ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি শিক্ষার্থী মেহেদী হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২১ জুন ২০২০

ঢাবি শিক্ষার্থী মেহেদী হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মেহেদী মুস্তাফাকে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা একটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সামাজিক দূরত্ব মেনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, উপ-সম্পাদক রিয়াদ হাসান ও কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার ও ছাত্রলীগের সাবেক উপ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম নিপুল এবং জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী হাসান রাশিদুজ্জামান বিপ্লব। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের সন্তান মেহেদী মোস্তফা ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি আইন চর্চা করছিলেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি গত ১৬ জুন খুন হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত খুনীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রাশিদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, আমার বন্ধু মেহেদী মোস্তফা ছিলেন নম্র ভদ্র মানুষ। তাকে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসী। অতি দ্রুত এই সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মেহেদী মোস্তফাকে আমরা আর ফিরে পাব না। মেহেদী যাদের দ্বারা বা যার দ্বারা নির্মমতার শিকার হয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে আমাদের সবার শোকের মাতম কিছুটা লাঘব করবেন। আমার বন্ধুর আত্মার প্রশান্তি কামনা করি। তার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। কবি জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, আমার বন্ধু মেহেদী মোস্তফার হত্যার প্রতিবাদ জানাতে রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়েছি। মোস্তফা আমার টাঙ্গাইলের কৃতী সন্তান ছিলেন। সে একজন ভদ্র ছেলে ছিলেন। আমরা যখন তার সঙ্গে কথা বলতাম, আড্ডা দিতাম, সে ছিল সব সময় মৃদুভাষী, কম কথা বলতেন। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। পারিবারিক সহিংসতা কিংবা যেভাবেই হোক তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও খুনী জিহাদকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছে। আমরা আশাবাদী এই ঘটনায় খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
×