ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এখনই সুবর্ণ সুযোগ সবুজ উইকেটকে প্রাধান্য দেয়ার

প্রকাশিত: ০০:১৭, ১৯ জুন ২০২০

এখনই সুবর্ণ সুযোগ সবুজ উইকেটকে প্রাধান্য দেয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে তিন মাস মাঠে কোন ক্রিকেট খেলা নেই। স্টেডিয়ামগুলো যথেষ্ট বিশ্রাম পেয়েছে। এখন সুযোগ সবুজ উইকেটকে প্রাধান্য দেয়ার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করছেন, এখন সুবর্ণ সুযোগ সবুজ উইকেটকে প্রাধান্য দেয়ার। বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘আমরা যখন ঘাসের উইকেট চাই তখন কিউরেটররা বলে যে উইকেট পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না। কিন্তু আমার মনে হয় যে এখন উইকেট ভালমতোই বিশ্রাম পেয়েছে। আমি মনে করি সবুজ উইকেটকে এখন আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে এর আগে পেসারদের কিছু কাজ আছে। মুখের থুতু বলে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ বলে ওদের আরও কিছু কাজ করতে হবে। নয়ত ব্যাটসম্যানরা ওদের ওপরে দাপট দেখিয়ে যাবে।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই নির্বাচক অবশ্য আগেও চাইতেন, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবুজ উইকেটে খেলুক। কিন্তু উইকেটগুলো পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ায় স্পিন উইকেটেই খেলতে হতো বাংলাদশকে। করোনাকালে অবশ্য উইকেটগুলো পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির পিচ কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। এবার এখানে সবুজ উইকেট বানানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। যদিও পেসবান্ধব উইকেটে খেলা হওয়ার আগে পেসারদের উন্নতির কিছু জায়গা দেখছেন বাশার। বিশেষ করে বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ায় পেসারদের আরও অনুশীলনের দরকার আছে বলে মনে করছেন তিনি। ঘরের মাঠে নিয়মিতই স্পিনবান্ধব উইকেটে টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। গত বছর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে তো রীতিমতো চার স্পিনার নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ যদিও হারে বাংলাদেশ, তবে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় বড় দলকে স্পিনবান্ধব উইকেটেই হারায় তারা। এবার ঘরের মাঠে সবুজ উইকেট চান হাবিবুল বাশার। ক্রিকবাজকে দেয়া এক স্বাক্ষাতকারে এমনটিই জানিয়েছেন তিনি। আবু জায়েদ রাহি, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানদের বলে পর্যাপ্ত গতি আছে বলে মনে করেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই পেসবান্ধব উইকেটে খেলতে চাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে গেছেন তিনি। পাকিস্তানে টেস্ট খেলার পর গিবসন বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। আমাদের বেশিরভাগ পেসার ১৩০-১৪০ গতিতে বল করেছে। এবাদত ১৪০ গতিতে বল করতে সক্ষম।
×