ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ১৭ জুন ২০২০

করোনায় একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে মঙ্গলবার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৩ জনের মৃত্যু এবং ৩৮৬২ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ২৬২ জনে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪ হাজার ৪৮১ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ২৩৭ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৩৬ হাজার ২৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ২১৪টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭১৭টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্তের হার প্রায় ২৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮.৩৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ। মঙ্গলবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৭ পুরুষ এবং ৬ নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৯, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪, রাজশাহী বিভাগে ৪, খুলনা বিভাগে ৩, ময়মনসিংহে এক এবং বরিশাল বিভাগে একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন, বাসায় মারা গেছেন ১৮ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন একজন। অধ্যাপক নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬৩৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৩০২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৫৯ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৩ হাজার ৪২১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৯ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৩ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬২ হাজার ৫৪৬ জন। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে। আক্রান্তে বেশি ২১-৩০ বছর বয়সীরা ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, লিঙ্গভেদে শনাক্তের হার পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ২৮ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৭ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মৃতের হার বেশি ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, ১ থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃতের হার দশমিক ৮২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সীদের ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৬১ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যুর হার ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
×