ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫

করোনায় এ পর্যন্ত দেশে ১৪২৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:২১, ২১ জুন ২০২০

করোনায় এ পর্যন্ত দেশে ১৪২৫ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭ জনের মৃত্যু এবং ৩২৪০ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৪২৫ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৮ হাজার৭৭৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১ হাজার ৪৮ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৩১টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্তের হার ২৩ শতাংশ। শনিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৬ জন এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সী ১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন এবং রংপুর বিভাগে ১ জন। হাসপাতালে ২৭ জন এবং বাসায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬২৮ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে এক হাজার ৫৩৮ জনকে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৪ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৭৪ জন। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে। আক্রান্তে বেশি ২১-৩০ বছর বয়সীরা ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, লিঙ্গভেদে শনাক্তের হার পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ২৮ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৭ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৬০ বছরের বোিশ বয়সীদের মৃতের হার বেশি ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, ১ থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃতের হার দশমিক ৮২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সীদের ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৬১ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যুর হার ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ২৯ হাজার ৩০৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৫৪৫ জন, রংপুর বিভাগে ১৪২৬ জন, খুলনা বিভাগে ৮৪২ জন, বরিশাল বিভাগে ১২১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০৪৩ জন, সিলেট বিভাগে ১২৭৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩৪০ জন সুস্থ হয়েছেন। তিনি আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য বাতায়নের নম্বরে ৬৬ হাজার ১৭৭টি, ৩৩৩ নম্বরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৫টি এবং আইইডিসিআরের নম্বরে ১১৯৮টি করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আসা মোট কলের সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭২০টি। এ পর্যন্ত মোট কল এসেছে ১ কোটি ২২ লাখ ৪৩ হাজার ৫০৬টি।
×