’র পছন্দের তালিকায় থাকা মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ, মাসুক মিয়া জনি আর ফরোয়ার্ড মতিন মিয়ার। অবশ্য নিজেদের প্রমাণ করে তবেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল স্কোয়াডে জায়গা করে নিতে হবে তাদের। করোনাভাইরাসের কারণে মাঝপথে পরিত্যক্ত করা হয়েছে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম। ফেডারেশন কাপ ছাড়া আর কিছুই হয়নি এবার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ছয় রাউন্ড খেলা হওয়ার পর ক্লাবগুলোর দাবিতে মৌসুমের বাকি অংশ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বাফুফে। এ অবস্থায় বসুন্ধরা কিংস ছাড়া বাকি ১২ ক্লাবের ফুটবলারদের এখন আর খেলা নেই। আগামী মৌসুম কবে শুরু হবে তাও ঠিক নেই। ঘরোয়া খেলাধুলা কবে শুরু হতে পারে সে ঘোষণা জুনের পর ছাড়া দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি। ফুটবল মৌসুম বাতিল হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন দেশের বেশিরভাগ ফুটবলার। জাতীয় দল ও আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা বলেছেন, ‘যেহেতু এ বছরের লীগটা বন্ধ হয়ে গেছে তাই বাফুফেকে অনুরোধ করব পরের লীগটা যেন তাড়াতাড়ি শুরু হয়। এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ লীগ খেলেই আমাদের পরিবার চলে। আমি মনে করি বাফুফে যদি পরের মৌসুম শুরুর সিদ্ধান্তটা দ্রুত দেয় তাহলে আমরা ফুটবলাররা মানসিকভাবে একটু স্বস্তিতে থাকতে পারব। তাই বাফুফের কাছে আমাদের দাবি- তারা যেন দ্রুত পরের মৌসুমের সূচী ঘোষণা করে।’ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘লীগ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ফুটবলাররা চাই যাতে দ্রুত লীগটা শুরু হয়। কারণ এভাবে ঘরে বসে থাকলে আমরা ফিটনেস ধরে রাখতে পারব না। লীগ শুরু হলে জাতীয় দলের জন্যও ভাল হবে। ক্লাব এবং ফুটবলার কোন পক্ষেরই যাতে ক্ষতি না হয় সেভাবেই যেন বাফুফে একটা সিদ্ধান্ত নেয়। পরের লীগটা শুরু হতে যদি বেশি দেরি হয় সেটা আমাদের ফিটনেসের জন্য নেতিবাচক হবে।’ এখন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে নতুন মৌসুম শুরু হতে পারে আগামী সেপ্টেম্বরে-অক্টোবরে। তবে বাফুফের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয় ফুটবলাররা। তারা সবাই অভিন্ন সুরে বলেছেন ফিটনেস ধরে রাখাটা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। খেলার মধ্যে না থাকলে তখন জাতীয় দলে এর প্রভাব পড়তে পারে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেবে।
×